আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ বিউটিফুল মাইন্ড

সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com

বিউটিফুল মাইন্ড সিনেমাটি ২০০২ না ২০০৩-এ প্রথম দেখে থাকবো। এবং কোনো কারণে ভুলেও গিয়ে থাকবো। কেন ভুলে গেলাম তার কোনো যথার্থ ব্যাখ্যা আমার কাছে নাই। বিশেষ করে এমন একটা সিনেমার নাম সহ ভুলে যাওয়া খুব ইন্টারেস্টিং ঘটনা।

গত বছর আমার এক বন্ধু বললেন, এ বিউটিফুল মাইন্ড সিনেমাটি আমি দেখছি কি না? আমি বললাম, না দেখি নাই। তবে অনেক শুনছি সিনেমারটার কথা। ভাল? দেখি, দেখবো তো। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন পর ঘটনাক্রমে দুইজন বন্ধু কইলেন তাদের পছন্দের সিনেমা হইলো বিউটিফুল মাইন্ড। ঘটনাক্রমে এই তিন বন্ধুই নারী।

আমি বুঝে পাইলাম না, কেন তিনজন নারীই ঘটনাক্রমে সিনেমাটা পছন্দ করতেছেন। জানার জন্য সিনেমাটা কালেক্ট কইরা দেখা শুরু করলাম। বলাবাহুল্য, সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মালুম হইতে থাকলো যে, এইটা আমি আগে দেখছি। এবং এটা বিখ্যাত একটা সিনেমা। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জন ন্যাশের জীবনী অবলম্বনে লেখা একটা বই থেকে সিনেমাটা বানানো হইছিল।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে। প্রিন্সটনে জন ন্যাশের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এই সিনেমার শুরু। উইয়ার্ড জিনিয়াস এই বিজ্ঞানী গণিতে সাফল্য দেখান এবং পেন্টাগন থেকে ডাক পান। পেন্টাগন থেকেই তার পিছু নেয় বিগ ব্রাদার। রাষ্ট্রীয় গোপন কাজের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়।

বিগ ব্রাদারের সঙ্গে তার কাজ চলতে থাকে। ইতিমধ্যে এক ছাত্রী তার প্রেমে পড়ে এবং তার সঙ্গে বিয়ে তার জন ন্যাশের। তাদের একটা বাচ্চা হয়। ঘটনাক্রমে বেরিয়ে আসে যে, জন ন্যাশ সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত। বিগ ব্রাদার বলতে আসলে কেউ নেই।

এমনকি প্রিন্সটনে ন্যাশের রুমমেট হিসাবে যাকে দেখানো হয় তিনিও অলীক চরিত্র। অলীক এই দুই চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয় এক বাচ্চা মেয়ে। তারা সারাদিন সর্বত্র জন ন্যাশকে তাড়া করতে থাকে। সিজোফ্রেনিয়ায় যা হয়, ওষুধের সাহায্যে কিছুটা সুস্থ থাকতে পারা যায়। প্রতিদিন ওষধ খেতে হয়।

ওষধ বন্ধ করলেই ওই তিন অলীক চরিত্র ফিরে এসে জন ন্যাশের লাইফ হেল বানিয়ে দেয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে জন ন্যাশ আবার প্রিন্সটনে ফিরে আসেন। নিজের ইচ্ছাশক্তি দিয়ে তিনি বাঁচার এবং কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার পাশে থাকেন তার স্ত্রী। ন্যাশ বলেন, এই তিন অলীক চরিত্রকে তিনি অতীত হিসেবে ধরে নিয়েছেন।

মানুষ যেমন অতীতকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচে, তিনিও তেমনি এই তিন অলীক মানুষকে নিয়ে বাঁচেন। শেষ পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়ে আসে তার জীবন। একদিন প্রিন্সটনে তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন এক ব্যক্তি। একজন শিক্ষার্থীকে ডেকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, তার সামনে যে লোকটি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি আসলেই সেখানে আছেন কি না? শিক্ষার্থীটি হেসে বলে, হ্যাঁ। এই অভ্যাগত ন্যাশকে বলেন, এবছরের নোবেল পুরস্কারের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়েছে।

জন ন্যাশ নোবেল পুরস্কার দিতে গিয়ে স্ত্রীর প্র্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, তার জন্য আজ তিনি এখানে। রহস্য, সিজোফ্রেনিয়া, জ্ঞানচর্চা আর একটি সুন্দর মনের মানুষের সংগ্রাম নিয়ে সিনেমা। ভাল লাগার ব্যাপার নিঃসন্দেহে। কিন্তু মেয়েদের কেন বিশেষভাবে এই সিনেমাটা ভাল লাগে এই ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারলাম না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।