আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘু্ড্ডির পাইলট এর প্রেমময় ইতিহাস।

সামুর এক মাত্র সর্বাধীক বানান ভুল সম্পন্য ব্লগ ! মনে রাখবেন আপ্নে সামুর সবচাইতে বিপজ্জনক ও বদ ব্লগারের ব্লগে প্রবেশ করেছেন , আপ্নি দুষ্টু প্রকৃতির না হলে এখানে সময় নষ্ট কইরেন না । প্রেমের ব্যাপারে আমার ভাগ্য খুব ভালা আছিলো, এযাবৎ অগনিত প্রেম করছি, কিন্তু কোন প্রেম ১ সপ্তাহের বেশি টিকে নাই ( আমি অবশ্য কখনও কাউরে আগে প্রেমের প্রস্তাব দেই নাই খালি প্রস্তাবে সহমত দিছি ) । আমার প্রাক্তন কোন প্রেমিকার সাথে আমার কোনরকম ঝগরা বা মতবিরোধ ঘটে নাই কখনোই। খুব সহজেই মেয়েরা আমার সাথে খাতিল লাগাইতো আর শেষে কোন একটা দুর্ঘটনার কারনে আমার টুক টুকা প্রেম পচা টমেটো হয়া যাইতো । চিন্তা করলাম ব্লগে একটা প্রেমময় ইতিহাস সংরক্ষিত থাকুক : নিম্নে উল্লেখ যোগ্য প্রেমের ঘটনা সংক্ষেপে বর্ননা দিলাম ।

ঘটনা ১ :- একবার মধ্য বাড্ডার এক মেয়ে আমারে চয়েছ কইরা ফালাইলো (হায়রে পুরা কফালি তুই আর মানুষ পা্ইলি না ! ) এখানে একটা বিষয় জানায়া রাখা দরকার মধ্য বাড্ডাকে আমরা বন্ধুরা মিডলইস্ট বইলা ডাকতাম । কারনটা অবশ্য মনে নাই। মিডল ইস্ট বাসিনি সেই কন্যা নিজের দুর্ভাগ্য বশত আমার প্রেমে পইরা গেলো । আমিও যথা বিহিত স্বভাব চরিত্র অনুযায়ী তার প্রেমের প্রস্তাবে সারা দিলাম । তার কাছে আমি যতোটা প্রিয় ছিলাম তার বাপের কাছে আমি ততটাই অজনপ্রিয় একজন মানুষ , মানে গার্ল ফ্রেন্ডের লগে দেখা করবার গেলে যাইতাম নায়ক সাইজা আর ফিরত আইতাম পিকেটারগোর মতো দৌড়াইতে দৌড়াইতে লড়ানি খাইয়া ।

অইখানে মেইন ভিলেন আছিলো হের আব্বাজান । আমারে বাসার আশে পাশে দেখলেই চিল্লানি দিয়া আমারে ধরতে আইতো । আর আমার ঠ্যাং গুলানও অটোমেটিক হয়া যাইতো এবং অনায়াসে আমারে নিরাপদ দুরত্বে নিয়া আসতো। একবার ভ্যালেন্টাইনের রাইতে গেলাম মিডলইস্ট কন্যার লগে দেখা করতে তার বাসার পাশের চিপা গলিতে আন্ধারের মইদ্যে দারাইয়া হাত ইশারায় রোমান্টিক ইনফরমেশন আদান প্রদান করতাছি তার অবস্থান হলো তার রুমের জানালায়। ঠিক তখন কন্যার আব্বাজান এর হাতে পাকরাও হয়া গেলাম।

আমারে ধইরা টানতে টানতে সে তার বাসায় নিয়া ঢুকাইলো (অবশ্যই একখানা হাত ব্যাস্ত ছিলো কর্নাকর্ষনে : আমি বুঝতাছিলাম না তার নিজের দুই দুইখান কান বহাল তবিয়তে থাকা সত্বেও আমার মতো নাদানের একখানা কানের প্রতি তার এতো আগ্রহ কেন ? ) যাই হোক আমি আমার ব্যাখ্যা দাড় করায়া ফালাইলাম , কন্যার মায়ের কাছে খুব করুন স্বরে কইলাম আমার পকেডে কয়টা কয়েন আছিলো অইগুলান পকেট থিকা পইরা গেছে , আমি খুজতাছিলাম আর আংকেল আমারে ভুল বুইঝা ধইরা নিয়া আইছে । ব্যাস বিষয়টা নিয়ন্ত্রনে চইলা আসলো আন্টি ভিলেনরে দিলো ইচ্ছা মতো ধমক , আর আমারে দিলো কোক, পিঠা , কেক , মিস্টি , আইসক্রিম ! । তবে বাসায় আইসা একটা স্বিদ্ধান্ত নিলাম আর প্রেম কর্তাম না। কারন বিষয়টা অনেক ঝুকিপুর্ন লাগতাছিলো তার বাপে নেক্সটাইম পাইলে আমারে ঠ্যাং ভাইংগা দিবো তার উপ্রে আন্টি আমারে খাতির যত্ন করছে আমি নিরপরাধ এই কারনে , এখন যদি সে জানে আমি অপরাধি তাইলে বিষয়টা অনেক লজ্জাজনক হয়া যাইবো । তাই মিডল ইস্ট কন্যাকে অনেক কষ্টে বুঝাইতে সক্ষম হইলাম প্রেমের সম্পর্কটা আর না রাখাটাই ভালো।

