আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পত্রিকার পাঠক : মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চায় বেশির ভাগ মানুষ। ব্লগের পাঠক?

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে সব অভিযুক্তই জামায়াতের হওয়ায় তাদের বাঁচানোর জন্য জামায়াত-শিবির মরিয়া হয়ে সহিংস পথ বেছে নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অসাংবিধানিক পথও অবলম্বন করেছে তারা। এ নৈরাজ্য কোনোক্রমেই চলতে পারে না।

পাঠকরা মনে করেন, দেশের বেশির ভাগ মানুষ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দেখতে চায়। তবে কেউ কেউ এ বিচার স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। * যুদ্ধাপরাধ হলো জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ। দেশপ্রেমিক সব নাগরিক এ অপরাধের বিচার চায়। জামায়াত-শিবির বিচার বন্ধ করতে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে এতে সাধারণ মানুষের জীবন সংকটাপন্ন।

রাষ্ট্র বা জনগণের কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। জামায়াত-শিবিরের এমন কর্মকাণ্ড ইসলামবিরোধী, মানবতাবিরোধী, দেশবিরোধী। এদের কর্মকাণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ইসলাম। এরা এখন দেশের ভেতরে সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের প্রতিহত করবে আশা করি।

খান ইমদাদুল হক পান্নু বোয়ালমারী, ফরিদপুর। * রাজাকারদের বিচার বানচালের জন্য যারা চেষ্টা করছে, নিঃসন্দেহে তারা দেশের মঙ্গল চায় না। অথচ এ বিচার হতেই হবে। তবে শর্ত থাকবে, বিচারটা অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে হতে হবে। দেশ ও জাতি বর্তমান সরকারের কাছে এই আশা করে।

আমরা সবাই একটা সুন্দর বিচারকার্যের অপেক্ষায় আছি। কবির খন্দকার বনানী, ঢাকা। * একাত্তরে ওরা শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি, ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ করেছে। আর স্বাধীন দেশের মাটিতে রাজনীতি করে মন্ত্রীও হয়েছিল। এই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরাই বিপুল অর্থ খরচ করে গরিব মানুষকে ব্যবহার করে রাস্তায় আন্দোলন করছে।

ওদের এই বিপুল অর্থের উৎস বন্ধ করা দরকার। নিশ্চয়ই অনেকাংশ অর্থ একাত্তরের লুটপাট থেকে সঞ্চিত। ওরা মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে হাজার হাজার টাকা খয়রাত এনেও ফান্ড করেছে, যা বর্তমানে ব্যবহার করছে। সামাজিক আন্দোলনের দ্বারা এদের প্রতিহত করা উচিত। দেশবাসীর কাছে সত্য প্রকাশ করে ওদের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করা উচিত।

কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর রিকাবিবাজার, মুন্সীগঞ্জ। * মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ- এ দুটির সংজ্ঞা সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্বাধীনতা-পূর্ব ও পরবর্তী সময় ক্রমে মানবতাবিরোধী অপরাধ চলছেই। জামায়াতের কোনো নেতা বা কর্মী যদি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকেন তবে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতক দল।

যাদের সংসদে প্রতিনিধি রয়েছে। তাই জামায়াতকে গণতন্ত্রের স্বার্থে সুষ্ঠুভাবে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়া উচিত। নিজাম উদ্দিন চকবাজার, ঢাকা। * জামায়াত-শিবির এতটা নৈরাজ্য করতে সাহস পেত না, যদি বিএনপির ঘাড়ে তারা সওয়ার হতে না পারত। তারা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে দেশের মধ্যে অরাজকতা তৈরি করতে চাচ্ছে।

দেশের মধ্যে যে গুপ্তহত্যা রয়েছে তা তদন্ত করে রাষ্ট্রকে দেখতে হবে। জামায়াত-শিবির এ দেশের মধ্যে বাসা বেঁধে অর্থনৈতিকভাবেও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তাই তাদের মেরুদণ্ড আগে ভাঙতে হবে। জামায়াত-শিবিরকে চিহ্নিত করে দেশের সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে। তবে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের নৈরাজ্যমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করতে স্পেশাল বাহিনী গড়ে তুলতে হবে।

