আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুখোশের আড়ালে পাশবিক মুখ!!!

আমি অথৈ জলে খুঁজে ছিলাম, পূর্ণিমারই চাঁদ...

১. একগাদা নোট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো, "ভেবেছিলাম পূজাকে নোটগুলো দিয়ে আসবো। কিন্তু এখন ঠিক করেছি যাবো না। ওর সৎমা একটা দজ্জাল মহিলা!" "মোটেই না। " হাত নেড়ে প্রতিবাদ জানালাম। "উনি খুব ভাল মানুষ।

" শুনে তাচ্ছিল্যের সুরে সমীর বললো, "তা তো মনে হবেই। উনি যে তোমার সামনে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে থাকে!" ব্যস্, শুরু হলো দুই বন্ধুর মধ্যে তর্কের তুমুল ঝড়...!!! ২. ভিতরে ঢুকতেই কানে ভেসে এলো কান্নার শব্দ! পূজার ছোটবোনকে জিজ্ঞেস করলাম, "কে কাঁদছে?" "দিদি। " "কেন?" এদিক ওদিক তাকিয়ে মেয়েটি জবাব দিলো, "দুপুরে ভাত রান্না করতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলেছে। তাই মা ওকে ভীষণ মেরেছে! এমনকি দুপুরে খেতেও দেয়নি। " "বলো কি!" চমকে উঠলাম।

উনি কি মানুষ! "আরে তুমি! বসো। " আমাকে দেথে ভদ্রমহিলা উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বললেন। আড়চোখে পূজার রুমের দিকে তাকালাম। পর্দার ফাঁকে ওকে দেখা যাচ্ছে। একটা চেয়ারে বসে আছে।

মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে! আমার চোখে চোখ পড়তেই আচমকা সরে গেল! এই প্রথম মহিলাটির প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা অনুভব করলাম। সেই সাথে পূজার জন্য এক অব্যক্ত কষ্ট! নোটগুলো টেবিলের ওপর রেখে চলে যাওয়ার জন্য দরজার দিকে পা বাড়ালাম। সমীরের কথা মনে পড়লো। ও ঠিকই বলেছিল, মহিলাটি ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকে, যার ভিতরে লুকিয়ে রয়েছে একটি পাশবিক মুখ!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।