আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক কাপ চা এবং আমার স্ত্রী

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

আমি চা খুব পছন্দ করি। আমি যার তার হাতে বানানো চা খাইনা। দিনে মোটে ৮ থেকে দশ কাপ খাওয়া হয়। সকালে অফিসে যাওয়ার আগে এককাপ এবং রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরে আরো এককাপ, এই মোট দুই কাপ চা-ই হলো আমার চা খাওয়া।

এছাড়া অফিসে যে চা খাই তার মান কোন ক্রমেই বাসার মত হয়না। কিন্তু আমি আমার জন্য অফিসে শুধু আলাদা ব্যাবস্থা করেছি চায়ের। আমার পিয়নকে শিখিয়ে দেয়া আছে কিভাবে চা বানাতে হবে। আমি চা খুব অল্প খাই। এই ধরুন আধা কাপ।

কাপ ভর্তি করে চা আমি দেখতে পারিনা। প্রতিবারই শিখাই আমার পিয়নটাকে (সিরাজ ভাই)। কিন্তু সে প্রতিবারই আমাকে পুরো মগ ভর্তি করে চা দেবে। যতবারই বলি ততবারই বলে, ওহ! স্যার এমদম মনে নাই। আমি চায়ের সাথে একটু কফি মিশিয়ে খাই।

আমার স্ত্রী খুব ভাল চা বানাতে পারেন। সত্যিই আমি ওনার চায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এককাপ চা বানানোর জন্য আধাকাপের বেশী লিকুইড দুধ এবং পানি বাদবাকী। এরপর এটাকে অনেকক্ষন চুলাতে রেখে এলাচের দানা দিয়ে চাপাতা দিয়ে নামিয়ে চিনি মিশিয়ে কাপে করে দেয়া হয়। আমি বরাবরই চায়ে চিনি একটু বেশী খাই।

আমি কখনও আদা চা বা লেবু চা বা দুধ ছাড়া চা খাইনা। আমার ভাল লাগে না। সহ্য করতে পারিনা। চা খাবো অল্প কিন্তু সেটা চায়ের মত চা হতে হবে। কখনও কখনও একটু কফির দানা মিশিয়ে দেয়া হয়।

প্রতিমাসে প্রায় বড় একটা অংশ টাকা খরচ করতে হয় এই চায়ের পিছনে। তবে আমি কোয়ালিটির সাথে কখনই আপোষ করিনা অন্ততঃ চায়ের ব্যাপারে। ব্লগার বন্ধুরা আপনার সবাই আমার বাসায় আমন্ত্রিত এই চা দ্বারা আপনাদের আপ্যায়িত করতে চাই। চা এর দাওয়াত থাকলো।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।