তাদের কাজই হবে এ ঘাতকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা। নইলে রাষ্ট্রের মধ্যে বড় ধরনের অরাজকতা তৈরি করবে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। একাত্তরের এ ঘাতকদের বাংলার মাটি থেকে চিরতরে নির্মূল করতে না পারলে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে। বাংলাদেশকে তারা আফগানিস্তান বানিয়ে ছাড়বে। সে পরিস্থিতি যাতে ঘটতে না পারে, তার জন্য আইনের কঠোরতা প্রয়োগের বিকল্প নেই।

মো. আবদুল হাকিম বিনোদপুর, পঞ্চসার, মুন্সীগঞ্জ। * জামায়াতের হিংসাত্মক কার্যকলাপ কঠোর হাতে দমন করতে না পারলে ভবিষ্যতে আরো বিপদে পড়বে এ দেশ। পুলিশ জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে মার খাচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। ওরা একাত্তরে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও, খুন-ধর্ষণ করেছে, এ যেন তারই আলামত। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী দিয়ে ওদের দমন করা দরকার।

পুলিশ যদি ওদের ভয়ে পালায় বা মার খায়, তবে সাধারণ জনগণকে নিরাপত্তা দেবে কে? এভাবে চলতে থাকলে পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। সরকারকে বলব, মহাজোটের সব শরিক দলের সঙ্গে বসে শিগগিরই একটি সঠিক ও কঠোর সিদ্ধান্ত নিন। যাতে দেশের এ শত্রুরা আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। দেবতোষ হাওলাদার অমিত মিরপুর, ঢাকা। * জামায়াত-শিবির দেশের ভেতরে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, তার জন্য দায়ী আমরাই।

এরা হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এরা একাত্তরে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা করেনি। তারা কিভাবে এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার পায়? তাদের এ দেশের থাকার কোনো অধিকার নেই। বাংলাদেশ স্বাধীন। আর স্বাধীন দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এ ধরনের বর্বর হামলা আমাদের শঙ্কিত করে।

স্বাধীনতার ৪১ বছরেও কেন আজ শহীদদের সন্তানরা তাদের বাবার হত্যার বিচার পাবে না? কেন যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হবে না? আমরা যদি ওই নরপশুদের বিচার না করতে পারি জাতি হিসেবে সভ্য বলে পরিচয় দেওয়া কঠিন হবে। পাকিস্তানি দোসর জামায়াত-শিবিরকে এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। রাষ্ট্রক্ষমতায় স্বাধীনতার পক্ষশক্তি। অথচ কেন তারা এদের রাজনীতি এত দিনেও নিষিদ্ধ করেনি। এ প্রশ্ন আজ সবার।

প্রবাদ আছে- স্বাধীনতা আনার চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আর দেশের এ সংকটাপন্ন সময়ে সচেতন নাগরিকসমাজ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে হবে। রবিউল হোসাইন সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম। * মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। প্রকৃত অপরাধের শাস্তি সবার কাম্য হলেও বিচার নামের প্রহসন অনাকাঙ্ক্ষিত।

গোলাম কিবরিয়া জিঞ্জিরা বাজার, ঢাকা। * মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার চলছে। কিন্তু শিবির নামে যারা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের বিচার কেন হবে না, পুলিশ কেন ধরতে পারবে না; ধরলে কোর্টে কিভাবে জামিন মেলে? এসব প্রশ্নের সুরাহা করাও দরকার সরকারের। সরকারের দুচোখ নয়, চার চোখ খোলা রেখে কাজ করতে হবে। যদি সত্যিকার মঙ্গল চায় দেশের।

সাহাবউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ। * ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানিদের সাহায্য করেছিল তাদের রাজাকার বলা হয়। এ রাজাকাররা পাকিস্তানি সৈন্যের সব অপকর্মের প্রতি সমর্থন করেছে, সহযোগিতা করেছে। আমরা স্বাধীন দেশে অবশ্যই তাদের বিচার চাই। এখন তারা বিচার প্রতিহত করতে আত্মঘাতী হামলাও চালাতে পারে।

