আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পথের গল্প ০৫

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

মাঝে মাঝে এমন কিছু দিন আসে, নিজের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করতে ইচ্ছা করে। অনেক দিন ধারাবাহিক ছুটি কাটানোতে এখন ঘুমের রুটিন বদলে গেছে। ঘুমাতে ঘুমাতে অকারণেই বেজে যায় রাত ৪টা। তবে ছুটি শেষ, ঘুম থেকে উঠতে হয় ৭টা বাজার আগেই। নিজের দেহঘড়ির সময়ের কাঁটা বদলানোর চেষ্টা করছি, বৃথা চেষ্টা জেনেও ঘর অন্ধকার করে পড়ে থাকি বিছানায়।

ঘুম আসে না। এপাশা ও পাশ করে মসজিদে আজান শুনে ঘুমিয়ে যাই নিশ্চিত মনে। ঘুমটা ভাঙে ঘড়ির এলার্মে। নিজেকে খুন করে ফেলতে ইচ্ছা করে। তবে আজকের দিনটা একটু ভিন্ন।

সকালের ট্রেনে আম্মা আসবে, সাথে পিচ্চি আসবে। অনেক দিন দেখি নি, প্রায় এক সপ্তাহ দিনাজপুর থেকে ঘুরে আসবে। তাদের আনতে যেতে হবে। তখনও আকাশ অন্ধকার, কেবল ফজরের আজান শেষ হলো, ঘুমে চোখটা লেগেছে, এমন সময় বোনের চিৎকার, ওই উঠ, উঠ, সোয়া পাঁচটা বাজে, উঠ, স্টেশনে যাবি না। বলতেও পারি না, তোর ইচ্ছা থাকলে তুই যা না, আমার ঘুমটা নষ্ট করলি কেনো? বলা যায় না, এরপর যে রেকর্ড বাজা শুরু করবে, সেটাতে আমার অকর্মন্যতা, অলসতা, আমার দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ইত্যকার নানাবিধ বদাভ্যাসের তালিকা বাড়তেই থাকবে।

এবং এখানে নতুন নতুন উপাদান আমদানি হবে, সেই দোষগুলো হয়তো আমার জানা ছিলো না, তবে নিশ্চিত ভাবেই আমি এবং পৃথিবীর সমস্ত পুরুষ এই দোষগুলো বহন করছি। নিজের দায় সমস্ত পুরুষের কাঁধে ফেলতে চাই না, পুরুষদের সাথে আমার সম্পর্ক ততোধিক মধুর না হলেও- অন্তত পুরুষ জাতির সামান্য একজন সদস্য হিসেবে এটা নেহায়েত অনুচিত হবে। ঘুম থেকে উঠে আরও আনন্দের সাথে খেয়াল করলাম ট্যাপে পানি নেই। শালার কেয়ারটেকার, বৌয়ের আঁচলে গলা পেঁচিয়ে ঘুমাচ্ছে এখনও, যদি শালার বৌয়ের আঁচল দিয়ে ফাঁসি দেওয়া যেতো ভালো হতো। সেটা সম্ভব না, আর নিজের ঘুম নষ্ট হয়েছে বলে তার ঘুম নষ্ট করা উচিত হবে না।

জমানো পানিতে কোনো মতে হাত পা ধুয়ে বাইরে বের হলাম। ঘড়িতে তখন পাঁচটা পয়ত্রিশ। ঢাকা শহরের বিখ্যাত ব্যস্ততা শুরু হয় নি। কয়েকটা ট্রাক বালি ফেলাচ্ছে রাস্তার উপরে, আরও উঁচু উঁচি ভবন উঠবে এখানে, দুটো এপার্টেমেন্ট কমপ্লেক্স আন্ডার কনস্ট্রাকশন,। হাতছানি দিয়ে রিকশা ডাকলাম।

