আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচিত্র অভিজ্ঞতা

............................................

আমাদের বাড়ির সামনে একটা জামরুল গাছ আছে। একদিন বাবু ঢিল মেরে জামরুল পারছিল। আমি তখন গাছতলায় দাড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটা বড় ইট আমার মাথায় পড়ল। আমি তখন সত্যি বলতে কি তেমন ব্যথা পাইনি কিন্তু মাথাটা অবশ হয়ে গেল, তখন দুইহাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলাম।

তারপর মাথা থেকে কেমন ঠান্ডা একটা স্রোত অনুভূত হল। দুইহাত সামনে নিয়ে দেখলাম রক্তে ভরে গেছে। তখন আমি কান্না শুরু করলাম। মাটিতে বড় গর্ত করলাম একবার। তারপর গর্তে উপরে একটা পেপার দিলাম, তার উপরে মাটি দিয়ে এমনভাবে রাখলাম যেন বুঝা না যায় ওর তলায় গর্ত।

এরপর মামাতো বোনকে সেটার উপর হাঁটতে বললাম, সেটার উপর হাঁটতে গিয়ে গর্তে পা ঢুকে গেল এবং সে সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিল। খুব উপভোগ করলাম ব্যাপারটা। একবার স্কুলে টিফিনের সময় কিভাবে যেন একটা ফকির ঢুকলো। তার পা খোড়া, সাথে টিউমারও ছিল বোধহয়। প্রথমে স্কুলের কর্মচারী কয়েকজন তাকে দেখে হৈ হৈ করে উঠল।

সে একদম ঠাঁশ করে পড়ে গেল। স্যারদের খুব মায়া লাগল। তাঁরা তাকে বের করে দিতে নিষেধ করলো আর টাকাও দিল এবং আমাদেরকেও বলল কিছু দিতে। সবাই যে যার মত টাকা দিলো। টাকা নেওয়া হল এবং টিফিন শেষে লোকটা দৌড়িয়ে চলে গেল।

আব্বুর অফিসের একটা লোক বাড়িতে আসলো। মেহমান আসলে সাধারণত নিচতলার পশ্চিম দিকের ঘরটাতে থাকতে দেয়া হয়। কিন্তু ঐ ঘরটাতে ফ্যান নষ্ট হওয়াতে উনাকে দেয়া হল মাঝের ঘরটাতে। তখন প্রচুর গরম। আমি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিচতলায় চা বানাতে আসলাম।

আমি জানতাম না ঐ ঘরে ঐ ভদ্রলোক ঘুমাচ্ছেন। আমি ভাবলাম অন্য দিনের মত আমার কাজিনই ঘুমাচ্ছে। আমার এই কাজিনটার সাথে আমি অনেক ফাজলামী করতাম। তাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখলে শীতকাল হলে আমি ফ্যান চালিয়ে দিতাম, আর গরমকাল হলে ফ্যান বন্ধ করে দিতাম। তাকে আমার কাজিন মনে করে বদমাইসি করে ফ্যান বন্ধ করেলাম।

চা বানানোর পর যেই উপরে উঠতে যাবো তখন দেখি উনি ফ্যান চালিয়ে আবার ঘুমাচ্ছেন। খেয়াল করলাম উনার পরনে একটা চোখে আরাম লাগা ঘিয়ে রঙের টিসার্ট। তখন চিন্তা করলাম, ও তো রুচিসম্মত ড্রেস পড়েনা কিন্তু তাকে দেখে মনেহচ্ছে ওই কাজিনই। তাই আমি তার মাথার কাছে গিয়ে দুইহাত দিয়ে চুল টানতে লাগলাম। উনি উঠে আমার দিকে তাকালো।

তারপরে স্যরি বললাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।