আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিটিটিবির টেলিফোনের বর্তমান অবস্থা

একটি বাংলাদেশ, তুমি জাগ্রত জনতা, সারা বিশ্বের বিস্ময়, তুমি আমার অহংকার

আমার খুব মনে আছে, আমার বাসায় আমি টেলিফোন কানেকশন লাগিয়েছি অনেক কষ্ট করে। এ টেবিল থেকে ও টেবিলে দৌড়াতে দৌড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয় তা যে বাস্তব তার প্রমান পেয়েছি নিজেকে দিয়ে। তখন মোবাইলের ঘনঘটা ছিল না। মানুষের সাথে মানুষের দুরালাপের মাধ্যম বলতে ছিল শুধু সরকারী ল্যান্ড টেলিফোন। ওহ!! যেন সোনার হরিণ।

একটি টেলিফোনের কানেকশান পাওয়া রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপার এবং তা অন্যের ঈর্ষার বস্তু। রাজধানীতে টেলিফোনের ডিমান্ড নোট বাবদ টাকা লাগতো ১৮৪০০ টাকা। এর পরের যে কত খরচ তার তো কোন ইয়ত্তা নেই। এমনও অনেকে আছেন যাদের একটা টেলিফোন আনতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৪০/৪৫ হাজার টাকা। টেবিলে টেবিলে ঘুষ।

লাইনম্যানদের তেল দেয়া। কখনও তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করলে তো ব্যাস, টেলিফোন ডেড। সবসময় হুজুর হুজুর করতে হতো। প্রতিমাসে লাইন ডেড হওয়ার ভোগান্তি। একটু বৃষ্টি হলেই লাইনে নয়েজ।

ড্রপ কল। ক্রস কানেকশন। আরো কত কি!! কর্মকর্তাদের র্দুব্যাবহার। যেন ওদের গোলাম হয়ে থাকা। এই সরকার আসার পর বেশ কিছু ভালো ভালো কথা শোনা যাচ্ছে এই ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে।

অনেক আশার বানী শুনছি। কার্যকর হলে বুঝতে হবে, আমাদের কপাল ভালো। এখন নাকি ডিমান্ড নোট হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই টেলিফোন লাইন লেগে যাবে। এখন আর ডিমান্ড নোটেও আগের মত অত টাকা লাগে না। বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, কোন কমপ্লেইন করার ১/২ দিনের মধ্যে লাইন আবারো ঠিক হয়ে যায়।

আবারো শুনছি আগামী জুন মাসের মধ্যে দেশে ২৫ টি ডিজিটাল এক্সচেঞ্জের অধীনে প্রায় ২৬ হাজার গ্রাহককে ইন্টারনেট কানেকশান দেয়া হবে। খুবই ভালো উদ্দ্যোগ। পাশাপাশি বেশ কিছু বেসরকারী ল্যান্ড ফোন কোম্পানী তাদের কানেকশন দিচ্ছে অতি সহজ শর্তে আর অল্প খরচে। এটা অবশ্য বিটিটিবির জন্য হুমকি সরূপ। মোবাইলের সহজলভ্যতা আর বেসরকারী ল্যান্ড ফোন কোম্পানীগুলোর জন্য অনেকে এখন সরকারী ল্যান্ড ফোন গুলোকে স্যারেন্ডার করছেন।

এতে হুমকির মুখে পড়ছে বিটিটিবি। আমরা যারা পুরোনো গ্রাহক তারা কিন্তু কলার আইডি সুবিধাটা পাই না। বিটিটিবির উচিত এখন সবাইকে এই সুবিধা দেয়া। কারণ মোবাইলে অথবা বেসরকারী ল্যান্ড ফোন গুলোতে কে কলার তার নাম্বার শো করছে ফোনের স্ক্রীণে। সুতরাং এই সুবিধা এখন সবাইকে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

বিটিটিবিতে কোন কাষ্টমার কেয়ার নেই। আছে অভিযোগ কেন্দ্র। তাও আবার সরকারী ছুটির দিন বন্ধ থাকে। এই বিষয়গুলো দেখার এখন সময় এসেছে। এই প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকতে হলে কিছু কিছু মৌলিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।

সবশেষে আশা করি, বিটিটিবি তাদের সার্ভিসের মান আরো ভালো করুক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।