আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ড্রাগের অনুভূতি!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

মাঝে মাঝে কিছু অনুভূতি বড় অদ্ভূত। কখনো হাটতে হাটতে নিঃস্বঙ্গ কোনো চিন্তা মাথায় জেকে বসে। তখন চোখে ভাসে একটি চেহারা আর পুরোনো স্মৃতি। বুকের ভিতর দলা পেকে কিছু একটা উঠে আসে মাথার ঠিক উপরে।

সবকিছু ফ্রীজ হয়ে বসে থাকে, পা হয়ে যায় বড্ড অবশ। মনে হয় শত সহস্র ক্রোশ হেটে চলা পা দুটো এখন বিদ্রোহ করতে চাইছে নিতান্ত অনিচ্ছায়। শরীর জুড়ে বয়ে চলে একটা শীতল রক্ত স্রোত, নিঃসাড় হতে থাকে দেহটা। চোখে সবকিছু স্হির। তখন আর হাটা যায় না।

শুধু মনে পড়ে হয়তো এ পথে মিশে ছিলো কিছু স্মৃতি, কিছু কথা। এ শহরের অলিগলি আজ হাসছে আমার দিকে আবার কাদতে চায় আমারি সাথে। কত শত ভীড়ে যেনো নিজেকে বড্ড অচেনা মনে হয়। হাত দুটো রক্তাক্ত করতে চাই আমারি ভুলের জন্য। জীবনের প্রতিটা সেকেন্ড মনে হয় একেকটা নির্ভুল আলোক বর্ষ।

কোথাও বসি নিশ্চিন্ত মনে, কোনো কান্না আসে না- বুঝতে পারি না, তবে এটা বুঝতে পারি চোখ দুটোও বিদ্রোহ করছে। এইতো একটু আগে সামনে দিয়ে বিশাল ভারী একটি ট্রাক ধোয়া উড়িয়ে বীর দর্পে চলে গেলো। মনে হলো একটা ঝাপ দেই- হ্যা তাইতো এটা দেয়া যেতো। কারন এখন কোনো অনুভূতি নেই এ শরীরে শুধু বিশাল অবসন্নতা ছাড়া। মাথাটা কেমন যেনো জমে গেছে।

পৃথিবীটা যেনো প্রতিদিন শাস্তিখানা হয়ে উপভোগ করছে আমার ছটফটানি। বহুকস্টে বাড়ি ফিরি, বড় ক্লান্ত, বিষন্ন পরাজিত। আস্তে আস্তে অস্হিরতা বাড়তে শুরু করে। শাওয়ারের নীচে মাথাটা রাখি, ভাবী পানির প্রথম ফোটার আঘাতে একটু এ্যাড্রিনালীন নিঃসরিত হোক। বুকের ভিতর জমে থাকা রক্ত গুলো একটু চলাচল করুক।

হয়তোবা মাথার নিউরনের রিসেপ্টরগুলোর প্রবাহ একটু বেরে যাক হঠাৎ ধাক্কায়। কাজ হয় না, তবে আয়নায় চেয়ে দেখি ঝর্নার পানিতে নিজের অশ্রু মিশে যাচ্ছে। আলাদা করতে পারি না চোখের কণা আর পানির কণার মধ্যে। মনে হলো অনেক দিন পর একটা বিধ্বস্ত আত্নাকে দেখছি আদ্যপান্ত, যাকে আমি নিজেই মারছি খুচিয়ে খুচিয়ে প্রতিনিয়ত। অব্যর্থ চেস্টায় হতাশ হ্রদয়ে ছাদে উঠে যাই।

হাতে আছে একটা এ্যাম্পুল, ৩ মি.গ্রা ঢুকিয়ে দেই রক্তে। হ্যা কাজ হচ্ছে, কাজ হচ্ছে অবশ্যই। প্রথমে নিউরনের অনুভূতিগুলো বুঝতে পারি যেখানে রিসেপ্টরগুলো আন্দোলিত করছে আমার ঝিমিয়ে পড়া চেতনাকে। সে কাজ করছে অবশ্যই, কিছু একটা করছে যা ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিটা লোম কূপে, আমি বুঝতে পারছি আমার শরীরে বইছে মহাসমুদ্রের নিয়মহীন স্রোত। অজানা উত্তেজনায় মনে হয় কাজটা সেরে ফেলি।

নীচে একবার তাকাই, হ্যা উড়তে খুব ইচ্ছে হয়। আকাশের দিকে দুএকটা কাক আপন মনে উড়ছে, তার সামনে অনন্ত আকাশ, ঠেকাবার কেউ নেই, কেউ ঠেকাবে না আজ ওকে, আমাকেও। হঠাৎ মনে হলো না আরেকটু থাকি, আরেকটু। এভাবেই সময়টা কাটুক না, শান্তি ভর করছে প্রতিটা লোমকূপে, আমার বিষন্ন চেতনায়। নেই কোনো স্মৃতি, নেই কোনো কস্ট জমা এ বুকে।

আজকে মিলিয়ে যাক বিশাল শূন্যের মাঝে। ঘুম এসে জমুক আমার চোখে, কতদিন ঘুমাই না: আমার শান্তির ঘুম! -৬.৬.২০০৮


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।