খুব সুন্দর পারস্পরিক বোঝাপরায় একটি প্রেমের সমাপ্তি হইলো। ঘটনা ২ :- পুরান ঢাকার মেয়েদের সাথে যে প্রেম করেন নাই সে আসলে প্রেমের মজাটাই পাইবেন না । এখানের মেয়েরা খুবই ভালো হয় পুরান ঢাকার ভাষাটাও অনেক ভালো লাগে আমার কাছে , আর এই ভাষায় লুতু পুতু মার্কা কথা গুলান আরও জোস ! যেমন : " জানেমান তুমারে ছাড়া কইলাম আমি বাচুম না , আমার কথা হুনতাছো নাকি ঘুমায়া গেছো ? তুমারে দিনরাইত আমি ইয়াদ করি, বিছ-ছাছ যাও জানু " তার নাম ছিলো রানী , তার লগে ফুনে কথা কইতে কইতে আমি অনেক সময় ঘুমায়া যাইতাম আর যখনই তার লগে ডেটিং এ যাইতাম নানারকম পুরান ঢাকাইয়া খাবার খাইতাম ( বিল সে দিতো ) । এবার আসি কিভাবে এই প্রেম টার সমাপ্তি ঘটলো সেই ঘটনায় , একদিন সন্ধ্যায় ওদের বাসায় গেছিলাম, ওদের বাসার ছাদে ফানুষ ওড়ানো দেখতেছিলাম আর চা খাইতে ছিলাম চায়ে চিনি কম হওয়ার অযুহাতে তাকে নিচে চিনি আনতে পাঠাইলাম। আমি আগে থিকাই তার লগে দুস্টামি করনের লাইগা একটা পিলাস্টিকের তেলাপোকা তার চায়ের কাপে ডুবাইয়া দিলাম ।

আমি অপেক্ষা করতাছি সে কখন আসবে আর অনেক মজা হবে, কিন্তু কথায় আছে যেইখানে বাঘের ভয় অইখানেই রাইত হয় , রানীর একটা বড় ভাই আছিলো , মারাত্বক খাদক আর হাতির মতো মোটা , এখানে বাঘ আসলো না , হাতি আইসা উপস্থিত হইলো, আসা মাত্রই খাদক, টেবিলে রাখা বিসকুট গুলান নিমিষেই পেটে চালান কইরা দিলো ! আর রানীর চায়ের কাপটা নিয়া চা খাওয়া শুরু করলো ! চায়ের পরিমান কমার সাথে সাথে তেলাপোকাডা বীরের মতোন নিজের অস্তিত্ব জানান দিলো ! সে একবার বড় বড় চোখ কইরা দেখলো তারপরই শুরু করলো বমি করা । বমি করতে করতে সে সিড়ি দিয়া নিচের দিকে ছুইটা গেলো ! ঘটনা এমন ভাবে প্যাচ খাইবো বুঝতারি নাই । আমিও চামে চিকনে সিড়ি দিয়া নাইমা চম্পট দিলাম। এখানে একটা কথা বইলা রাখি তেলা পোকার গায়ে খোদাই কইরা আমার নামের প্রথম অক্ষর লিখা আছিলো আর তেলা পোকাটা রানীর ভাইর ছোটা ছুটির কারনে তার শার্টের সাথে আটকাইয়া গেছিলো । অতএব আমি নিশ্চিত কট ! কিছুদিন পরে রানীর সাথে ফোনে কথা হইলো : " তুমি আমার ভাইর ডড়ে পলাইলা কেলা ? আমি তো তুমারে কত্তো ছাহুছি মুনে করছিলাম অখন তো দেখতাছি তুমি আস্তা ডড়াইল্লা বারইছো ! " ব্যাস প্রেম এটাও এখানে শেষ তবে হ্যা কখনো কোন মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেই নাই ।

আমি নাকি অনেক কেয়ারিং টাইপ তাই মেয়েদের কাছে ছাত্র জীবনে অনেক জনপ্রিয় ছিলাম , কখনো কোন মেয়ের সাথে রিকসায় উঠছিলাম এমন মনে পরে না (হোক না সে গার্ল ফ্রেন্ড)। জীবনে অনেক প্রেম করছি সব গুলার প্রস্তাব মেয়েদের পক্ষ থেকেই আগে আসছে , এবং কোনটাই এক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী ছিলো না এবং ব্রেক আপের কারনেও কখনো খারাপ লাগে নাই তবে হ্যা আমার প্রাক্তন প্রেমিকারা আমার সুনাম অখনও করে । উৎসর্গ : একজন ভৌতিক পাঠক । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.