আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকার আলবদর পরিচিতি - পর্ব-২

পাখি এক্সপ্রেস

(১ম পর্বে আব্দুল কাদের মোল্লাকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ ছিল। তথ্যে অপর্যযাপ্ততার কারণেই এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এবং ২/১ টি তথ্য ভুল ছিল । তাই প্রথম পর্ব থেকে ঐ অংশটুকু বাদ দেয়া হয়েছে। ) ============================================= রাজাকার পরিচিতি ১ম পর্ব আবদুর কাদের মোল্লা : আবদুল কাদের মোল্লা ইতিহাসের ঘৃনিত খুনীদের মাঝে একজন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মিরপুরে বসবাস করতো। সেসময় ঐ এলাকায় সবাই তাকে ”কসাই” নামে ডাকতো। মিরপুর এলাকা তখন ভারতীয় বিহারীদের এলাকা ছিল, যারা পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করতো। আবদউল কাদের মোল্লা সেই বিহারীদেরকে সাথে নিয়ে ঐ এলাকায় গণনিধন কার্যক্রম চালায়। বস্তুত তার হাতে কত বাংলাদেশীর প্রাণনাশ হয়েছে তার কোন হিসাব নেই।

ঐ এলাকায় তখন সেনাবাহিনী অপারেশন চালানোর আগেই মোল্লার হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছিলো। ২ সহস্রাধিক বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়েছিলো এই কসাইর হাতে। সবচেয়ে ঘৃনিত ও ন্যাক্যারজন্ক পশুবৃত্তি প্রকাশ ঘটে টুনটুনি নামক এক ১৮ বছর বয়সী বালকের নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায়। টুনটুনি ছিলো স্বাধীনতার পক্ষের সক্রিয় এক তরতাজা তরুন। তার অসীম সাহসে মোল্লার বেশ কয়েকটি অপারেশন ভুন্ডুল হয়ে যায়।

যার কারণে টুনটুনি চলে আসে হিট লিস্টে। একদিন রাতে টুনটুনিকে বাসা থেকে কিডনাপ করা হয়। মিরপুরের বড় একটি মাঠে টুনটুনিকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। দু’দিন পরে মোল্লা এসে টনটুনির হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলে। পরে টুনটুনিকে ছেড়ে দেয়া হয়।

কিন্তু সেই টুনটুনিকেই আবার কিডন্যাপ করা হয় এবং এবং কাদের মোল্লা কসাই তাকে হত্যার আদেশ দেয়। সেই আদেশ পালন করা হয় এক মধ্য রাতে টুনটুনিকে গুলি করে হত্যা করে। টুনটুনির লাশ গাছের সাথে বেঁধে রেখে এলাকা বাসীকে বলাহয় ” কেউ যেন এখান থেকে টুনটুনির লাশ না নেয়”। কিন্তু পরদিনই টুনটুনির বন্ধুরা এসে রাতের অন্ধকারে টুনটুনির লাশ নিয়ে চলে যায়। মোল্লার নির্মম ভাবে খুন হন কবি মেহেরুন্নেসা।

মেহেরুন্নেসার খুনের দৃশ্য দেখে তাঁর বাড়ির কাজের লোক সিরাজ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। এখনও সেই সিরাজ বেঁচে আছে। মোল্লার হাতে কিডন্যাপকৃত অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সময় আর ফিরে আসেনি। বর্তমানে মোল্লা দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি !! সে এখন রীতিমত গণভবন আর বঙ্গ ভবনেও যায় !! ============================================ এএসএম সোলায়মান : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও সথানার বইধ্যের বাজার এলাকার এএসএম সোলায়মান। বর্তমানে ”কৃষক শ্রমিক পার্টি’র” প্রেসিডেন্ট।

তার বর্তমান ঠিকানা হচ্ছে ২০/১ পল্লবী। ১৯৭১ সালে মালেক মন্ত্রীসভার মন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই দেশবিরোধী কোজে খুব সক্রিয় হয়ে পড়ে সোলায়মান। ৮ এপ্রিল সেনাবাহিনীকে আদেশ দেন দেন আরও কঠোর হতে এবং সব প্রতিরোধ ভেঙ্গে ফেলতে। মে’র ৭ তারিখে তিনি শান্তি কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন , ”সারাদেশের মানুষকে চেক করতে কারা কারা সরকার বিরোধী এবং পরে তাদের যেন সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়”।

তার এই ঘোষনার পরে বাংলাদেশে শান্তি বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চলে। শুধু দু’দিনেই ঢাকা শহরে ১০ সস্রাধিক সাধারণ মানুষ খুন হয়। নারায়নগঞ্জের শান্তি কমিটির লিডারদের নিয়ে সোলায়মানের নেতৃত্বের বিষয়ে জেনোসাইড ৭১-এ বলা আছে-Solaiman had appointed every chairman of the then Union Parisads as chairman of the ‘Peace Committee’. Among them (1) Raja Moulavi of Aminpur (2) Shamsul Haq Khan of Perojpur (3) Alauddin of Boiddyer Bazar (4) Gafur Sarker of Sammandi (5) Abdul Mannaf Bhuiyan of Jampur UP (6) Hossain Khan of Kanchpur (7) Bakhar Ali of Sathipur (8) Nasiruddin of Noaga (9) Abdur Rob Milkey of Barodi (10) Rafiqul Islam of Mograpara and (11) M A Jaher of Shomvupura Union Pariashad were appointed as chairmen of the Peace Committee. Soanrgaon Peace Committee chairman ASM Solaiman led them as their leader. M A Zaher was also appointed the General Secretary and Raja Moulavi as Organising Secretary of Sonargaon unit of Peace Committee (PC). Alauddin and Mohiuddin Mollah, a brother of Solaiman, acted in absence of Solaiman. ভিবা রানী নামের এক হিন্দু বালিকাকে সোলায়মান অপহরন করে নিজ হাতে পাকিস্তানী সেনাদের হাতে তুলে দেয়। সারারাত ক্যাম্পের সকল সেনাসদস্য রাজাকার সাথীদের নিয়ে ধর্ষণ করার পর ভিবাকে ছেড়ে দেয়। সেই ভিবা এখন ভারতে বসবাস করছে।

মে’র শুরুতে সোলায়মান নিজেই মাঠে নামে। ২৪ মে বইদ্যের বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের মিটিংয়ে হামলে পড়ে সোলায়মানের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় ১০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে। চলবে....... এই পোস্টটি এই পোস্টটি আমার শিবির বিষয়ক যত পোস্ট এ সংরক্ষিত আছে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.