আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই নেত্রী ও কিছু কথা



শাহাবুদ্দিন শুভ লংকায় যে যায় সেই নাকি রাবন এমন কথা শুনে আসছি ছোট বেলা থেকে। আসলে একথার উৎকৃষ্টি উদাহরণ আমাদের এই মাতৃভুমি বাংলাদেশ। এদেশে আমরা যাদেরকে বিশ্বাস করে মতায় বসিয়েছি তারাই আমাদের কে বার বার ঠকিয়েছেন। লুটেপুটে খেয়েছেন সব কিছু। যখন দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি সেই স্বপ্নগুলোকে বারা বার ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন তারা।

দেশের জনগণকে আশাহত করে বার বার দেশকে দুর্ণীতির শীর্ষ পর্যায়য়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার করেছেন বিগত দিনে সরকারের থাকা প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের স্বেচ্চাচারিতার কারণে দেশে এই অবস্থা। আজ সে দলের প্রধান সহ তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মী জেল হাজতে, যাদের লুটেপুটে খাওয়ার মহাউৎসবের কথা শুনে আমাদের ঘা শিউরে উঠে। নিজেদের স্বার্থরার জন্য তারা কিনা করতে পারেন তা আমরা দেখেছি? তাদের নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা জনগণের কথা কতটুকু ভেবেছেন তা এখন ভেবে দেখার বিষয়। ওয়ান এলিবেনের জন্য দায়ী দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল।

তাদের জন্য ২য় বারের মত দেশে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন করতে হয়েছে। আর সেই সরকার কতৃক সারা দেশে জরুরী অবস্থা জারী হয়েছে। জারি হয়েছিল কারফিউ। যে সেনাবহিনীকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, যাদের সুনাম সারা বিশ্বব্যাপি। যারা অন্য দেশের শান্তির জন্য কাজ শেষ করে দেশে থেকে ফিরে আসার সময় সে দেশের সাধারণ জনগণ তাদের জন্য কান্নাকাঠি করে।

তাদেরকে ব্যারাকের বাহিরে আসতে হয়েছে কি কারণে তা আমরা সবাই জানি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে সেনাবাহিনী যদি ব্যারাকের ভেতরে থাকত তা হলে এমন ঘটনা ঘটত না। সেই ঘটনার জন্য এখনও ভুগছে সাধারণ ছাত্র/ছাত্রী। যদিও দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খোলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাচ্যের অক্সর্ফোট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের রক্তে লাল হয়েছে। রণেেত্র পরিণত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সারা দেশের শিা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ও এর আচ লেগেছিল।

উদ্বব্ট এই পরিস্থিতি থেকে রা পাওয়ার জন্য জারি হয়েছিল কারফিউ (সান্ধ্যকালীন আইন)। আজও খোলে দেওয়া হয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যারা ফলে ছাত্র/ছ্ত্রীদের বেশ ক’মাসের সেশন জটের মধ্যে পরতে হবে এসব দায় কার? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান স্যার সাপ্তাহিক এখন এর ৫ম বর্ষ ৬ সংখ্যায় বলেছেন যে দু নেত্রীর গ্রেফতার কে দুঃখজনক পদপে বলে মনে করছেন। আসলে স্যার আমি আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি আপনার এই কথার সাথে আমি একমত হতে পারলাম। কাদের জন্য আপনি দুঃখ প্রকাশ করবেন যারা তাদের আত্বীয় স্বজন ও মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এমপি ও নেতাকর্মীদের লুটেপুটে খাওয়ার দৃশ্য দেখেও কোন কিছু বলেনি? বরং তাদের কে সাহায্য করেছেন নিজেদের পকেট ভারী করেছেন।

একজন খালেদা জিয়া নিরবে শুধু দেখেছেন তার সন্তান তারেক জিয়ার অর্পকর্ম। মাতৃøেহে অন্ধ হয়েছিল তিনি। আবার তার সন্তান তারেক গ্রেফতার হওয়ার পর এই আপোষহীন নেত্রী বলেছেন জিয়ার ছেলে এমন কাজ করতে পারে না। তাহলে যে কথা আমরা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে শুনে আসছি ভাঙ্গা সুটকেস ছাড়া জিয়াউর রহমান আর কিছু রেখে যেথে পারেননি তার স্ত্রী ওসন্তানদের জন্য। তাহলে তাদের কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে এল? এ নিয়ে একটি প্রশ্ন যে কারো মনে দেখা দিতে পারে।

কে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করল? তবে কি রাষ্ট্রিয় প্রশাসন যা বলছে সব ভুল? কোন কোন স্থানে কয়েকটি গ্রামের মানুষ কোথাও একটি থানার মানুষ এমনকি কোথাও একটি জেলার মানুষ একটি ব্রিজের জন্য কষ্ট করছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাল মানুষ খোজার কর্মসুচির সময় তার দলে যোগ দেন ড. খোন্দখার মোশারফ হোসেন। তিনি আসলেই একজন আজব ব্যাক্তি তা না হলে কি করে নিজের মৎস্য খামারে যাবার জন্য একটি সেতু নিমার্ণ করেন। তিনি তার খামারে যাওয়ার জন্য ২০০৪ সালে গোয়াল মারি সড়কের ডুন নছরউদ্দীন নামে একটি খালের উপর ৪৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩৮ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রিজ নিমার্ণ করেন। আবার সে ব্রিজ নিমার্ণের সময় তিনি এক যুবদলের নেতার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে কাজ পাইয়ে দেন।

এই সেতুটি সাবেক এই মন্ত্রী খামারের প্রধান ফটকের সামনে করা হয় এবং তাই এলাকার লোকজনে কোন কাজে আসে না। একজন ব্যাক্তি কতটুকু লোভি ও স্বার্থপর হলে জনপ্রতিনিধি হবার পরও জনগণের কথা না ভেবে নিজের কথা ভাবেন। এমন শত শত ঘটনা ও কাজের স্বাি আমাদের এই দুই নেত্রী। এই ধরণের ব্যাক্তিদেরকে সর্মতন ও সাথে নিয়ে চলেছেন নেতৃদ্বয়। বাংলাদেশ যদি একটি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে থাকে।

এবং সেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিাত হয়ে থাকলে কে কি তা দেখা বড় বিষয় নয়? কে অপরাধী, কার দ্বারা রাষ্ট্রের সম্পদের তি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে? একটি দলের প্রধান বলে যে কেউ পার পেয়ে যাবেন তাতো হতে পারে না? মাইনাস টু ফর্মুলার পে আমি নই। তার পরও একজন খালেদা জিয়া ও একজন হাসিনা যদি না থাকেন তাহলে বিএনপি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কি ধ্বংসে হয়ে যাবে। শেখ মুিজবুর রহমানের ও জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর কি তাদের দল নিঃশ্বেস হয়ে গেছে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।