আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছেলেদের চুলের পরিচর্যা বিষয়ক পরামর্শ !!!



আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি ছেলেদের চুলের পরিচর্যা বিষয়ক কিছু আলোচনা ও পরামর্শ। পেশাগত কারণে ছেলেদের বাইরে বেশি থাকতে হয়, তাই তাদের চুলে সমস্যা দেখা দেয় বেশি। এ ছাড়া চুলের দুটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে খুশকি এবং চুল পড়া। চুলের এতসব সমস্যা সমাধানে সেলুনগুলোতে হেয়ার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

‘চুলের মূল দুটি জৈবিক উপাদান হচ্ছে প্রোটিন এবং কেরাটেইন। প্রথমত এতে কোন রক্তপ্রবাহ নেই। দ্বিতীয়ত এর মধ্যে শরীরের নার্ভাস সিস্টেমও থাকে না। তবে স্বাস্থ্যবান চুল বলতে সুন্দর চুলকে বুঝি। যার চুল যত ওয়েল মেইন্টেন্ড তার চুলের স্বাস্থ্য ততই ভালো।

যদি চুলের গোড়া শক্ত হয়, ইলাস্টিসিটি থাকে এবং চকচকে হয় তাহলে সেই চুলকেই আমরা ভালো চুল বলে থাকি। তাই ভালো চুলের জন্য কিছু নিয়মকানুন ছেলেদেরও মানতে হবে। ’ ছেলেরা যেহেতু বাইরে থাকে তাই চুল অনেক বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই এ চুলের ব্যাপারে অনেক বেশি যত্নশীল হতে হবে। মেয়েরা চুলের ব্যাপারে যতটা ব্যস্ত থাকে, ছেলেরা থাকে ততটাই উদাসীন।

তবে এখন এ বিষয়ে অনেকেই সচেতন হচ্ছে। ছেলেদের চুল অনেক কারণেই ড্যামেজ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেজা চুল শুকানোর জন্য সাধারণত টাওয়েল ব্যবহার হয়। কিন্তু টাওয়েল ব্যবহারে ছেলেরা ততটা যত্নবান না বলে অনেক সময় ছেলেদের চুল ছিঁড়ে যায়, আগা ফেটে যায় এমনকি রুক্ষ হয়ে যায়। আবার অনেকেই আছেন, যারা সব সময় গরম পানিতে গোসল করেন; কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রয়োজনীয় তৈলাক্ত উপাদান লোপ পায় এবং চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে।

আজকাল ছেলেরা ফ্যাশন হিসেবে হেয়ার স্ট্রেইটনিং, হেয়ার হাইলাইটস বা হেয়ার কার্ল করাচ্ছেন। যা এক ধরনের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট। তাই স্ট্রেইটনিং, হাইলাইটস বা কার্ল করানোর পর চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ভালো সেলুনগুলোতে পোস্ট কেমিক্যাল ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। হেয়ার স্পা : এই ট্রিটমেন্টটি মূলত চুলের ড্যানড্রাফ কমাতে দেওয়া হয়।

চুলে এক ধরনের গ্গ্নেজ আসে। চুলে কোনো প্রকার স্ক্রাব থাকে না। ফলে চুল সতেজ ও সিল্কি হয়। একদিকে চুল অনেক ঝরঝরে হবে, অন্যদিকে ঘামের কারণে চুলে দুর্গন্ধ হয়। সেটিও পুরোপুরি গন্ধমুক্ত করা সম্ভব।

চুল ভালো রাখার জন্য মাসে অন্তত দুটি স্পা দরকার। হেয়ার ফল ট্রিটমেন্ট : আমাদের প্রতিটি চুলের বয়স ছয় থেকে সাত বছর। আর প্রতি মাসে এর গ্রোথ হয় এক ইঞ্চি। তবে এটি কার্যকর শুধু সুস্থ চুলের জন্য। এমনটি যদি থাকে তবে বুঝতে হবে আপনার চুল সুস্থ।