রিকশা থামলো, তবে কমলাপুর যাবে না। পাশে দাঁড়ানো রিকশাকে বললাম ভাই তুমি যাবে, তুমি যাবে ভাই নিয়ে যাবে মোরে? কমলাপুর যাইবেন? উঠেন। একটু দাঁড়ান, ভাই আগুণ আছে? রিকশাওয়ালার কাছে ম্যাচ নেই, লাইটার নেই, ম্যাচের দাম বেড়েছে, তাই সস্তার লাইটার কিনেছিলাম একটা, গত রাতে কেনা লাইটার, সকালে দেখি গ্যাস নেই একফোঁটা। জ্বলছে না। মানিকের খবর আছে।

সকালের রাস্তায় নৌকার মতো চলছে রিকশা। অদ্ভুত লাগছে। অন্তত তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর তাড়া আছে, তবে অদ্ভুত এক কারণে রিকশা ততটা দ্রুত যাচ্ছে না, রীতিমতো দুলকি চালে ছুটছে রিকশা। নৌকায় চড়লে একটা দুলুনি ভাব আসে, ঘুমে চোখ জড়িয়ে যায়, নদীর বাতাসের আদরে মনে হয় ছইয়ের উপরে ঘুমিয়ে থাকি। আপাতত আমারও একটা ইচ্ছা দ্রুত স্টেশনে গিয়ে দ্রুত ফিরে আসা, যদি এর ভেতরে এক ঘন্টার একটা মিনি ঘুন দেওয়া যায়।

পৌঁছালাম, একটু দেরি করেই, ট্রেন পৌঁছানোর কথা আরও ২০ মিনিট আগে, তবে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন কবে কোন গন্তব্যে পৌঁচেছে এটা জানতে হলে একটা বর্ষব্যাপী গবেষণার প্রয়োজন। সকালের প্রধান সমস্যা রিকশাওয়ালার কাছে খুচরা থাকবে না। তবে কমলাপুরের ভিক্ষুকেরা এ সময় সাহায্যের উদার হাত বাড়িয়ে দেয়। তাদের ৫টাকা ভিক্ষা দিলে তারা ৫০০ টাকার খুচরাও দিতে পারে। যদিও কোনো দিনই আমার পকেটে ৫০০ টাকার নোট থাকে না।

আমি বড়জোর ১০০ টাকা নিয়ে রাস্তায় নামি। তবে আগ্রহী ভিক্ষুককে যেই ব্যাটা অন্তত পয়সার বিচারে আমার চেয়ে বড়লোক, তাকে ৫ টাকা ভিক্ষা দেওয়া আর সমুদ্রে এক বালতি পানি দেওয়া সমান, সুতরাং কয়েকটা সিগারেট কিনে কমলাপুর স্টেশন। প্ল্যাটফর্মে ছিন্নমূল মানুষ আর কুলিদের বসবাস। এছাড়াও জয়ন্তিকা পাহাড়ের মাটির একটা স্তুপও আছে। সেইসাথে মানুষের বর্জ্যের তীব্র গন্ধ।

এইসব সামান্য অসুবিধায় হাল ছেড়ে দিলে বাংলাদেশে বসবাসের আনন্দ উপভোগ করা যাবে না। সাময়িক অসুবিধা অবজ্ঞা করে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম খুঁজি। যে প্ল্যাটফর্মে থামবে লেখা আছে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে নোয়াখালি এক্সপ্রেস। তবে ঘোষণা ঘুনে বুঝলাম এগারসিন্দুর যেখান থেকে ছেড়ে যাবে সেখানেই একতা থামবে। অনেক দিন পরে আম্মা দিনাজপুর থেকে আসবে।

