আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাকতালীয় (২)

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

আমেরিকান ঔপোন্যাসিক এ্যানে পেরিস ১৯২০ সালে প্যারিসের একটি বইয়ের দোকানে বই নাড়াচাড়া করছিলেন। তিনি একটি বই হাতে নিলেন যেটি তার ছোটবেলার খুব প্রিয় একটি গল্পের বই ছিল। নাম জ্যাক ফ্রস্ট এবং অন্যান্য গল্প। তিনি তার একসময়ের প্রিয় গল্পের বই টি তার স্বামীর হাতে দিলেন। তার স্বামী বইটি হাতে নিয়ে পালকদিয়ে চিন্হিত করা জায়গাটি খুললেন।

দেখলেন লেখা আছে "এ্যানে পেরিস, ২০৯ এন ওয়েবার ষ্ট্রীট, কলোরাডো স্প্রীং। অর্থাৎ বইটি তার নিজেরই ছিল। এক জার্মান মা ১৯১৪ সালে তার শিশুটির ছবি তুলেন স্ট্রসবার্গের একটি দোকানে। ঐ সময় ফিল্মের প্লেট আলাদাভাবে বিক্রি করা হত। ২য় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ঐ মহিলা স্ট্রসবার্গে ফিরতে ব্যর্থ হন এবং ধরে নেন ছবিটি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন।

দুই বছর পর তিনি ফ্রাংকফুর্টে তার নতুন জন্ম নেয়া কন্যার ছবি তুলতে যান। ছবিটি যখন ডেভেলপ করা হল তখন তিনি দুটি ছবি দেখতে পেলেন। তার ছেলেটির ছবির উপর যা কিনা তিনি স্ট্রসবার্গে তুলেছিলেন মেয়েটির ছবি ফুটে উঠেছে। তিনি স্ট্রসবার্গে যে ছবিটি তুলেছিলেন তা আর ডেভেলপ করা হয়নি এবং সেই একই প্লেটটি আবার তার কাছে ১০০ মাইল দুরে বিক্রি করা হয় কাকতালীয় ভাবে। ১৯৭৩ সালে এন্হনী হপকিনস দি গার্ল ফরম পেট্রভকা ছবিতে অভিনয় করতে রাজী হন।

জর্জ ফেইফার উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হত। হপকিনস লন্ডনের কোথাও বইটি খুজে পেলেন না। কাকতালীয়ভাবে লন্ডনের একটি স্টেশনের বেনচে বই টি খুজে পান। এটা ফাইফার নিজস্ব কপি ছিলন যাকিনা তিনি তার এক বন্ধুকে ধার দিয়েছিলেন এবং যেটি কিনা তার বন্ধুর গাড়ী থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।