তবে আমাদের পরিবেশের রুক্ষতার জন্য খাবার, ঘুম এসব কারণে হেয়ার ফল হতে পারে। ফলে টাক হওয়ার সম্ভাবনা থকে। তাই এই ট্রিটমেন্টটি হেয়ার ফল ঠেকাতে বেশ কর্যকর। ড্যানড্রাফ ট্রিটমেন্ট : খুশকি চুলের অন্যতম ক্ষতিকর পদার্থ। এটি ভালো চুলকে নষ্ট করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৮০ শতাংশ ব্যক্তির একবার খুশকি হয়ে গেলে আর যায় না। এর কারণেও অনেক চুল পড়ে যায়। এ ট্রিটমেন্ট মাসে দু’বার নিতে হয়। ফলে চুলে খুশকি হবে না। ড্যামেজ হেয়ার ট্রিটমেন্ট : ঘাম, রোদ ছাড়াও অনেক কারণেই চুল ড্যামেজ হয়ে থাকে।

তাছাড়া চুল পাকারও অন্যতম কারণ চুল ড্যামেজ হয়ে যাওয়া। এই ট্রিটমেন্টটি মাসে একটি নিলেই যথেষ্ট। ওজন অ্যাপ্লিকেশন : অনেকের চুল তুলনামূলকভাবে অনেক হালকা হয়। তাই অতি সহজে চুল পড়ে যায়। এটি চুলের গোড়াকে শক্ত রাখে।

ফলে চুল পড়া কমে যায়। হেয়ার প্রোটিন ট্রিটমেন্ট : যাদের প্রচুর চুল ওঠে তাদের জন্য এই ট্রিটমেন্টটি প্রযোজ্য। এটা সাধারণত দুটি ধাপে দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে পাঁচ দিন আপনার রেগুলার আসতে হবে এবং ট্রিটমেন্টটি নিতে হবে। পরে এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আরেকটি ট্রিটমেন্ট নিতে হবে।

তাহলে আপনার চুল ওঠার ভাবটা কমে যাবে। একসময় একেবারেই চুল উঠবে না এবং চুলের গ্রোথ বাড়বে। তবে এর মাধ্যমে নতুন কোনো চুল গজাবে না। হট ট্রিটমেন্ট : যাদের চুল ওঠে বা ড্যানড্রাফ আছে তাদের জন্য এ ট্রিটমেন্টটি। এটা মাসে দুটি নিতে হয়।

এর মাধ্যমে চুল গজাবে না; কিন্তু চুলের গ্রোথ ঠিক থাকবে। এছাড়া চুলে আরও অনেক ট্রিটমেন্ট রয়েছে, যা চুল ভালো রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যেমন_ হট অয়েল স্কাল্প ম্যাসাজ, হেয়ার হারবাল প্রোটিন ট্রিটমেন্ট, ডিপ কন্ডিশনিং ও হেনা ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি। এগুলো ট্রিটমেন্ট বেশ ক’টি ভালো মানের সেলুনে করানো হয়। যেমন_ ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের ‘হেয়ারোবিক্স সেলুন অ্যান্ড স্পা’তে, বনানীর ৪১ নম্বর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ‘রেজার্স এন সিজার্স মেনজ স্পা অ্যান্ড সেলুন’, গুলশান-২ এর ‘মেনজস বাংলাদেশে।

’ এ ছাড়া ‘পারসোনার মেনজ পার্লার’ যে কোনো আউটলেটে। টিপসঃ * প্রতিদিন রাতে একবার শ্যাম্পু করলে চুলের কোনো সমস্যা থাকবে না। কারণ বাইরে অনেক ধুলাবালু থাকে, যা রাতে পরিপকস্ফ হয়। * ভাজাপোড়া কম এবং পানি বেশি খেলে চুল পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। * চুল পড়ে মূলত ভিটামিন সির কারণে, তাই মৌসুমি ফল চুলের জন্য অনেক উপকারী।

* শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর পরিমাণ খুব কম দেবেন এবং শ্যাম্পু দু’বার করবেন। * সস্তা কোনো প্যাক চুলের জন্য না ব্যবহার করাই ভালো। * শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পু সরাসরি চুলে দেবেন না, সেটা পানি দিয়ে মিক্সড করে দেবেন, তাহলে এটি বেশি কার্যকর হয়। সূত্রঃ ইন্টারনেট


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.