আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাল্টনের পরমাণুবাদ আবিষ্কারের কথা!

এই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই রকমের মানুষ আছে। ভালো মানুষ যারা ভালো কাজ করে। আর খারাপ মানুষ যারা খারাপ কাজ করে। এটাই মানুষদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য। আর কোন পার্থক্য নেই... আমি ভাল মানুষ...☺☺☺
আমরা অনেকেই (বিশেষ করে যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছি) ডাল্টনের পরমাণুবাদ নামে একটা জিনিসের সম্মূখিন হয়েছি নবম শ্রেণীতে থাকতে।

জন ডাল্টন নামের একজন সবপ্রথম পরমাণু আবিষ্কার করেছেন। ডাল্টনের পরমাণুবাদ এখন বর্তমানে স্বীকৃত নয়। তারপরেও তার এই পরমাণুবাদ আবিষ্কার একটা বিস্ময়কর ঘটনা এবং এই আবিষ্কারের ঘটনাটি আরোও বেশি বিস্ময়কর। এই পোস্টে আমি ডাল্টন কীভাবে তার পরমাণুবাদ আবিস্কার করেছেন তা নিয়ে লিখবো। জন ডাল্টন যখন ছোট ছিলেন তখনকার কথা।

সাধারণত সব বিজ্ঞানীদেরকেই ছোটবেলায় আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। জন ডাল্টনের ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রম ঘটেনি। তার মাথায় সারাদিন উদ্ভট সব চিন্তা-ভাবনা ঘুরে বেড়াতো। আমরা কিছু কিছু বিজ্ঞানীর জীবনী থেকে দেখেছি তারা তাদের উদ্ভট প্রশ্ন ও চিন্তাধারা দিয়ে শিক্ষকদের বিপাকে ফেলে দিতেন। কিন্তু ডাল্টন শুধু শিক্ষক নয়, তার বাবা-মাকেও বিপদে ফেলে দিতেন।

তার এই উদ্ভট চিন্তাভাবনার মধ্যে একটা ছিল এরকম। "ওই দূরে আকাশটা যেখানে গিয়ে মাটির সাথে মিশেছে, আমি সেখানে যেতে চাই। "- ডাল্টন এই ইচ্ছাটার কথা সবাইকে বলতো। তার শিক্ষকরা তাকে বোঝাতে চেষ্টা করলো যে এটা সম্ভব নয়। আকাশ সেখানে গিয়ে মিশেনি।

কিন্তু ডাল্টন কিছুই বুঝতেন না। তার এটা ছিল একরকমের জেদ। একদিন তার বাবা অনেক ভেবে-চিন্তে দেখলেন যে ছেলের মাথা থেকে এই উদ্ভট চিন্তা বের করার একটাই উপায় আছে। সেটা হলো তাকে ওই স্থানে নিয়ে গিয়ে দেখানো যে আকাশ সেখানে মেলেনি। ডাল্টনের বাবা ডাল্টনকে আর ডাল্টনের মাকে নিয়ে যাত্রা আরম্ভ করলেন।

ডাল্টন খুব আগ্রহ নিয়েই যাত্রা শুরু করলেন। ডাল্টনের বাবা তাদের গ্রামের পরের গ্রামে গেলেন। গিয়ে বললেন, "দেখেছো, আসলেই ওই স্থানে যাওয়া যাবে না। ওই স্থান আসলে আমাদের চোখের ভুল। " কিন্তু ডাল্টন কোন কথা শুনবেন না।

সে আরো যেতে চাইলো। তারপর তারা একের পর এক গ্রাম যেতে লাগলেন। একসময় ডাল্টনের বাবা-মা হাপিয়ে উঠলেন। তারপরও ডাল্টন যাত্রা চালিয়ে গেলেন। একসময় সে নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়লো।

তার বাবা সেটা দেখে সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না। তার মাথায় একটা বুদ্ধি উকি দিল। সে ঠিক করলো এমন কিছু একটা করবেন যাতে তার ছেলের মাথায় এরকম উদ্ভট চিন্তা আর না আসে। এবার ডাল্টন ক্লান্ত হয়ে যাত্রা বন্ধ করতে চাইলে তার বাবা বললেন তাকে তিনি আকাশের ওই যায়গায় নিয়েই ছাড়বেন। আবার গ্রামের পর গ্রাম যেতে লাগলেন তারা।

