আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাত - শিবির শুরু করছে কি?? ওগোরে থামাও নাইলে তো দেশে মনে হয় কোনো মানুষ শান্তি পাইবো , ওরা ১৯৭১ শান্তি দেয় নাই এখনও দিবো না

ঘটনা১; দিনাজপুরে শিবির-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ৩, দিনাজপুরে শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১৫ শিবিরকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় ৩ শিবিরকর্মীকে আটক করে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বড় বন্দর রেলবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় ৩ শিবিরকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শনিবার সকালে দিনাজপুরে শিবিরকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বড় বন্দর রেলবাজার এলাকা পার হওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এসময় শিবিরকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশ ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে ৩ শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ঘটনা২; শিবির-পুলিশ সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া রণক্ষেত্র; শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ পুলিশ। এসময় শিবিরকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের চাষাঢ়া এলাকায় বিজয়স্তম্ভের কাছে সকাল সোয়া ১০টার দিকে জড়ো হন শতাধিক শিবিরকর্মী।

সেখান থেকে বিজয়স্তম্ভের উল্টো দিকে অবস্থিত শহীদ মিনারে দিকে যেতে শুরু করে শিবির কর্মীদের একটি ঝটিকা মিছিল। এসময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলা চালায় শিবির কর্মীরা। শিবিরকর্মীরা পুলিশ সদস্যদের লাঠি দিয়ে আঘাত ও তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে বলে জানায় পুলিশ। এতে আহত হন পুলিশের ১২ সদস্য। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মনজুর কাদের সাংবাদিকদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ঘটনা৩; হরতালে থমথমে বগুড়া, হাতবোমা বিস্ফোরণ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় চার জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মী নিহতের প্রতিবাদে বগুড়ায় জেলা জামায়াতের ডাকা হরতাল চলছে। হরতালে সমর্থন দিয়েছে জেলা বিএনপি। এদিকে, হরতাল ঘিরে বগুড়ায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শহরজুড়ে টহল দিচ্ছে র্যাব ও পুলিশ। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।

শনিবার সকাল থেকে শহরে যান চলাচল ছিল না বললেই চলে। দূরপাল্লার যান চলাচল ও দোকানপাট ছিল বন্ধ। অফিস-আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল কম। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসার বাইরে যায়নি। হরতাল পালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জামায়াত-শিবির।

হরতাল পালনে যুবলীগ-ছাত্রলীগ কিংবা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বাধা আসলে তা প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনের নেতারা। হরতাল চলাকালে বিক্ষিপ্তভাবে পিকেটিং করতে দেখা গেছে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের। সকালে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের সামনে তারা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশি বাধায় তা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় ছয়টি হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার হরতাল চলাকালে দুপুরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় শিবিরের এক নেতাসহ দুজন নিহত হয়।

এরপর সন্ধ্যায় পুলিশের গুলিতে আরও দুই শিবিরকর্মী নিহত হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জেলায় শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জামায়াত। (সংকলিত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.