আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসাম্য ও অন্যায্য সমাজে কে থাকে



বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে আমরা এক চরম অসাম্য ও অন্যায্য সমাজের বাসিন্দা। এখানে রাষ্ট্র নির্যাতনকারী। রাষ্ট্র কখনও কখনও বিশিষ্ট নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে গ্রেফতার-নির্যাতন হয়রানি করে থাকে। দেশে সাংবাদিকতার নামে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) চলে দলবাজি, বকশিশ-চাঁদাবাজি। অর্থাৎ যে যেই প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যের সাথে জড়িত সে সেই প্রতিষ্ঠান বা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কিছু লিখে না।

যেমন ধরুন, প্রথম আলো কিংবা দি ডেইলি স্টার ট্রান্সকম এর বিরুদ্ধে কখনও লিখবে না। আবার দৈনিক যুগান্তর যমুনা গ্রুপের বিরুদ্ধে লিখার কথা নয়। এমনিভাবে প্রায় সব গণমাধ্যই কারও না কারও অসৎ পারপাস সার্ব করে যাচ্ছে। এখানে ন্যায়-নীতি-সত্য-স্বচ্ছতার কোন বালাই নেই। এই ধরুন আমার ব্যক্তিগত বিষয়টা।

আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে একাধিক মামলা করে আমাকে গ্রেফতার ও আমাকে ঝুলিয়ে নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শক দেয়া হলো ২৮ দিনের কারাজীবন ভোগ করলাম। কোন সংবাদপত্র আমার জন্য কিছুই করলো না। সত্য-স্বচ্ছতার কোন অবস্থান নেই এই দেশে। আমার অপরাধ ছিল আমি এলিট ফোর্সের বিতর্কিত কর্মকান্ড যেগুলোর বিরুদ্ধে জরুরি অবস্থার মধ্যে জনতা রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছি। সাংবাদিকতার নামে যারা চাঁদাবাজি করেন তাদের বিরুদদ্ধে রাজনৈতিক সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করাই ছিল আমার অপরাধ।

তাই বলতে চাই, অন্যায্য-অসাম্য সমাজে থাকার ইচ্ছে নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।