আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেউ কি দেখার নেই?হতাশ চরমভাবে হতাশ আমি, আমরা।

একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।

আজকে আবার ৪১ জন শ্রমিককে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত। কেউ কি দেখার নাই?বিদেশে গিয়েছিল একটু সুন্দর দিনের আশায়, একটা সুন্দর জীবনের আশায়। সবাইতো চাই একটু ভালভাবে বাঁচতে, চাই বাবা-মার মুখে একটু হাসি ফোটাতে, চাই আগত-অনাগত সন্তানের জন্য একটু সুখের ঠিকানা গড়তে। যে একজন বাবা-মার সমস্ত অর্জনকে বিক্রি করে বিদেশ গেল আরো সুন্দর ভবিষ্যতের আসায়, সে ফিরে এলো মায়ের কোলে এক কাপড়ে- খালি হাতে।

কি হবে সেই সংসারের, বৃদ্ধ বাবা-মা, বা ভাই-বোন, সন্তান অথবা বউটির? এটা কি তাদের আশা করা অন্যায়? সুশীল বুদ্ধিজীবিরা একটু সুযোগ পেলেই শুনিয়ে দিবে রাজনীতি নিয়ে দুইটি কথা। বিশ্বব্যাংকের দালালরা শুনিয়ে দিবে এডিপি-জিডিপি নিয়ে আরোও তিন কথা। কিন্তু যাদের পাঠানো রেমিটেন্সের টাকায় এ দেশটা আলোকিত হওয়ার সপ্ন দেখে তাদের এ কান্না জড়ানো মুখটিও কি তাদের নিয়ে দুকথা লেখার সময় হয়না। একেকজন বসে বসে বড় বড় বক্তব্য ছাড়বে, স্ব-নির্ভর দেশ গড়ার কথা বলবে, দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিবে। আর এইদিকে যে প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশী শ্রমিক দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে তা কি কেউ দেখার নেই।

বক্তৃতার পর বক্তৃতা দিবে, টেবিল ভেঙ্গে ফেলবে থাপ্পর মেরে। কিন্তু প্রবাসীদের নিয়ে দুটি কথার বলার সময় পায়না। সরকারেও ওদাসীন্নতা দেখে মনটা সন্দেহে ভরে যায়। কি মিশন নিয়ে ওরা এসেছে? কিসের জন্য ওয়ান-এলেভেন? এইভাবে যদি দেশের পর দেশ থেকে বাঙ্গালী শ্রমিক আসতেই থাকে তাহলে কোন কিছুই আর দেশটাকে স্থিতিশীল সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারবেনা। আশা করি সবাই আমার সাথে একমত হবেন।

হতাশ চরমভাবে হতাশ আমি, আমরা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।