আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৌলবাদ তুমি আমার অন্তরে! আমি চমকে উঠি কৃষ্ণচুড়ার রঙে।



কৃষ্ণচুড়া তুমি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদরে সামনে ফুটে উঠেছো লাল। আমি পার মাতাল, দুচোখ মেলেছি তোমার পানে। এই জরুরী অবস্থায় এমন বেলেল্লাপনা! লাল হয়ে ফূটেছো? কৃষ্ণচুড়া! ছিঃ কৃষ্ণচুড়া, রাধার সিঁদুর মেখে এহেন সংরক্ষিত স্থানে রঙ্গ! বখতিয়ারের ঘোড়া তুমি তখনো দেখনি হায় কৃষ্ণচুড়া । তাদেরই জিনবাহী, সাদাসাদা আরো সাদার মিছিলে সর্বনাশ হয়েছে রাধা। ... আর সেই যে মরুর কিশোরী আয়েশার বুকের কাচুঁলি একবার জড়িয়ে গ্যালো মুসাফিরের পাগরীর প্যাচে।

এই নিবিড় তথ্য তোমার কর্ণ কুহরে সেদিন প্রবেশ করেনি। রাধা তোমায় ডেকেছিল বাদারে। তুমি রক্তিম হয়েছিলে! তবু তুমি ফুটেছো জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের গেটের কাছে। তোমার হয়ে তওবা করে নিবো, আমি পার মাতাল। কৃষ্ণচুড়া, কৃষ্ণচুড়াগো, পেশ ইমাম বিণম্র অতি।

শুধু তোমার এমন লাল হয়ে জ্বলে উঠায় যদিবা পেশ ইমামের শঙ্কা হয়। তার শুভ্রতার বুকে আশিক বানায়া উকিঁ দেয় যদি গুড়ি গুড়ি। তাই আমি অন দা বিহাফ অব কৃষ্ণ, তওবা করি- তওবা করি। গুস্তাকীন মাফ করুন, আমি পার মাতাল । অতি গরম আর রোদে পুড়ে আমি কৃষ্ণচুড়ার অভিভাবক,জ্বলে উঠেছি ভুলে।

আমার পড়ার টেবিলের পাশেই শিউলি গাছটা। সারা সন্ধ্যা আমি গন্ধময় হয়ে থাকি। শিশিরের মতো শিউলি ঝরে। ফুল ফোটাবার আগেই ডানার হাওয়ায় হাওয়ায় আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে গেছে সুন্দরী ঘুম পরী। ভোর হতে প্রতিদিনের রোজনামচার মতো , ফুল কুড়াতে আসে ঘোষ পাড়ার ফর্সা ছেলেমেয়ের দল।

ছোট্ট ছোট্ট নানান আকৃতির বাঁশের সাঝিতে ওরা পুজার ফুল কুড়ায়। তাই আমাকেও যেতে হয় মক্তবে। ওরা আমার শিউলী গাছটার তলে আসে। ভোর বেলায় শিউলী তলা ভরে যায় কমলা বৃন্তের সাদা ফুলে। আমি জানালা খুলে ওদের দেখি।

কি সুন্দর মানিয়ে যায় ওদের। ঝর্নাদি তুমি কেন আমার সত্যিকার দিদি নও? এই ব্যথা নিয়ে আমি মক্তবের পথে পা বাড়াই। ওস্তাদজির হুকুমে ডোরাকাটা পোড়া বেত নিয়ে আসি তার শুবার ঘর থেকে। বাবা আসে ওস্তাদজিকে জানায় হুজুর মাংশ আপনার আর হাড়গুলি আমার। ওরে আমি ইমাম বানামু।

আমি প্রতিদিন ফজরের আগে ঘুম থেকে উঠি মা। তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে। আমি অপেক্ষায় থাকি পরীর। কি করে ফুল ফোটে? এই গভীর দৃশ্য আমি দেখবো। তাই শিউলির ডালে উঠে বসে থাকি।

গন্ধে মাতাল করা হাওয়ায় চোখের পাতায় নেমে আসে তুলতুলে ঘুম। পরীদের ডানায় দোলে দোলে ঝর্নাদি আসে আমার শিয়রে। বাদারের উচু কাঠবাদামের গাছটার চুড়া দেখাতে তুলে নেয় কোলে। আমি ডাল ভেঙ্গে পড়ে যাই মাটিতে। ধবধবে পোষাক পড়া ঘোষপাড়ার ছেলেমেয়েরা ছুটে আসে।

বাবা হুংকার ছাড়ে, এই গাছই আমি কাইট্টা হালামু । হালার মালাউনের জাত দেইখ্খা নিত্যি গুম বাংগে! গাছটা এখন আর নেই আমাদের উঠানে। যেখানে আমার পড়ার ঘর ছিল সেখানে দালান গড়েছে আমার পিতা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।