আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাক মাওলা, মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান আর তোমার লীলা বুঝা ভার।

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

প্রথম আলো গতকাল, শুক্রবার, একটি রিপোর্ট করেছে, বিধবাকে আজ দোররা মেরে তওবা পড়ানো হবে, দেবীদ্বার, কুমিল্লার প্রথম আলো প্রতিনিধি এ বি এম আতিকুর রহমান বাশার এই রিপোর্ট করেছেন, সামহোয়্যারে প্রথম এ বিষয়ে পোষ্ট করেছিলেন অনৃন্য, তিনি বৃহঃস্পতি বার সমকালে প্রকাশিত একটি খবরের লিংক দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করেন। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কৌশিক আরও একটা পোষ্ট দিয়েছিলো গতকাল, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা আজকে কুমিল্লা যাবো, যদি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় তবে প্রতিরোধ করবো আর যদি সম্ভব না হয়, অন্তত নিজস্ব চোখে দেখে আসবো গ্রাম্য সালিশ এবং দোররা মারবার ঘটনা। ঘটনা সে রকম ঘটে নি, সন্ধ্যায় পড়লাম মাসুম ভাইয়ের পোষ্ট, এরপরে কৌশিক জানালো বিষয়টার সমাধান হয়েছে, প্রথম আলোর প্রতিনিধি বাশার ভাই জানিয়েছেন একজন বাদ দিয়ে সব মোল্লাই সেই এলাকা ছেড়ে ভেগেছেন। এবং বাকি অংশটুকু অবশ্য মাসুম ভাইয়ের পোষ্টের বক্তব্যের মতোই। আজ সকালে যখন বাশারের পাঠানো রিপোর্ট পড়লাম তখন একটু আশ্চর্য হলাম, সেখানে মাসুম ভাইয়ের নিশ্চিত কথাগুলো নেই, বরং আশার বানী আছে,মুরাদনগর থানার ওসি মোঃ শাহ আলম বকাউল প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তাকে আজ কোনোভাবেই দোররা মারতে দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে ঐ মহিলাকে পুলিশি হেফাজতে এনে রাখা হবে।

রিপোর্ট পড়বার পরে যেই ভাবনাটা মাথায় আসে তা হলো প্রথম আলো প্রকাশিত হয়েছে রাত ১২টার সময়, তখন কোনোভাবেই আজকের দইন, শুক্রবার বলবার সামর্থ্য নেই পুলিশ কর্মকর্তার, কিন্তু রিপোর্টের ভাষায় বিষয়টা এমনভাবে এসেছে যে বাশার সাহেব রিপোর্টটি সকাল বেলাই পাঠিয়েছেন, এবং কোনো এক অজানা মন্ত্রে সেটা প্রতিটা ছাপানো পত্রিকায় চলে গিয়েছে। প্রথম আলোর এই মারেফতি কারিগরি শিখতে হবে, কিভাবে প্রকাশিত হওয়ার ৮ ঘন্টা পরে যখন মফস্বলের মানুষটি পত্রিকা খুলছেন তিনি জানছেন শুক্রবার সকালেই, যে আজ কোনোভাবেই তাকে দোররা মারতে দেওয়া হবে না। প্রথম আলোর অনুগত পাঠকের কমতি নেই, তাদের একজন তপন চৌধুরি মাসুম ভাইয়ের পোষ্টে বলেছেন: এইরকমই হয়, সবাই পালায়া যায়৷ তাদের খুজে বের করে জেল হোক৷ আজ ঐ খবরটা প্রথম আলোর ১ম পাতায় না হলে এত দ্রুত ঘটনা ঘটত না৷ ------------------------ তপন চৌধুরির বক্তব্য পইড়া হাসতে হাসতে নীচে পইড়া গেলাম, সীট বেল্ট বান্ধি নাই, খুব চোট পাইছি। প্রথম আলোর রিপোর্ট সকালে পইড়া ভাবলাম একবার মাসুম ভাইরে ফোন দিবো, মাসুম ভাই এইটা দিছে ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৩৬ , আর তপন চৌধুরি ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১০:৪০ মিনিটে , এসে বললেন এই মহান সংবাদ, প্রথম আলোর ভালোর সঙ্গে গতায়তের গল্প। গতকালের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় এই রিপোর্ট আসে নাই।

এইটা আরও একটা দুই নাম্বারির চেষ্টা। আইজকার পত্রিকায় বিশেষ রিপোর্ট চোদাইবো মামারা, তাদের রিপোর্টের কারণে এই অনর্থ ঘটতে পারে নাই, বন্ধুসভার পাবলিকের নামও দিতে পারে এইখানে। আমি ঠিক জানি না প্রথম আলো এই বুদ্ধিবৃত্তিক জুয়াচুরি কিভাবে করবে, তবে অন্য সব দিনের মতো আজকের দৈনিকেও দেখা যাবে প্রথম আলোর প্রকৃষ্ট তৎপরতায় নিরীহ একজন স্বামীহারা গৃহবধু দোররার হাত থেকে বেঁচেছেন। আমি ইন্টারনেট এডিশন খুজছি, তবে এখনও সেটা প্রকাশিত হয় নি ইন্টারনেটে। হাক মাওলা, মাহফুজ আনাম, মতিউর রহমান আর তোমার লীলা বুঝা ভার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।