আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যৌন সুড়সুড়ি বাড়াতে সহায়তা করবে বাধ্যতামূলক ছুটি



স্যারের আকাম প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১ বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। বিশেষ করে সেটি যদি হয়, বাঙালির তাহলে তো কথাই নেই। আমার মতে অন্যান্য অনেক পেশার তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পেশা তুলনামূলকভাবে রিলাক্স জব।

এই পেশার দায়িত্ব মোটামুটি তিনটি: ১. যে বিষয় তারা জানেন সেই বিষয় এবং যে বিষয় তারা জানেন না , সেই বিষয় নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে ক্লাসে বক্তৃতা করা, ২.ছাত্রছাত্রীদের খাতা কাটাকাটি করা এবং ৩.শিক্ষক ক্লাবে বসে লাল, নীল, সাদা, গোলাপি রং নিয়ে খেলাখেলি করা- ( অবশ্য সবাই যে এরকম তা নয়, এর চেয়ে অনেক ব্যতিক্রম যেমন আছেন, আবার এর চেয়ে অনেক সরস শিক্ষকও আছেন, ব্যাপারটিকে দয়া করে জেলারেলাইজড করবেন না) তো এই রকমএকটি পেশায় থাকা, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক প্রকৃতিক পরিবেশ এবং সবচেয়ে বড়- ব্যাপার সেখানে কচি প্রাণের কলকাকলিতে মুখরিত সময় কাটানো । তারপর ছাত্রছাত্রীদেরকে ফার্স্ট ক্লাশ , সেকেন্ড ক্লাশ, থার্ড ক্লাশ দেয়ার স্বাধীনতা ... সবমিলিয়েই ...একটা জটিল অর্থ - সামাজিক - রাজনৈতিক ছক ... কাজেই এহন শিক্ষকের বাধ্যতামূলক ছুটি আর যে অপরাধই কমাতে সহায়তা করুক না কেন- যৌন অপরাধ কমাতে তা আদৌ সহায়ক না। এই শিক্ষককে এর আগেও একবার একই অপরাধে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘদিন সমুদ্র যাত্রার পর ঘরে ফিরে সারেং যেমন নবিতনে উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল- ব্যাপক ক্ষুধা নিয়ে - তেমনটাই বোধহয় ঘটল - এই স্যারের ব্যাপারে। ঐ একই ব্যাপার ঘটল, আবার ঐ একই শাস্তি দেয়া হল।

এর বদলে , তাকে আগামী দুই বছরের জন্য নিরামিষবভোজী করা যেতে পারতো, পিয়াজ, গররু মাংস -ইত্যাদি উত্থেজনাবর্ধক খাবার বন্ধ করে দেয়া যেতে পারতো, তাকে কোন মঠে বছর খানেকের নির্বাসন দেয়া হতে পারতো , বিনামূল্যে তাকে মনো চিকিৎসা দেয়া যেতে পারতো, নচেৎ তার পোঁদে লাথি মেরে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া যেতে পারতো- তা না করে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হল। এই ছুটিতে তিনি আগেকার পড়া প্লেবয়গুলো রিভিশন দেবেন, অফুরন্ত অবসর তাকে সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসিতে আরও উৎসাহিত করবে, উনি আবারও বুবুক্ষ হৃদয়ে -তারুণ্য মুখিরত - কচিকাচাদের কলকাকালিতে মুখরিত - ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন ... এর আগে ১৯৯৮ সালে একই অভিযোগে ড. কামাল উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর তার বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ছুটি শেষে বিভাগে আবার যোগ দেন তিনি। আবার ঘটনা ঘটবে।

কিছু ঘটনা প্রকাশিত হবে, কিছু হবে না ... আমরা ব্যাকুল থাকবো ঐ ছাত্রীটিকে এক নজর দেখার জন্য, তাকে নিয়ে ফিসফাস করার জন্য , স্যার আবার যাবেন বাধ্যতামূলক বিহারে

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।