আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্ষায় ত্বকের চাই বাড়তি যত্ন



নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। কবি বাইরে যেতে যতোই বারণ করুন না কেন, জীবনে এগিয়ে চলার পথে এক মুহূর্ত থেমে থাকার সময় কোথায়। নিজেকে উপেক্ষা করা যাবে না। কেননা এগিয়ে চলার এ প্রতিযোগিতায় থাকতে হবে সুস্থ, পরিপাটি ও সতেজ।

এজন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্নের। ঝড়ো হাওয়া, প্রখর রোদ আর মৃদুতালে হাওয়ায় উড়তে থাকা ধূলিবালির গ্রীষ্ম প্রায় শেষ। আসছে কালিমাখা মেঘের ঝরঝরে বাদল দিন। ঋতু পরিবর্তনে শরীর সহজেই রোগাক্রান্ত হয়। তাই বৃষ্টিতে ভিজলে সঙ্গে সঙ্গে জামাকাপড় পরিবর্তন করুন ও চুল শুকিয়ে নিন।

নইলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। বর্ষায় চুলের চাই বাড়তি যত্ন। সাধারণত ঝরঝরে চুল তাড়াতাড়ি শুকায়। তাই বর্ষায়ও প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত যে কোম্পানির শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয় সে কোম্পানির কন্ডিশনার ব্যবহার করাই উত্তম।

বাড়তি যতœ হিসেবে আমলা ও মেথি বাটা হালকা চায়ের লিকার মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মাথার চামড়া ও পুরো চুলে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এছাড়া মেহেদি, টক দই ও ডিম পেস্ট করে মাথায় লাগাতে পারেন। এ মিশ্রণটি ১৫ দিন পরপর ব্যবহার করা উত্তম। তবে মনে রাখতে হবে, যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

নইলে ওগুলো মাথায় জমে খুশকির সৃষ্টি হতে পারে। চুলের পাশাপাশি ত্বকেরও সমান যত্ন নিতে হবে। রূপচর্চার প্রথম শর্ত হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে ত্বকের মরা কোষ জমে ব্রন, মেছতা, কালো দাগসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের মরা কোষ সরে গিয়ে নতুন কোষ জন্ম দেয়।

তাই নিয়মিত ভালো কোনো কোম্পানির ফেস ওয়াশ যা আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই তা দিয়ে মুখম-ল ধুয়ে ফেলতে হবে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত খেয়াল রাখুন মুখে তেল জমতে দেবেন না। ত্বকের নিচে থাকা সেবাসিয়াস গ্লান্ড থেকে তেল বের হয় যা ত্বকের কোষের মুখ বন্ধ করে দেয়। এর সঙ্গে ধুলাবালি মিশে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস তৈরি হয়। তাই নিয়মিত মুখম-ল পরিষ্কার রাখতে হবে।

যাদের ত্বক শুষ্ক প্রতিবার মুখ ধোয়ার আগে ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন। এছাড়া বাড়তি যত্ন হিসেবে তৈলাক্ত ত্বকে কমলার খোসা বাটার সঙ্গে পরিমাণমতো ননিযুক্ত দুধ মিশিয়ে নরম পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করুন। শুষ্ক ত্বকের মসুর ডাল ও মেথি বাটার সঙ্গে ননিযুক্ত দুধ মিশিয়ে নরম পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান। উভয় মিশ্রণই ২০-৩০ মিনিট মুখে রেখে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে কোমল, মসৃণ, সতেজ ও লাবণ্যময়।

শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের যত্নে নিয়মিত গোসল করুন। বাইরে থেকে এসে হাতের কনুই পর্যন্ত ও পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অনেকেরই বর্ষায়ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হাত-পা ধুয়ে সঙ্গে সঙ্গে ময়েশ্চারাইজার ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ লোশন ব্যবহার করুন। প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করুন।

সঙ্গে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সুষম খাদ্য রাখার অভ্যাস করা। মৌসুমি ফল ও আমাদের দেশীয় ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত হাঁটাচলা কিংবা ব্যায়াম করুন। জীবন হয়ে উঠবে সুস্থ, সতেজ, রঙিন ও লাবণ্যময়।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।