আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসর্ম্পূন ও অস্বচ্ছ "বাড়ীভাড়া চুক্তি" হচ্ছে বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মাঝে সংঘাতের মূল কারণ।



আমাদের দেশে বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার মাঝে একটি তিক্ত সম্পর্ক বহুদিন থেকে চলে আসছে। বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটিয়াগন বাড়ীওয়ালাদের পাষাণ,টাকার কুমীর ইত্যাদি নামে আক্ষ্যায়িত করে আসছে। এসব আনাকাঙ্খিত সমস্যা কেন হচ্ছে এ নিয়ে কোন সচেতন মহল তাদের পরিকল্পিত চিন্তা প্রকাশ ও সমস্যা সমাধানের লক্ষে এগিয়ে আসছে না। ফলে বাড়ীভাড়া নিয়ে উভয়ের মাঝে সমস্যাটি আরোও জটিল হচ্ছে। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের আধার থেকে সমস্যা নিরসনে কিছু বক্তব্য রাখতে চাই।

আমাদের দেশে বাড়ী ভাড়া বিষয়ক চুক্তিপত্রে ত্রুটি ,অসম্পূর্নতা ও স্বচছতার অভাবে বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়া উভয়ে পরস্পর প্রতারিত হচছে। বাড়ীভাড়া বিষয়ক সাধারণ চুক্তিটি স্বাধীন হতে হবে। বাড়ীর মালিক তার বাড়ীর মূল্য নির্ধারণ করে বাড়ীভাড়া নির্ধারণ করবে। বহু রুচীশীল বাড়ীর মালিক তার বাড়ীতে ডেকরেশন ও আধুনিক ফিটিংস বাবদ বেশ অর্থ বিনিয়োগ করে, কাজেই বাড়ীর ভাড়া নির্ধারনে মালিক ব্যতিত তৃতীয়পক্ষ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। বাড়ীভাড়া চুক্তিটির মেয়াদ ২টি ধারায় করা যেতে পারে : ১ / অস্হায়ী চুক্তি : কোন অবস্হায় এই চুক্তিটির মেয়াদ ১১ মাসের উপর হতে পারবে না।

২ / দীর্ঘ চুক্তি : এই দীর্ঘ চুক্তির মেয়াদ কাল হবে ৫বছর। যদি কোন চুক্তির মেয়াদ কাল ১১ মাসের অধিক সময় করা হয় তাহলে চুক্তিটিকে আইনত দীর্ঘ চুক্তি হিসাবে ধরে নেয়া হবে । ৫ বছর মেয়াদ পূর্ন হবার ১ মাস পূর্বে উভয় পক্ষের মাঝে যদি কোন প্রজ্ঞাপন বিনিময় না হয় তাহলে অটোমেটিক চুক্তিটি আরো ৩ বছর মেয়াদে নবায়ন হয়ে যাবে। ৩ বছর সময় উত্তীর্ন হলে উভয়ের সম্মতিক্রমে ১ বছর ও পরবর্তি বছর সর্বমোট ১০ বছর মেয়াদ পূর্ন করে চুক্তির বৈধতা শেষ হবে। বাড়ীওয়ালা কারণে অকারণে বাড়ীভাড়া বৃদ্ধি করে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়।

বাড়ী ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত জটিলতা, বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে আনেকে মনে করেন। চুক্তি অনুযায়ী বাড়ীওয়ালা কোন অবস্হায় প্রথম বছরে বাড়ীভাড়া বাড়াতে পারবে না। ১২ টি মাস অতিক্রম শেষে মালিক ভাড়া বাড়াতে পারবে এবং ভাড়া বৃদ্ধির পরিমান হবে দেশের মুদ্রাস্ফীতির উপর। যদি দেশে সে বছর মুদ্রাস্ফীতির পরিমান ৬% ভাগ হয়ে থাকে তাহলে যিনি ১০ হাজার টাকা ভাড়া দেন তাকে ৬ শত টাকা বেশী অথাৎ ১০৬০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে,এ সংক্রান্ত বিধি বিধান প্রনয়ণ অবস্যক। দেশে আবাসন শিল্প প্রসরের সাথে সাথে প্রচুর ফ্লাট তৈরী হয়েছে যদিও চাহিদার চেয়ে অনেক কম, অনেক ফ্লাট মালিক তার ফ্লাট ভাড়া দিচ্ছেন।

বাড়ীওয়ালা ও ভাড়াটিয়া বৃদ্ধির সাথে সাথে অমিমাংসিত সমস্যাটি বাড়বে যদি না সরকার এখনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।