আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু পৌরানিক প্রানী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই ক্রাকেন সাগরের আতংক। যেকোন আকৃতির জাহাজকে টেনে সাগরের গভীরে নিয়ে যেতে পারে। গ্রীক উপকথার সৃষ্টি।

বাচছি এখন আর কোন ক্রাকেন দেখা যায়না। সাগরে কাজ করি নাম শুনলেও বুক কাপে। আমিত আমিত হল পৌরানিক মিশরীয় প্রানী। এটা কুমির মুখী, শরীরের মাঝভাগ চিতার মত আর পেছনে জলহস্তী। মৃত্যু দেবতা আনুবিস যদি কোন মতে কোন পাপিষ্ঠকে হাতের কাছে পায় তবে তাকে তখনই আমিত এর কাছে দেয় খেয়ে ফেলার জন্য আমিত পাপিষ্ঠ আত্মা কে সম্পূর্ন খেয়ে ফেলে।

আমিত হল আনুবিস এর পোষা কুকুর ( আমাদের ভাব ধারায়)। আনুবিস শিয়ালের মুখাকৃত আনুবিস হল মিশরীয় মৃত্যু দেবতা। কেউ যখন মারা যায় তখন তার আত্মাকে আনুবিস একটি স্কেলের মাধ্যমে পরিমাপ করে, যদি দেখে ওটা পাপিষ্ঠ, তাকে আমিতকে খেতে দেয় আর যদি দেখে না পূন্নাত্তা তা হলে আবার এই পৃথিবীতে ফেরত আসে। ক্যান্সার গ্রীক মিথোলজির দৈত্যাকৃতি কাকড়াই ক্যান্সার নামে পরিচিত। হেরা এই কাকড়া তৈরী করেছিল হারকিউলিকসের সাথে হাইড্রার যখন যুদ্ব হয় তখন হাইড্রাকে সাহায্য করার জন্য।

হারকিউলিকস যখন হাইড্রার সাথে যুদ্ব করছিলো ক্যান্সার তখন বারবার হারকিউলিকসের পা বেয়ে উঠে কামড় দিচ্ছিলো। হারকিউলিকস পরে পায় পিষে একে মেরে ফেলে। সেন্টর গ্রীক পৌরানিকে প্রথম আধামানুষ আধা ঘোড়া এই প্রানীটির দেখা পাওয়া যায়। খুব বেশি গ্রীক গল্পে এদের চোখে পড়ে না আযটেকদের মধ্যে কিন্তু এই সেন্টর দেবতা জ্ঞানে পুজিত হত। যার কারনে আজটেকরা ঘোড়ায় চড়ত না।

স্প্যনিয়ার্ডরা যখন আযটেক আক্রমন করে কি ভয় টাই না পেয়েছিল আযটেকর ঘোড়ার পিঠে মানুষ দেখে! তাদের ধারনা ছিল সেন্টররা তাদের আক্রমন করছে। সারবিরাস তিন মাথা ওয়ালা কুকুর যার লেজটা আবার সাপের মত। মৃত্যুপুরীর পাহারাদার। চাইমেরা গ্রীক মিথোলজির আগুন মুখো পাখি। যারা “ফ্রোজেন থর্ন” গেমটা খেলছেন তাদের নতুন করে চাইমেরা চিনাতে হবে না।

সিংহীর শরীরের পেছন দিয়ে ছাগলের মাথা বিশিষ্ট পাখী। মুখ দিয়ে আগুন বের করতে পারে। সাইক্লোপস এক চোখা গ্রীক পৌরানিক দানব। পলিফেমাস সাইক্লপসের কথা মনে আছে না সেই যে অদিসি তার বন্ধু দের নিয়ে এক দ্বীপে যেয়ে দেখে এক গুহার সামনে মানুষের হাড়……… পরে পলিফেমাস যখন গুমাচ্ছিল তখন তার চোখে জ্বলন্ত শিক ঢুকিয়ে হত্যা করে। নিশ্চয়ই মনে পড়ছে সেই গল্প।

মেডুসা মেডুসাকে কে না চেনে, সেই যে সাপের চুল বিশীষ্ট গ্রীক সুন্দরী যার দিকে তাকালেই মানুষ পাথর হয়ে যেত। পরে পার্সিউস একে এর সামনে এক আয়না ধরে হত্যা করে। কি তাকাবেন নাকি সুন্দরী মেডুসার দিকে? মিনোটোর ষাড়ের মাথা বিশিষ্ট মানুষ মিনোটর নামে পরিচিত। এদের নিবাস ছিল ক্রীট দ্বীপের ল্যাবেরিন্থে। বীর থেসুস যদি এদের হত্যা না করত তা হলে কিন্তু এরা এখন ও বেচে থাকত।

মহা ঝামেলায় পড়ে যেতাম। পেগাসাস মেডুসার রক্ত যখন সাগরে পড়ল তখন সাগরের ফেনা থেকে সাদা রংয়ের পাখাযুক্ত ঘোড়ার জন্ম হয় এর নামই পেগাসাস। বেলিরোফোন যখন চাইমেরা আর আমাজান্দের সাথে যুদ্ব করে তখন কিন্তু এই পেগাসাস এর পিঠে চড়ে ছিল।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.