আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহারে....। [ ৫০তম পোষ্ট; পড়া এবং + দেয়া বাধ্যতামূলক ]

শঙ্খপাপ আমার

এখানে কিভাবে এসেছিলাম ঠিক মনে এখন আর, মনে আছে গুগলের বদৌলতে এই সাইট খুঁজে পাওয়া। ভালো লেগেছিলই, প্রথম প্রথম অবশ্য হতবাক হয়েছিলাম। নিয়মকানুন বুঁজে একদিন আবেদন করে সদস্য হয়ে গেলাম। আমার যাত্রা শুরু...। মূলত নিজের ব্যাক্তিগত লেখা প্রকাশের উদ্দেশ্য ছিল।

তারপর একটা বিজ্ঞানবিষয়ক লেখা দিলাম। ভালই সাড়া পেয়েছিলাম। তারপর কবিতা দেয়া শুরু করলাম। প্রথম প্রথম তেমন কেউ পড়ত না। এখন পড়ে।

কবিতা ভালোবাসি অনেক, মাঝে মাঝে গল্পও লিখি। কিন্তু গল্প প্রকাশের উপযুক্ত পরিবেশ এটা না। বড় লেখাতে এখানে অরুচি। আমি যখন S.S.C তে এ+ পেলাম, তখন অনেক স্বপ্নছিল ঢাকায় পড়ব। কিন্তু তা আর হয়নি।

বাবা কানাডায় থাকত, আমরা চলে আসলুম। প্রথম প্রথম বাংলা সাইটগুলোতে ঘুরতাম আর নাটক, গান নামিয়ে নিতাম। এখন আর হয় না তেমন। এ ব্লগের কিছু কিছু বিষয় আমার ভালো লাগে নি, লাগবেও না। রাজাকারদের নাচানাচি, আজইরা পোষ্ট দেয়া।

বাংলা কবিতার একটা নব ধারা লক্ষ্য করলাম এখানে, ইংরেজি শব্দের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার। আমি বাংলা কাব্যের এই নবধারাকে ঘৃণা করি, বাংলা কবিতায় ইংরেজি শব্দের অহরহ ব্যবহার। আমি বিশ্বাস করি বাংলা কবিতা হবে নির্মল বাংলা শব্দে, জংবড়ং হবে না। আমি জানি, বাংলা ভাষার অনেক শব্দই বহিরাগত। কিন্তু আমাদের শব্দ সৃষ্টির সুযোগ আছে, আছে পারিভাষিক শব্দ ব্যবহারের স্বাধীনতা।

আমাদের ভাষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দ্বায়িত্ব আমাদেরই, তা না হলে, বাংলা ভাষার অবলুপ্তির আশংকা থেকে যায়। আমি মাঝে মাঝে একটা স্বপ্ন দেখি। একদিন আমি এমন কিছু করব যে মানুষ আমায় মনে রাখবে, আমার প্রস্থানের পরেও। আমি ব্যক্তি হিসেবে হয়ত রাশভারী, কিংবা কঠিন। মনকে নিয়ন্ত্রণের এক প্রবল ইচ্ছাশক্তি নিয়ে আমি জন্মেছি, আমি টের পাই।

জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি যেগুলো কাম্য ছিল না; পাইনি অনেকেরও। মনে পড়ে স্কুলের সেইসব বন্ধু, অধিকাংশের সাথে যোগাযোগ নেই। ক্ষমাপ্রার্থী বন্ধুরা, আমি জানি তোদের মহৎ হৃদয় আমাকে ক্ষমা করে দিবে; এখানেই তোদের বিশালতা। নিজের কথা এখন। ব্লগের কথা বলি।

অনেক মানুষের মন্তব্য পেয়েছি, কিছু কিছু মানুষকে বড়ই আপন মনে হয়েছে। জানি হয়ত কারো সাথেই জীবনে কখনো দেখা হবে না, কিন্তু মাঝে মাঝে কোন অবসাদের বেলায় তোমাদের মনে পড়বে। রাশেদ, মানুষ, আসিফ আহমেদ, রেটিং, সবাক এরা আমার থেকে বয়সে অনেক বড়, আমি জানি। আমি তুমি বলে সম্বোধন করি, কাছের মনে হয়। এই বিশাল হৃদয়ের মানুষগুলো আমার এই বেয়াদবি মাফ করে দিয়েছে, আমি এই বিশ্বাস করি।

রাশু আসলেই অতিশয় ভালো পোলা; সত্যি ছেলেটার একটা ভালো মন আছে। মানুষ দারুণ লেখে, তার সব ধরনের লেখার ভক্ত আমি। মাঝে মাঝে আমার কাছে তাকে অবিশ্বাস্য মনে হয়। আসিফ কিংবা সোহাগ ভাইদের কবিতা নতুন কিছু ভাবতে শেখায়; সবাকে কবিতা যেমন মনোহর। মুকুল ভাই'র কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক আমি।

তাঁর কবিতা প্রথম প্রথম পড়তাম না, কিছু পোষ্টে তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য পেয়ে। ভাবতাম, নিশ্চয় লোক ভালো না। কিন্ত কয়দিন পরেই আমি সুচিত্তের এক মানুষকে আবিষ্কার করলুম। চিটি, রাতিফ, উত্তরাধিকার,কালপুরুষ এবং প্রণব দা'র কবিতা মনের খোরাক যোগায়। রাগ ইমনের লেখা অপূর্ব।

এস্কিমোকে একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক মনে হয়। তাঁর লেখাগুলো অসামান্য। সাজি'পু অভিভাবকতুল্য; কেমন বড় বোনের মত মনে হয়। কালবেলা আর দেবদারুর কবিতা ছিল আমার নিত্য পাঠ্য। তাঁরা উভ্য়ই এখন অনিয়মিত।

ফারহান ভাই কিংবা প্রচেত্যকে আমার দারুণ লাগে। হুনলুলু, তানিম ভাই এরা অসাধারণ লিখেন। কবিতাগুলো অপূর্ব। আরিফ থেকে আনা, মানবী, ইমন ভাই, বিবর্ণ, মেহরাব শাহরিয়ার এদের অনেক ভালো পাই। নিহন দারুণ আঁকিয়ে, সম্ভাবনা আছে ওর মাঝে; কাজে লাগাতে হবে।

নিলা মেয়েটা দুঃখী দুঃখী পোষ্ট দেয়, আমি দোয়া করি, ও যেন অপার সুখে থাকে। সে আমাকে একটা গান উৎসর্গ করেছিল, আমি ধন্যবাডও দিইনি। এখন দিচ্ছি, জেন শুধু, সেই বিকালটায় আমি তোমার গানটাই বারবার শুনেছিলাম, তোমায় বলিনি। আরো অনেকে আছে, লিখতে গেলে দ্বিতীয় মহাকাব্য হয়ে যাবে। যাদের কথা লিখতে পারিনি, তাঁদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

somewhereinblog এর বাংলা কি হতে পারে? আমি নিজে বের করলাম, "কোথাও এ কথকাস্থানে। " যে ইমোটিকনগুলো ভালো লাগে : সব শেষে সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।