সরকারের তা মাথায় রাখতে হবে। সরকারের সব সময় বলা উচিত নয় যে বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এতে মানুষের মনে শঙ্কা ছড়াতে পারে। বিচার তার নিয়মেই চলবে, চলুক। আনিসুল হক চৌধুরী হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

* জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকর আচরণের কারণে দেশ পিছিয়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবারের হরতালেও পাঁচজন নিহত। জামায়াত-শিবিরকে বলতে চাই, আপনারা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করুন। পুলিশ ও সাধারণ মানুষ মেরে নয়। মো. হাবিবুর রহমান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কুমিল্লা।

* যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারাধীন তাদের বিচার অবশ্যই হবে। কিন্তু যারা বলছে বিচার নিরপেক্ষ হচ্ছে না এবং বাধা দিচ্ছে, তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আর জামায়াত-শিবিরের সব অর্থের উৎস ব্যাংক, এনজিও, ইনস্যুরেন্স কম্পানিসহ গণিমতের মাল লুট করে যা সঞ্চয় করেছিল সব বাতিল-বাজেয়াপ্ত করা হোক। কাজী আনোয়ারুল আজিম ময়মনসিংহ। * মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধ করতে যারা তৎপর তাদের বিচারও হোক।

সরকারের উচিত কঠোরভাবে এসব নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের দমন করা। মো. মামুন রশীদ হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর। * প্রথমত জামায়াত-শিবির একটি জঙ্গিবাদী দল, নৈরাজ্য সৃষ্টি করাটা এদের রক্তে মিশে আছে। জামায়াতে ইসলামী এ দেশকে কখনো ভালোবাসেনি। কারণ এ দেশে তাদের উৎপত্তি হয়েছে স্বাধীনতার বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান দিয়ে।

অপরাধী যে-ই হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তার প্রাপ্য। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতদের শাস্তি হবে, হতেই হবে- সে যে দলেরই হোক না কেন। এখন জামায়াত-শিবির নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, কারণ তারা দলকে বড্ড বেশি ভালোবাসে, দেশকে মোটেই নয়। আইন আইনের নিয়মেই চলবে। হরতাল-নৈরাজ্য করতে গিয়ে দেশের আপামর জনগণকে যারাই প্রতিনিয়ত বিপাকে ফেলেছে, তারা আর যেই হোক না কেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা তাদের নেই।

শিবির-জামায়াত এর বাইরে কেউ নয়। এখনই সময় দেশবিরোধী এ দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ জনগণের সামষ্টিক শক্তির কাছে এসব ফালতু বর্বরতা কোনোদিনই টিকতে পারবে না। মনে রাখতে হবে, শিবির-জামায়াতে ইসলামী মানে ইসলাম নয়, এদের নিষিদ্ধ কিংবা শায়েস্তা করার নামও ইসলামের বিরোধিতা করা নয়। প্রকৌ. ভানু ভাস্কর সিলেট।

* জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। তারা রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ করে হামলা চালাতে পারে না। ট্রাইব্যুনাল একটি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ব্যবস্থা। তারা প্রয়োজনে আদালতে যেতে পারে, কিন্তু এই পেশিশক্তি প্রদর্শন কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। সালেহ বায়েজিদ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ।

* মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে যে জামায়াত এমন কাণ্ড করছে, তার সুযোগ পাচ্ছে কয়েকটি কারণে- ১. পুলিশের লোকবলের অভাব, পর্যাপ্ত অস্ত্র ও লোক দিতে হবে, ২. গোয়েন্দা বিভাগের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে, ৩. বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা এই মুহূর্ত থেকে করতে হবে, ৪. প্রধানমন্ত্রীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে হবে। কমল রঞ্জন রায় ময়মনসিংহ। * হত্যা, ভাঙচুর, জ্বালাও, পোড়াও- এ কোন রাজনীতি চলছে? কলেজের ছাত্রদের হাতে দা, লাঠি, বোমা এ কোন দৃশ্য! আমরা সত্যিই ভয় পাচ্ছি, এদের রূপ কী? এরা কখনো শান্তিনিকেতনী ব্যাগ কাঁধে নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে, ভোর সাড়ে ৫টায় পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এটা কোন রাজনীতি, নাকি সহিংসতা ও নৃশংসতা দ্বারা এ দেশকে একটি জঙ্গিবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার পাঁয়তারা চলছে? মনে হচ্ছে, ধর্মীয় রাজনীতির আড়ালে মানবতার মৃত্যুই এদের কাম্য। প্রশ্ন থাকে, অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এখন নিশ্চুপ কেন? এ দেশে পীরবাদী একটি বড় অংশ ধর্মীয় রাজনীতি চর্চা করে, অথচ তারাও এখন কথা বলছে না।

আর তাই এখন প্রয়োজন প্রগতিশীল গণতন্ত্রমনা রাজনীতিবিদদের একত্র হওয়া। ওয়াহিদ মুরাদ নেছারাবাদ, পিরোজপুর। * মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধীদের বিচার দেশের জনগণের দাবি। এটি অবশ্যই বর্তমান সরকারকে পূরণ করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে সবচেয়ে বড় বাধা এখন প্রধান বিরোধী দলের অপপ্রচার ও অস্পষ্ট দুরভিসন্ধিমূলক ভূমিকা।

তাদের দাবি সরকার কেবল বিরোধী দলকে ধ্বংস করার জন্য এ মামলাগুলো দিয়েছে এবং এগুলো স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না। আমার বক্তব্য, বিএনপির উচিত সরকারি দলে যুদ্ধাপরাধী থাকলে তাদের ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ জনগণের সামনে উপস্থিত করা এবং একই আদালতে মামলা করা। তখনই একমাত্র বোঝা যাবে, সরকারের লক্ষ্য কী। দ্বিতীয়ত, এখন পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা কি কেউ মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি? না করে থাকলে বিএনপির ব্যারিস্টাররা আইনগত সহায়তা দিচ্ছেন না কেন? সুমন ভট্টাচার্য ধানমণ্ডি, ঢাকা। * মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার হোক, এটা সরকারের কাছে এ দেশের মানুষের দাবি।

কিন্তু তা হতে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। বর্তমানে জামায়াত-শিবির যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তা তাদের আটককৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন। জামায়াত একটি নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। তারাও চায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে, এর উদাহরণ বৃহস্পতিবার খুলনা ও রাজশাহীতে হরতাল পালনকালে গণমাধ্যম প্রত্যক্ষ করেছে।

কিন্তু পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় এবং নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তাই পুলিশ বাহিনীর উচিত, তাদের কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেওয়া। মো. আবু সাঈদ মদিনা মার্কেট, সিলেট। * জামায়াত-শিবির একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। তাই সরকারের উচিত তাদের প্রতি সহনশীল আচরণ করা, সরকারের ক্রমাগত দমন-নিপীড়ন এবং অসহিষ্ণু আচরণ দলটিকে আক্রমণাত্মক করে তুলেছে।

তাই সরকারের উচিত গণতন্ত্রের স্বার্থে সহনশীল আচরণ করা। আবুল ওয়াহাব কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। * এ বিচার হোক, তবে বিচার স্বচ্ছ হোক সেটা সবাই আশা করে। মো. বজলুর রহমান রাজবাড়ী। * ছাত্রশিবিরের মতো ছাত্রলীগও তাণ্ডব চালিয়ে জনজীবন অস্থির করে তুলেছে।

তাই সরকার উভয় দলেরই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড কঠিন হাতে রোধ করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে- এটাই আশা রাখি। মতিউর রহমান জিঞ্জিরা, ঢাকা। * বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার পর যখন উন্নয়নের জোয়ারে পাল তুলতে পেরেছে, ঠিক তখনই যুদ্ধাপরাধীরা মাতা তুলে দাঁড়িয়েছে। তাদের বিচার সঠিক সময়ে সঠিকভাবে হয়ে গেলে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। ফারুক হোসেন বাগমারা, রাজশাহী।

* মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবি আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। কিন্তু এর বিচার হবে কি না জানি না। ১৯৭১ সালে যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে পাকিস্তানি বাহিনী। তখন জামায়াত শান্তি বাহিনী গঠন করে। এর মাধ্যমে হিংস্র আচরণের পাশাপাশি তারা কিছু মানুষকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে বাঁচিয়েছে।

তবে পরে ৯ মাসে রাজাকার আলবদর, আল শামস গঠিত হয়ে যে গুপ্তহত্যা চালিয়েছে; কে বা কারা করেছে তার কী সঠিক হিসাব আছে? দেশের মানুষ শান্তি চায়, মানুষ চায় না প্রতিহিংসা। ফোরকান আক্তার চৌধুরী মহাখালী, ঢাকা। * আমি মনে করি, সরকারের এখনই কঠোর হস্তে এই জামায়াত-শিবিরকে দমন করতে হবে। যদি তা করতে না পারে তাহলে চরম নৈরাজ্যে ঠেলে দেবে ওরা। নাশকতা, গুপ্তহত্যা থেকে শুরু করে সব ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবে।

আলহাজ খালিদ হাসান পাইকপাড়া, নারায়ণগঞ্জ। * মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হওয়া দরকার। কিন্তু জামায়াতের বাইরে যারা আছে তাদেরও ধরা হোক। মো. আলী মানিক নোয়াখালী। * প্রথমেই দলটির নিবন্ধন বাতিল, এরপর রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা।

এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কারণ কোনো রাজনৈতিক দল অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য রাজপথে নামতে পারে না, অপরাধীর অপরাধ প্রমাণিত হলে সাজা দেবেন আদালত, কিন্তু যে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের আইনের প্রতি নূ্যনতম শ্রদ্ধাবোধ রাখে না, তাদের সম্পূর্ণ কার্যকলাপ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তাই আমরা সবাই চাইব এই অপশক্তিকে চিরতরে বিদায় করা হোক বাংলাদেশের মাটি থেকে। আর বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য তাদের সহযোগিতা করছে। রঞ্জু তালুকদার মার্কুলী বাজার, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ।

* মানবতাবিরোধী অপরাধ সভ্য সমাজে চরম গর্হিত অপরাধ হিসেবে পৃথিবীর সর্বত্র গণ্য করা হয়। ফলে এসব অপরাধের বিচার ও শাস্তি নির্দিষ্ট দিনক্ষণ করে নয়, বরং যুগ বা শতাব্দী পরে হলেও নিশ্চিত করা অবধারিত। আমাদের মহান পবিত্র স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে জামায়াত-শিবির এ ধরনের অগণিত অপরাধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল বলে তখনকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিকরা এন্তার চাক্ষুষ প্রমাণ ও দলিলাদি উপস্থাপনে সক্ষম। ফলে সে অনুযায়ী বর্তমান সরকার দীর্ঘ চার দশক পর সংশ্লিষ্টদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারের রায়ে মতদ্বৈধতা থাকতে পারে এবং সে জন্য উচ্চ আদালতে আপিলেরও সুযোগ আছে।

কিন্তু ওই বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে কোনো দল বা গোষ্ঠীর অবস্থান নেওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল হিসেবেই গণ্য হওয়া উচিত। স্মরণতব্য সক্রেটিসকে বিতর্কিত বিচারের রায়ে বিষপানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। অথচ তখনকার রাজ সভাসদসহ ক্ষমতার সর্বত্র সক্রেটিসের গুণগ্রাহী, গুণমুগ্ধ ও শিষ্যরাই অধিষ্ঠিত ছিলেন। ফলে ঘনিষ্ঠদের অনেকেই তাঁকে মৃত্যুকূপ থেকে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে সক্রিয় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে হাসতে হাসতে বিষপান করে মৃত্যুকেই বরণ করে নিয়েছিলেন।

