আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

য়াজাদ আর টুটুলের কারণে হারিয়ে গেল ব্লগারদের মহৎ একটি অর্জন

www.cameraman-blog.com/

বৃহস্পতিবার রাত্রে আমরা ক'জন রওনা হয়েছিলাম রাজশাহীর উদ্দেশ্যে। মূল লক্ষ্য শ্বাশ্বত'কে দেখা এবং তার হাতে সামহোয়্যারইন ব্লগ এবং আমার ব্লগ এর উঠানো অর্থের চেক হস্তান্তর। আপনাদের আমি জানাতে চাই শ্বাশ্বতের হাতে ৪লক্ষ ৮২ হাজার টাকার চেক হস্তান্তরিত হয়েছে। চেকটা জমা হবে শ্বাশ্বতের বাবার একাউন্টে। সেই সাথে আমি জানাতে চাই ২ জন ব্লগারের প্রচন্ড একগুয়েমির কারণে এই দুই ব্লগের সমস্ত অর্জন আজ ভূলন্ঠিত।

আপনারা জানেন রাজশাহী ইউনির এক শিক্ষকের উন্নাসিক আচরণের কারণে এই দুই ব্লগের সন্মানিক ব্লগারবৃন্দ অত্যন্ত ক্রুদ্ধ ছিলেন। শুধূমাত্র শ্বাশ্বতের কথা চিন্তা করে এই মহতি প্রচেণ্টাকে আমরা সামনে এগিয়ে নেয়ার মানসে ব্লগাররা রাজশাহী যেতে রাজী হয়েছিলেন। ব্লগাররা ২টা বিষয়ে একমত হয়েছিলেন - ১. টাকাটা শ্বাশ্বত বা তার তার বাবার একাউন্টে দেয়া হবে, ইউনির ফান্ডে না। ২. ব্লগাররা কেউ প্রেস কনফারেন্সে যাবেন না। গত সোমবারে শাহবাগের মিটিং এ য়াজাদ সুপরিকল্পিত ভাবে প্রেস কনফারেন্সে যাওয়ার ব্যাপারে ব্লগারদের মত আদায়ের চেষ্টা করে।

এক্ষেত্রে সে শ্বাশ্বতের প্রতি ব্লগারদের ভালবাসাকে ব্যবহার করে অস্ত্র হিসেবে এবং বলা যায় সফল হয়। আমি এবং দিপু এর তীব্র বিরোধীতা করি প্রেস কনফারেন্সে যাওয়ার ব্যাপারে। পরদিন সেই শিক্ষক প্রেস কনফারেন্সে যাওয়ার কথা বলে একটি পোষ্ট দেয়। প্রাথমিক ভাবে আমি রাজশাহী যাব না বলে সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু কয়েকজন ব্লগারের পৌনপুনিক অনূরোধে রাজশাহী যেতে সম্মত হই।

বৃহস্পতিবার একজন ব্লগার আমাকে আমার দেশ পত্রিকাটি পড়ার অনূরোধ করেন। অনলাইন এডিশন পড়ার পর আমি হতবাক হয়ে যাই ... সেই একই কাহিনী ... রাজশাহী ইউনির ছাত্ররাই ... সামহোয়্যার ইন ব্লগ বা আমার ব্লগ এর কোন উল্লেখ নাই। আমি সহ-ব্লগারদের বিষয়টি জানাই। রাত্রে ট্রেনে বিষয়টি আবার উত্থাপিত হলে য়াজাদ রিপোর্টের পক্ষে সাফাই দেয়ার চেষ্টা করে। ট্রেনেই তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত হয় যে আমরা প্রেস কনফারেন্স এ কোনভাবেই যাব না।

পরদিন ষ্টেশনে সূজন এবং আরো একজন ছাত্র এসে আমাদের সেই শিক্ষকের বাসায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। তাকে বলা হয় ব্লগাররা নাস্তা করে শ্বাশ্বতকে দেখতে যাবে। সেই মোতাবেক আমরা শ্বাশ্বতের বসায় যাই এবং চেক হস্তান্তর করি। ফেরার পথে য়াজাদ আবার সেই শিক্ষকের সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং আমাদের মতামত চায়। নেমেসিস তীব্র আপত্তি জানায়।

তখন য়াজাদ জানায় সে যাবেই। তখন আমি প্রশ্ন করি আপনি যদি যাবেনই তবে আমাদের মতামত চাইছেন কেন ঘটা করে। এর কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নাই। নিরব দেখা যায় টুটুল ওরফে প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব কে। পথে কোন একটা আমবাগানের ছবি তোলার সময় এই দুইজন একান্তে কিছু আলাপ করেন।

গাড়ীতে ফিরে য়াজাদ জানায় সে একটা প্লাস পেয়েছে। আমরা বুঝতে পারি কি ঘটেছে বা ঘটতে যাচ্ছে। বিকালের দিকে উজ্জল একটা মেসেজ পাঠা নেমেসিস কে। মেসেজটা ছিল এরকম - "আমরা নোংরা এটা জানতাম। কিন্তু আপনারা যে আমাদের চেয়ে বেশী এটা জানা ছিল না।

আমি আর কোন ব্যাপারে আপনাদের সাথে নাই। " এখানে বলে রাখা ভাল উজ্জল আমাদের সাথেই রাজশাহী গিয়েছিল এবং স্টেশন থেকেই ক্যাম্পাসে চলে যায়। সন্ধ্যার দিকে য়াজাদ এবং টুটুল কাউকে কিছু না বলেই কোথায় জানি চলে যায়। রাত ১০টার দিকে দিপু ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে তাদের ব্যাগ নিয়ে রেষ্টুরেন্টে আসতে বলে। সেখানে উপস্থিত হলে আমি অত্যন্ত খোলাখুলিভাবেই তাদেরকে ইগনোর করি এবং অন্যদের করতে বলি।

এতে নাকি য়াজাদ মনে দূঃখ পেয়েছে। নেমেসিস কে সে একথা জানিয়ে স্বীকার করেছে যে তারা সেই শিক্ষকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। নিজেকে আজ খুব ছোট মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এই দুইজন আমার দুই গালে জুতা দিয়ে বাড়ি দিয়েছে সজোরে। ভাবছি আমার ইগো আমি কেন তাহলে বিসর্জন দিব।

কোন দূঃখৈ ..... আমি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১. য়াজাদ আর টুটুলের সাথে আর কোন যোগাযোগ না। ২. শ্বাশ্বত ক্যাম্পেইন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার। ৩. প্রস্তাবিত "প্রাপ্তি ফাউন্ডেশন" এর কোন কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত না করা। ভাল থাকবেন।

{এটি সম্পূর্ণই আমার নিজের ভাবনা এবং সিদ্ধান্ত}

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।