আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিগ ব্যাং এবং নাস্তিকদের খোদা

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

এইবার খোদার সব কেরামতি বৈজ্ঞানিকেরা সব ফাস করে দেবে। আমরা পৃথিবী সৃষ্টির সব রহস্য জানতে পারব আর জানতে পারব আমাদের আসল খোদাকে অর্থাৎ ইশ্বর কণাকে। পশ্চিমারা বস্তুবাদী তা জানতাম কিন্তু বস্তুকে যে খোদা বানাবোর পরিকল্পনা করছে তা জানতাম না। যার বাজার মুল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। এরিমধ্যে যারা নাস্তিক তারা রীতিমত নাচানাচি শুরু করেছেন এই বলে আস্তিকদের খোদার উপর তাদের খোদা জয়ী হতে যাচ্ছে।

মানুষ বোকা হয় কিন্তু নাস্তিকেরা বোকা হয় তা জানতাম না। আমি জানতাম তারা মহাবিদ্যান হয়ে থাকে। তারা যে মহাবিদ্যান তা আবার জানান দেয় বাকীদেরকে আহাম্মক সাব্যস্ত করে। কিছুদিন আগেও জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে গিয়ে ভোগান্তি পড়েছিল দুনিয়োর ধনী গরীব সব মানুষই। বেশি কষ্ট হয়েছিল গরীবদেশগুলোর মানুষদের।

গত কয়েক যুগ চেষ্টা চালিয়ে সারা দুনিয়ার বিজ্ঞানীরা যেমন তেলের বিকল্প আবিস্কারে ব্যর্থ হয়েছেন তেমনি ব্যর্থ হয়েছেন এমনি কিছু যানবাহন আবিস্কারে যা কিনা জ্বালানীর খরচ ধকল থেকে মানুষকে বাচিয়ে দিতে পারে। তাইত ব্যারেল প্রতি তেলের মুল্য বৃদ্ধি হলে আমেরিকানদের নাভিস্বাস উঠে। আমেরিকান তেলের উপর কর্তৃত্ব ফলাতে রাশিয়ারও বগল চুলকায়। ছোটকাল থেকে শুনে এসেছি বিজ্ঞান প্রকৃতিকে জয় করে ফেলেছে। আর কোন চিন্তা নেই।

অথচ কিছুদিন আগেও খোদ আমেরিকাতে হ্যারিকেনের ধাক্কায় মানুষকে কিনা ভোগান্তি পোহাতে হল। মানুষের লাশ পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। গেল সপ্তাতেও একটার পর একটা ঝড়ের আঘাতে হাইতি, কিউবাসহ আমেরিকাও বিপর্যস্ত। দেরিতে হলেও সবাই টের পেয়েছে প্রকৃতিকে বশে আনা নয় প্রকৃতির সাথে সমঝোতা করে চলা ছাড়া মানুষের উপায় নেই। তাইত পৃথিবীর সর্বত্রই ক্লাইমেট চ্যান্জের ধকল সামলাতে বিজ্ঞানীরা প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।

গাছ কেটে বন উজাড় করা যাবে না, বাতাসে আবার বেশি বেশি সিওটু নির্গমন রোধ করতে হবে। প্রকৃতির সাথে ভাল ব্যবহার কর, নয়ত পৃথিবীর অস্তিত্ব বিলীন হবে। মাঝে মাঝে পাগলামী চিন্তা আসে বিজ্ঞানীরা এমন কিছু কি আবিস্কার করতে পারে না যার দ্বারা দুনিয়ার শিশুসহ লক্ষ কোটি মানুষের ক্ষুধা নিবারিত হয়। কেন জানি মনে হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারাও অসহায়। বোধহয় আজকেই বাংলাদেশে যুক্টরাষ্ট্রের সাথে যৌথ সম্মেলন করে ৫ বিলিয়ন ডলার চাইল নিজেকে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে।

অথচ আমাদের বিদ্যান কিছু নাস্তিক বল্গাররা দশ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে নিজেদের খোদাকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছেন। হকিং তাদের মত এত বিদ্যান ননত তাই তিনি এমন কিছু আশা না করার পক্ষে ১০০ ডলার বাজি ধরেছেন। আমি আমার মত যারা বোকাসোকা আছেন তারা আশা করতে পারেন এই পরীক্ষার ফলে বিজ্ঞানের নতুন কিছু দিক উন্মোচিত হবে এবং তাতে করে মানুষের সামান্যতম কল্যান হলেও এর যুক্তিকতা খুজে পাওয়া যাবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।