একসময় ডাল্টন ক্লান্ত হয়ে আর হাটতে পারলেন না। প্রায় অচেতন অবস্থায় তার বাবা-মা তাকে বাড়ি নিয়ে আসলেন। তাদের মনে খুশি। যাক, ছেলের উদ্ভট চিন্তা-ভাবনা বন্ধ হবে। এখন পড়ালেখায় একটু বেশি মনোযোগ দিতে পারবে ডাল্টন।

কিন্তু ডাল্টনের মা পরেরদিন-ই অবাক হয়ে গেলেন ছেলের একটা কথা শুনে। ডাল্টন তার মাকে বললো, "মা, আমি আমাদের এই ভ্রমন থেকে কি শিক্ষা পেলাম জানো? আসলে আকাশ গিয়ে দূরে মেলেনা। আকাশ এতটাই বিশাল যে আমাদের চোখ এটাকে ধরতে পারে না। তাই দূরে যাওয়ার পর সেটাকে আমাদের চোখ নিচে নামিয়ে দেয়। " ডাল্টনের পরের কথাটায় তার মা আরো বেশি বিস্মিত হলেন।

ডাল্টন তার পরের কথাটায়-ই বললো, "আমার ধারণা আকাশ যেরকম বৃহৎ বলে আমরা তাকে দেখতে পারি না তেমনি এমন অনেক ক্ষুদ্র জিনিসও আছে যেটাকে আমরা দেখতে পারিনা। " আট বছর বয়সের ডাল্টনের বুদ্ধিমত্তা ছিল খুবই উচু পর্যায়ের। সাধারণ কোন বালক হলে কোনদিনও আর ওদিকের পথ মাড়াতো না। ডাল্টনের মা তখন-ই বুঝে গেলেন যে তার ছেলে বড় হয়ে পুরো দুনিয়াকে কাঁপাবে। এবং এটা তখন সত্যি সত্যি-ই হয়েছিল।

এরপরেই শুরু হলো ডাল্টনের আসল জ্বালা। ডাল্টন ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিলেন। তিনি ঘরে বসে থেকে সামনে যা পেলেন তাই ভাঙ্গতে লাগলেন। গ্লাস থেকে শুরু করে সব। বছরের পর বছর কিশোর বয়সী ডাল্টন ঘরে বসে কাটালো শুধু জিনিসপত্র ভেঙ্গে।

একদিন তার মাকে সে বললো, "আমি বলেছিলাম না মা যে এমন অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস আছে যা আমরা দেখতে পাইনা? এই দেখ। এই কাগজটাকে এই যন্ত্রের মধ্যদিয়ে তাকালে কিছু দেখতে পাও কিনা। " ডাল্টনের মা যন্ত্রটিকে ব্যবহার করে কাগজের মধ্যে অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দেখতে পেলেন। যা তিনি খালি চোখে দেখেননি বা যা খালি চোখে দেখা অসম্ভব। এভাবেই আবিষ্কৃত হলো পরমাণু।

আর সেটাকে ডাল্টন আবিষ্কার করলেন খুব-ই কম বয়সে। ডাল্টন বলেছিলেন যে পদার্থের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম একক হলো পরমাণু। এটা অবিভাজ্য। অর্থাৎ পরমাণুকে আর ভাঙ্গা যায়না। কিন্তু পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা পরমাণুকেও ভাঙ্গতে সক্ষম হলেন এবং এখন আমরা জানি যে পরমাণুকে ভাঙ্গলে ইলেক্ট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন পাওয়া যায়।

সূত্রঃ এই লেখার কোন সূত্র নেই। আমাদের জীববিজ্ঞান শিক্ষক আমাদের এই ঘটনাটা বলেছেন। আমাদের শিক্ষক হয়তো আমাদেরকে ঠিক-ই বলেছেন কিন্তু ৩-৪মাস পরে লেখায় কিছু বিষয় বিকৃত হয়ে গেছে। তার জন্যে দূঃখিত। কষ্ট করে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।


 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।