আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমির রাজাকার ইউসুফের ৭১'র ভুমিকা । (নোট) ইচুব্যাও রাজাকার

সামনে আছে অনেক কি ছু, দেখতে চাই আর ও কিছু

গ্যাটকো মামলায় সৎ রাজাকার নিজামী ধরা খাইলে জামতের ভারপ্রাপ্ত আমির হিসাবে আবুল কালাম মোঃ ইউসুফ কে নিয়োগ দেওয়া হয় । জামাতের শীর্ষ নেতাদের সবার বিরুদ্ধেই একাত্তুরে স্বাধীনতা বিরুধী ভুমিকার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে । এ কে এম ইউসুফ ও তার বাইরে নয় । জামাতের ভারপ্রাপ্ত আমিরের ৭১'র ভূমিকা দেখলেই বুঝা যাবে জামাত একটা রাজাকারী দল । স্বাধীনতা , মুক্তিযুদ্ধ , বাংলাদেশ ওরাতখনও বিশ্বাস করেনি এখন ও করেনা ।

যদি করতো তবে এই সুযোগে একজন দেশপ্রেমিক লোককে ভারপ্রাপ্ত আমির নিয়োগ দিত ( যদিও আমার জানামতে জামাতের রাজনীতিকরা লোকদের মধ্যে দেশপ্রেমিক কোন নেতা নাই )। মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্র তেকে প্রকাশিত ''একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়'' গ্রন্থে বলা হয়েছে ,এ কে এম ইউসুফের বাড়ী বাগেরহাট জেলার শরনখোলা থানার রাজৈর গ্রামে । সে রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্টাতা । জামাতের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী ১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনার খান জাহান আলী রোডের আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামাত কর্মি নিয়ে সর্বপ্রথম রাজাকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করে । ১০ই অক্টোবর১৯৭১ খুলনার এক জনসভায় এই রাজাকার ইউসুফ বলে,''প্রত্যান্ত অন্চল সফর করে জংনকে ভারত কর্তৃক সৃস্ট তথাকথিত বাংলাদেশের অসারতা বুঝাতে হবে ।

১২ই অক্টোবর১৯৭১ খুলনায় শান্তিকমিটি ও চাষীকল্যান সমিতির দেওয়া সংবর্ধনায় সে বলে ,''নদীপথে চলাচল নির্বিগ্ন করার জন্য রাজাকার নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে ''। ২৬ অক্টোবর ১৯৭১ সিলেটের এক জনসভায় এই রাজাকার বলে ,''পাকিস্হান সৃস্টির সম্পর্কে অগ্য কিছু তরুন ভারতীয় মিথ্যা প্রচারনায় বিভ্রান্ত হয়ে সীমানার ঐ পারে গিয়েছে এবং ভারতীয় চরদের যোগসাজসে আমাদের ভুখন্ডের অভ্যন্তরে ঘৃন্য নাশকতামুলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে । এসব নাশকতা মুলক কর্মকান্ড ধ্বংস করে আমাদের ভুখন্ড থেকে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে সমূলে উৎপাটন করতে আপনারা গ্রামে- গন্জে আনাছে- কানাছে ছড়িয়ে পড়ুন । আমাদের উপর যদি কোন যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয় তবে বীর সেনাবাহিনী ও বির রাজাকাররা তার বিরুদ্ধে আঘাত করবে ''। ২৮শে নভেম্বর ১৯৭১ করাচিতে এক সাংবাদিক সন্মেলনে সে বলে ,''রাজাকাররা আমাদের সেনাবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতীয় হামলা মোকাবেলা করছে ।

বর্তমানে আলবদর আলশামসের সদস্য সংখ্যা এক লাখে দাড়িয়েছে ''। উপরোক্ত বক্তব্যই প্রমান করে মাওলানা এ কে এম ইউসুফ কখনই আমাদের মহান স্বধীনতা যুদ্ধ , আমাদের স্বাধীনতা , আমাদের মানচিত্র, আমাদের পতাকা , আমাদের জাতীয়তাবাদ কোনটাই বিশ্বাস করেনা । তাই তার মত একজন কুখ্যাত রাজাকর স্বধীন গনতান্ত্রিক একটি দেশের একটি দলের প্রধান হতে পারেনা ( যদিও দলটি ও আমাদের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিরুধীতা কারি হিসেবে স্বীকৃত )। নোটঃ ইচুব্যাও রাজাকার ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.