এবং অবধারিত ভাবেই তার সাথে দিনাজপুরের কাঁচা বাজারের ঘ্রান থাকবে। আম্মা দিনাজপুর গেলেই সেখান থেকে সব্জি কিনে আনে। যদিও আমি জানি না এতে অহেতুক বোঝা টানা আর কুলিকে বাড়তি টাকা দেওয়া ছাড়া অন্য কোন লাভটা হয় , মানে সব মিলিয়ে যে খরচটা বাচে, সেটা পরিবহন খরচে বরাদ্দ হয়ে যায়। কমলাপুর স্টেশনে যখন নেমেছি তখন রিকশাওয়ালাকে দিয়েছিলাম ২০ টাকা। তবে ব্যাগবোচকাসহ এসে দেখি নবাবপুত্তুররা কেউই ৩০ টাকার কমে যাবে না।

আম্মারা পিচ্চিকে ৩জন। তবে সাথে ৬টা ব্যাগ। এদের আমি প্রতিবার বুঝানোর চেষ্টা করি , ট্রাভেল লাইট, ইফ ইউ ওয়ান্ট টু এনজয় ইয়োর জার্নি ট্রাভেল লাইট। এটা সব ভ্রমনের জন্যই প্রযোজ্য। জীবনের ভ্রমনেও হালকা হয়ে ঘুরতে পারলে ভালো।

কোনো রকম দায়দায়িত্বের বোঝা মাথায় না নিয়ে জীবনযাপনের আনন্দ অন্য রকম, এই কথা বিবাহিত জীবনের প্রতিটা সময় মনে পড়ে। সিএনজিতে এসব আঁটানো সম্ভব না। একটা ইয়োলো ক্যাব ডাকলাম। ভাই যাবে? গন্তব্য বলতেই বললো যাবো, ১০০ টাকা লাগবে। আমার কোলে পিচ্চি, ওর সামনে সাধারণত গালি না দিয়ে থাকবার চেষ্টা করি।

অন্তত নিজেকে সংবরণ করবার চেষ্টা করলাম, ভাই কও তোমারে কি গালি দিবো? না কি দিবো না? মিটার নাই তোমার? ক্যান মিয়া গালি দিবেন ক্যান, গাড়ী কি রাস্তায় নামাইছি গালি শুনবার লাইগ্যা। এতো ভদ্র কথার মানুষ না। কইলাম মিটারে কত উঠবে সেইটা জানো, ১০০ টাকা চাইলা ক্যান? পোষাইলের উঠবেন, না পোষাইলে যাইবেন না। ঢাকা শহরে নতুন আইছেন? শালার বোকাচোদা, মিটার কিনোন চোদাইছো ক্যান, মিটার হোগায় লাগাইয়া হোগার কাপড় তুইলা ট্যাক্সি চালা বাইনচোদ। অঙ্গভঙ্গি কিংবা গালি যেকোনো একটা কারণে বেচারা অপমানিত বোধ করলো।

গালি দ্যান ক্যান? তো কি তোমারে চুম্মা দিবো? ৯ লাখ টাকা দিয়া গাড়ী নামাইছি কি গালি শুনবার জন্য? মিটার লাগাইছো ক্যান? গেলে যাইবেন, না গেলে যাইবেন না, এতটুকু রাস্তায় যাইবেন ট্যাক্সি কি এমনি নামাইছি? আরও গালি গলার কাছে গার্গল করে পেটে ফেরত পাঠালাম, পিচ্চি নতুন কথা শিখতেছে, সবই অনুকরণ করে। অনেক কষ্ট করে দুই মহান রিকশাওয়ালাকে পেলাম, যারা ২৫ টাকায় আমাদের সপরিবারে নিয়ে যেতে রাজি। সম্পূর্ণ রাস্তায় মনে হলো এদের লোকজন পিটায়, যারা পিটায় তারা মোটেও খারাপ মানুষ না। এদের পিটানোই উচিত। এক বন্ধুর কথা মনে পড়লো, তখন নতুন ট্যাক্সি ক্যাব নেমেছে, প্রতি কিলোমিটার ৬ টাকা, উঠলেই ১২ টাকা।

