আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকার আলবদর পরিচিতি (পর্ব-১)

পাখি এক্সপ্রেস

আব্বাস আলী খান: মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে জামায়াতের সেকেন্ড ইন কমান্ড (ডেপুটি চীপ) ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ভূমিকায় সক্রিয় ছিলেন। রাজাকার বাহিনীর পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন। সেনাবাহিনী বাহিনীর সাথে আশ-শামস এবং আল বদর বাহিনীর মধ্যস্থতা কারী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন। তখনকার শান্তি কমিটির ব্যানারে পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখতেন।

একাত্তরে যারা পাকিস্তান সরকারের পক্ষে মিডিয়া ট্যাকেল করতো আব্বাস আলী খান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। সেনাবাহিনীর পক্ষে তিনি বেশ কিছু সংবাদ সম্মেলন করেন। ২৫ নভেম্বর ১৯৭১ সালে এইরকম এক কনফারেন্সে বলেন, "I have no doubt that the Indian army has began a shameless aggression in several fronts under the guise of the Mukti Bahini with the despicable aim of swallowing East Pakistan. Our armed forces alone cannot carry on this war. It is the duty of every citizen to strengthen the hands of our soldiers and help save the dignity of our dear Pakistan" বাংলাদেশের বিজয় ঘনিয়ে আসার সময়ে ১০ই ডিসেম্বর অন্য এক কনফারেন্সে বলেন, "In the Battle of Badr, only 313 Muslim troops faced over 1,000 Kuraish, and were victorious. Today, 130 million people (the then population of West Pakistan and Bangladesh combined) are fully prepared to defend this sacred land. Our enemies are the rumor mongers, the agent provocateurs and those who propagate in favor of India or that imaginary country Bangladesh. You have to be ware of these enemies. Smash their poisonous fangs at the first opportunity. Join hands with our Razakar, Al-Badr and Al- Shams forces and dedicate yourself to the task of saving the country." মো: কামরুজ্জামান: দৈনিক সংগ্রামের প্রাক্তন সম্পাদক এবং দৈনিক সোনার বাংলার সম্পাদক কামরুজ্জামান ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ জেলা "ইসলামী ছাত্র সংঘের" সভাপতি ছিলেন। ৭১'র জুলাইতে শেরপুরে তার নেতৃত্বে ১১ সদস্যের রাজাকারের একটি দল ফজলুল হক নামের এক গ্রামবাসীকে পাশের সেনা ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে হত্যা করা হয়।

২৪ আগস্ট তার আদেশে একই এলাকার গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে শেরপুর জেলার সুরেন্দ্র মোহন রোডের এক বাড়িতে স্থাপিত আল বদর ক্যাম্পে নিয়ে টর্চার করা হয়। পরে তার নির্দেশে গোলাম মোস্তফাকে হত্যা করা হয়। শেরপুর কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হান্নানকে পুরো নগ্ন করে, মাথার চুল ফেলে দিয়ে, গলায় জুতার মালা পরিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে ঘোরানো হয় এবং পুরোটা পথে চামড়ার বেল্ট দিয়ে ফেটানো হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন কামরুজ্জামান স্বয়ং। জিয়াউল হক নামের শেরপুর আওয়ামী লীগের বর্তমান এক নেতাকে ৭১'র ২২ আগস্ট আল বদর বাহিনী তাদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।

তাকে একটি অন্ধকার গর্তের মাঝে রাখা হয়। গভীর রাতে কামরুজ্জামান এসে তাকে টর্চার করতো। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাবার শর্তে জিয়াউল হককে ছেড়ে দেয়া হয়। এরকম আরও অনেক কাহিনী আছে কামরুজ্জামানকে নিয়ে। আব্দুল আলীম: প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার সদস্য আবদুল আলীম একাত্তরের "শান্তি কমিটির" সদস্য ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় জয়পুরহাট রাজাকার বাহিনীতে নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির দায়িত্বে ছিলেন আবদুল আলীম। আবদুল আলীমের নেতৃত্বে সবচেয়ে ভয়ংকর হত্যাকান্ড ঘটে জয়পুর হাটের হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম করইকান্দিতে। ১৬৫জন নারী-পুরুষকে নিজের হাতে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁছিয়ে হত্যা করা হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.