আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাকিবাজি

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।

এইটা মনে হয় জন্মগত সমস্যা। ঠেলায় না পড়লে কাজ আগায় না। কাজের চাপ কম বা নাই। বস ব্যস্ত।

ম্যানেজার দৌড়ের উপর, সার্পোট যে করবে সে ছুটিতে আর আমি বসে বসে বি.মা'র ব্লগ থেকে গান শুনি। পুরনো কিছু ডকুমেন্ট ঘাটতে গিয়ে দেখা হয়ে গেলো চাকরি জীবনের প্রথম কিছু কাজের। চাকুরীর শুরুতে বেশ কয়েক রকমের আজাইরা বা ছোটা কাজ করতে হয়েছে। ম্যানেজার একদিন এসে বলে তোমাকে একটা সফটওয়্যার বানাতে হবে যা দিয়ে আমাদের পুরনো সাবস্টেসন ডিভাইসগুলোতে OPC(OLE for Process Control) ফাংশন এ্যাড করতে হবে। জবের প্রথম দিকে কোন কিছুতেই না বলা যাবে না।

ব্যস, জ্বি বলে শুরু করলাম এবং প্রায় ৩/৪ মাস পর কাজটা তুলতে পারলাম। কপাল ভালো যে কোন তারিখ ফিক্সড করে দেয়নি। কাজ শেষে যখন বেশ খুশ মেজাজে তখন ম্যানেজার বলে যা করেছো তা ডকুমেন্ট আকারে লিখে কোম্পানি সার্ভারে রেখে দিতে যাতে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা না হয়। কাজ করার থেকে ডকুমেন্ট করা আরও বড়ো ঝামেলার কাজ আমার কাছে। সপ্তাহখানেক পর আর একটা প্রজেক্টের কাজ।

যেসব সাবস্টেশন শহরের বাইরে এবং আয়তনে ছোট (220kv - 110kv ) ঐসব স্টেশনে কোন সমস্যা হলে যাতে অটোমেটিক্যালি অপারেটরের মোবাইল অথবা পেজারে ম্যাসেজ চলে যায়। এবং অপারেটরের কোন এ্যাকনোলেজ রিপ্লাই না আসা পর্যন্ত এস.এম.এস রি-সেন্ট করতে থাকা। কাজটা যদিও লজিক্যালি বেশ সহজ মনে হয় আসলে ততোসহজ ছিলো না। কপাল ভালো যে একটা থার্ড পার্টি সফটওয়্যার পেয়ে গেলাম। তারপর কনফিগার ও ডকু।

এইবারও বাইচ্চা গেলাম দুইটা কাজ তুলে দেওয়ার পর দেখা গেলো মোগাম্বু(ম্যানেজার) মোটামুটি খোশ। আমারও ফাকি দেওয়ার সেই পুরনো অভ্যাস চলে আসলো। এতোদিনে মোটামুটি শিখে গেছি কিভাবে ফাকি দিতে হয়। বড় কোম্পানিগুলোতে কাজের ঝামেলা ছোটগুলোর তুলনায় বেশ কম। সারাদিন শুধু মিটিং করে।

এতো মিটিং করে কাজের কাজ যে কি হয় সেইটাই বুঝি না। কোনকিছু চেন্জ করতে গেলেই সারছে। প্রথমে প্রপোজ্যাল, তারপর মিটিং কল করো, তারপর ইংল্যান্ড-ফ্রান্স হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন। আমিও এখন কোন সমস্যা হলে ইচ্ছে করেই বলি-আমি কিছু জানি না। ম্যানেজারকে বলো(আরেক ফাকিবাজ বসের কাছ থেকে শেখা)।

আর ম্যানেজারকে পাওয়া যাবে ৩ সপ্তাহ পর। এই কয়েকদিন কিছুটা নির্ভেজাল থাকা যায়। গান শোনা, আড্ডা, ভাইরে ৪৫ মিনিটের লাঞ্চ দুই ঘন্টা করে সময় কাটানো। তবে সুখের দিন বেশি দীর্ঘস্হায়ী হয় না। সুইজারল্যান্ডের একটা প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি জার্মান কাষ্টমার কতো খাইট্টা।

সারাদিন ডিভাইস টেষ্ট করে একটা না একটা ভুল বের করবেই আর তখন একটা বিটকাল হাসি দিবে। মনে মনে ওর পনের গোষ্টি উদ্বার করা ছাড়া উপায় থাকে না। এই মাসটা একটু সুখে আছি যদিও মেঘের ঘনঘটা দেখতে পাচ্ছি। আগামি মাসে মনে হয় একটা ঝামেলা জট পাকাচ্ছে। R&D থেকে সেইরকম একটা আভাস পাওয়া গেছে।

বেশি কিছু হলে Krank(অসুস্হ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।