এক ট্যাক্সি ভাড়া করেছে, বেচারা ৩০০ টাকা চাইলো, মিটারে খুব বেশী হলে ৯০ টাকা উঠবে। ও আইচ্ছা তুই ৩০০ টাকা নিবি, চল ভাই তোকে নিয়াই যাই। গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় সোজা বাসায় না গিয়ে থাকলো আড্ডায়। দাঁড়া ভাই একটু, ভাড়া নিয়ে আসি। সব বন্ধুরা এসে ট্যাক্সি আটক করলো।

বাইনচোদকে ল্যাম্পপোষ্টের লগে বান্ধ, বাইন্ধা শালার ট্যাক্সি ভাঙ্গি। চুতমারানি ৩০০ টাকা চাও। করিৎকর্মা বন্ধুরা সবাই দড়ি নিয়ে প্রস্তুত। ট্যাক্সি ড্রাইভার তখন আব্বা, আম্মা, সব ডাকছে, ভাই মাফ করে দেন, আমার ভাড়া লাগবে না, ল তোরে ৩০০ টাকাই দেই, লবি না ক্যান? না ভাই ভাড়া লাগবো না, আমারে ছাইড়া দেন। আমি তখন মহৎ, মহাত্মন, এইসব শুনে যথাযথ ভাড়া দিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতি।

খেটে খাওয়া মানুষের দুঃখ তখন সহ্য হতো না হৃদে। দিনের শুরুটাই এমন খারাপ। মর্নিং শোজ দ্যা ডে। অবশ্যই দিনটা এমনই বাজে ভাবেই কাটবে। বিকেলে গেলাম হোটেলে।

বসে আছি। ক্ষুধায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। ভরসা সেই বিফ কাবাব আর নান। ওর্ডার দিয়ে বসে আসি। সামনের টেবিলের মানুষদের কথা শুনছি বসে বসে।

আরে ভাই আমার তো রুগির অবস্থা খারাপ। কালকে রাতের বেলা ডাক্তার দেখাইছি, আমি যখব বাহির হই তখন পৌনে চারটা। তারপরে আরেকজন ঢুকলো। ডাক্তার কতক্ষণ রুগী দেখে? ওরা কি ঘুমায় না? ঘুমাবে না কেনো, এই ডাক্তারের কথা আমি আগেও শুনেছি, পাগলাচোদা ডাক্তার, তবে বিখ্যাত, রুগী দেখা শুরু করে রাত ১২টার পরে। দিনে ২৪ জন রুগী দেখে, হার্টের স্পেশালিস্ট।

সেই ২৪ জনের ভেতরে ১২জন রোগী আর ১২জন নিজেদের রিপোর্ট দেখাতে আসে। আমি তো মনে করেন এখানেই থাকি, বাসার রুগি আসলে এখানে নিয়ে আসি। কে আসবে বলেন, আমার ফুল ফ্যামিলি চিটাগাং থাকে। লোকটার কথা শুনে চমৎকৃত হই। একটা মানুষ শুধু রুগীর শ্রুশুষা করবার জন্য সমস্ত কাজ ফেলে ঢাকায় থাকছে? তাদের সবারই হার্টে প্রব্লেম? হতেই পারে, এটা নাকি জেনেটিক্যালি ছড়ায়।

বাবার হার্টে প্রব্লেম থাকলে ছেলের হওয়ার সম্ভবনা বেশী। ফ্যামিলি হিস্টোরি দিনদিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, অন্তত হিউম্যান জিনোম প্রোজেক্ট সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এবং কোন রোগের জন্য কোন জিনে কি পরিবর্তন হয় এটা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত ফ্যামিলি হিস্টোরি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডাক্তারের হাত যশ শুনি আর কাবাব কামড়াই। সমস্যা নেই, বাসা থেকে ৫০০ গজ আগালেই এমন হার্টস্পেশালিস্ট, নিশ্চিত মনেই রেড মিট খাওয়া যায়। বুঝলেন ভাই, সকাল বেলা ৭ টার সময় রুগী দেখা শুরু হয়, তখনই লোকজন এসে নাম রেজিস্ট্রেশন করে, আমার তো রিপোর্ট পাইছি আজকে, তো ডাক্তার সময় দিলো দেড় মাস পরে, বুঝেনই তো ব্যস্ত ডাক্তার।