এতে সক্রেটিসের মান-মর্র্যাদা এক তিল পরিমাণও কমেনি, বরং সহস্র গুণে বেড়েছে। অথচ বর্তমান জামায়াত-শিবির মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার কথা গায়ের জোরে অস্বীকার করে যেভাবে তাদের রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সশস্ত্র আক্রমণ, খুন, মারধর, জাতীয় সম্পদ ভাঙচুর ও ক্ষয়ক্ষতি, জ্বালাও-পোড়াও নীতিসহ চরম সামাজিক নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তা কোনোমতেই জাতির কাম্য নয়। বরং এতে করে তাদের ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডের ন্যক্কারজনক বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। কাজেই শক্ত হাতে এদের দমনে জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে জাতিকে এর জন্য চরম খেসারত দিতে হবে।

ভূঁইয়া কিসলু বেগমগঞ্জী হাজীপুর, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। * জামায়াত-শিবির আবার একাত্তরের অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বাঁচাতে যে ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তা বরদাশত করার মতো নয়। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে মনে রাখতে হবে জামায়াত-শিবির এ দেশের জন্য বিষধর সাপের মতো। তারা সুযোগ পেলেই ছোবল বসাবে।

তাই কোনো দলেরই উচিত নয় এ কালো সাপদের প্রশ্রয় দেওয়া। একাত্তরে তাদের যে ভূমিকা ছিল তা দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মানবতাবিরোধী অপরাধীরা দেশের অনেক নিরীহ মানুষ হত্যা করেছে। মা-বোনদের ইজ্জত হানি করেছে। বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ছারখার করে দিয়েছে।

দেশকে মেধাশূন্য করেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যা-না ক্ষতি করেছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে এ দেশশত্রুরা। একাত্তরের এ ঘাতকদের দেশ ছাড়া করতে না পারলে তারা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। আবার হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠবে। তারা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগোচ্ছে।

তাই রাষ্ট্রকে আরো সজাগ থাকতে হবে। তারা রাষ্ট্রের মধ্যে অনেক অঘটন ঘটিয়ে ফেলছে। একাত্তরের ঘাতকরা যাতে পার পেতে না পারে, তাই দ্রুত এদের বিচার করে ফাঁসিতে ঝোলানোই হবে রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। মো. সেলিম আহমেদ ডালিম দেওভোগ, বেপারীপাড়া নারায়ণগঞ্জ। * মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচাল করতে জামায়াত-শিবির দেশের ভেতর যে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে তা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

একাত্তরে এ নরপিশাচদের কোনো ক্ষমা নেই। তারা পুলিশের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যে ভীতি ছড়ানোর কৌশল অবলম্বন করছে, তার জন্য নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা। একাত্তরের এ ঘাতকরা দেশের জন্য বিষফোঁড়ার মতো। তারা সুযোগ পেলেই রাষ্ট্রের মধ্যে অরাজকতা তৈরি করতে ভুল করে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায় হয়েছে।

এবার বাকিগুলোর হবে। সেটাই এখন তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই জামায়াত-শিবির পুলিশ এবং যানবাহন ভাঙচুর করে নৈরাজের পাঁয়তারা করছে। তাই জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। হাজি মো. মজনু খান তারাব, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।

* মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়ায় যেন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা না থাকে, সে বিষয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বিচার বিভাগকে সচেষ্ট হতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো রাজনৈতিক দলের সহিংসতা, নৈরাজ্য যেন এই বিচারে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। মো. তৌহিদ আহমেদ খাটিংগা, মুকুন্দপুর, বিজয়নগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া। * বিচার চলছে, এ ক্ষেত্রে আইনি প্রতিরোধ করা যেত। কিন্তু হরতাল দিয়ে জনগণ, জানমালের তথা দেশের ক্ষতি করা কোনো রাজনৈতিক দলেরই অধিকার নেই।

ওমর ফারুক আবির চট্টগ্রাম। সুত্র  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.