কি করবো বলেন, একটু কারিগরি করলাম, দিনের রুগি দিনে দেখিয়ে চলে গেলাম। এত কি কষ্ট করা যায়, কে আসবে আবার দেড় মাস পরে। আলোচনা উপভোগ্য হয়ে উঠছে, তবে কাকে ছিলতেছে এইটা বুঝতেছি না। বিখ্যাত ডাক্তার, তার কাছে রিপোর্ট দেখানোর জন্য ৬ সপ্তাহ আগে থেকে লাইন দিতে হয়, যেটার প্রেসক্রিপশন সে দিয়েছে। এইরকম গল্প আগে শুনি নি।

পয়সা দিলে লাইনে আগাপিছু করা যাবে,। বুঝলেন ভাই আমার আগে যে লিস্ট বানাইছে সেই বুড়া আমাকে বললো এইটাই চুড়ান্ত লিস্ট, এইটা বদলানো চলবে না। তবে আমরা মোট ১২ জনকে এদিক ওদিক করতে পারি, এর ভেতরে ৩ জন ভিভিআইপি, মনে করেন এটা সবাই মন্ত্রী-মিনিস্টার, তাদের সিরিয়াল সবার আগে। আপনি যদি লাইনে প্রথমেও থাকেন তবে আপনার নাম্বার হবে ৪। এরপরে একজন রিপোর্ট দেখাবে, এরপর একটা রুগী, এইভাবে চলবে।

অবশ্য আমি বুড়াকে বলছি আপনার ডিউটি শেষ হবে সন্ধ্যায়, এরপরে লিস্ট বদলাবে। অন্তত দিনে ৫ বার লিস্ট আপডেট হয়, সন্ধ্যা থেকে আমার ডিউটি। আমার খাওয়া শেষ, তারাও বিল দিতে দাঁড়িয়েছে। আমি বিল দেই, আরে না না ভাই, আমি দেই। একটু দেখবেন ভাই, আমার রুগীটা সিরিয়াস, ওকে আগে আগে সিরিয়াল দেওয়া যায় না কি।

আমি মধ্যবয়স্ক মানুষটার জন্য কষ্ট পাই। কষ্ট পাই ঢাকা শহরের নির্মমতায়। এখানে কত ভাবে কত উপায়ে মানুষের অসহায়ত্বকে পূঁজি করে মানুষ পয়সা কামাচ্ছে। এবং এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই চলছে সবার গোচরেই, তবে সবাই এটাকে উপেক্ষা করে, ভাবে আরে একটু আধটু নিয়মভঙ্গ তেমন বড় কিছু না। এই মানুষটা দেশের বাড়ী থেকে রুগি এনেছে, রুগীর হৃদযন্ত্রে সমস্যা, রিপোর্ট এনেছে, সেই রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখবে।

পরামর্শ আর মেডিসিন দিবে। এবং তার কাজ থেকে অবসর নেই। এই মানুষটা কোথায় থাকে জানি না, তার কোন প্রিয়জন অসুস্থ এটাও জানি না, তবে এইটুকু নিশ্চিত জানি, এই ৩ জন মানুষ, যারা পেট ভরে কাবাব নান খেলো এবং এই লোকটার কাছে সিরিয়াল আগিয়ে দেওয়ার কথা বলে কয়েকশ টাকা হাতিয়ে নিলো- এইসব মানুষের হার্টে প্রব্লেম হবে না কোনো দিন এইসব মানুষের হৃদপিন্ডই নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।