আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ওস্তাদের মার শেষ রাতে ! কিন্ত্ত ওস্তাদ না হলে

Shams তখন আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপও ফেল৷ মুখ থুবড়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা৷ মেরেকেটে একমাসও নেই পরীক্ষার৷ দিনরাত কোমরবেঁধে পড়ছে৷ বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে৷ শুধু পড়া আর পড়া৷ বেশিরভাগই ঝেড়ে মুখস্ত৷ তবু মহাফাঁপড়ে পড়েছে সন্ত্ত৷ এখনও অনেকটা পড়া বাকি৷ যতটা হয়েছে তার বেশিরভাগই মনে থাকছে না৷ সব পড়াই নতুন লাগে৷ কাউকে যে জিজ্ঞেস করবে , তারও উপায় নেই৷ সিলেবাস শেষ হয়ে যাওয়ায় ক্লাস -কোচিং সব বন্ধ৷ বন্ধুরাও পরীক্ষার প্রস্ত্ততিতে ব্যস্ত৷ স্যারদের কাছে গেলে বিষয়টা তাঁরা বুঝিয়ে দেবেন ঠিকই , কিন্ত্ত বেশিরভাগ পড়াই তো নতুন লাগছে৷ বারবার যেতে -আসতে সময়ও কম অপচয় হবে না৷ বন্ধুদের বারবার ফোনে বিরক্ত করতেও খারাপ লাগে৷ কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারে না সন্ত্ত৷ রেজাল্ট ভালো করার জন্য আরও বেশি পরিশ্রম করতে রাজি সে৷ কিন্ত্ত পরীক্ষা ভালো হতেই হবে৷ কিছুই যে মনে থাকছে না , বুঝতেও পারছে না , সময়ও কম , অনেক পড়া বাকি৷ কবে মুখস্থ শেষ করবে আর কবে রিভাইজ দেবে ? শুধু একা সন্ত্ত নয় , এমন সংকটজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন ফাইনাল পরীক্ষার আগে অনেক ছাত্র -ছাত্রীরই হতে দেখা যায়৷ এর জন্য তারা নিজেরাই দায়ী৷ এরা সারাবছর টইটই করে ঘুরে বেড়ায় , বাড়ির লোক যতই যা বলুন পড়তে বসতে এদের অ্যালার্জি৷ ক্লাসে স্যার পড়াবেন আর বাবুরা পেছনে বসে খাতার পাতায় কাটাকুটি খেলবেন ! কোচিং ক্লাস এদের কাছে কফি -হাউসের আড্ডা ! সারাবছর ভাবখানা এমন , ‘আরে পরীক্ষা তো অনেক দেরি৷ ওস্তাদের মার শেষরাতে৷ ’ অথচ সেই রাতগুলোই ওদের কাছে দুঃস্বপ্নের রাত হয়ে ওঠে৷ তখন নিজের উপরই রাগটা বেশী হয়৷ মনে হতে থাকে - ইস ! যদি আর একটু আগে থেকে পড়াটা শুরু করতাম৷ স্কুল যখন সারাবছর করলাম , তখন ক্লাসে স্যারের কথাগুলো যদি আর একটু মনোযোগী হয়ে শুনতাম৷ এদের গল্পটা বেশ মজার - সারা বছর পড়বেও না , আবার রেজাল্টও খারাপ করতে রাজি নয়৷ আলাদীনও বুঝি আশ্চর্য প্রদীপের জিনের সামনে এমন আবদার করতে শরমিন্দা হবে ! দিনরাত একদিক থেকে সব মুখস্থ করে যাওয়া হবে আর ব্রেইন তা ধরে রাখবে আর পরীক্ষা এলেই একদিক থেকে উগরে দেবে এমন ভাবাটাই ভুল৷ সন্ত্তদের বোঝা উচিৎ , মানবমস্তিষ্কের একটা ধারণক্ষমতা আছে৷ অথচ তারই সহপাঠী শুভ পরীক্ষার সময় এতো রাত জেগে পড়েও না , মুখস্থও করে না৷ অথচ রেজাল্টের দিন দেখা যায় প্রথম পাঁচে শুভর নাম আছেই৷ শুভ যেটা করে সেটা হল , স্যার -দিদিমণিরা যখন পড়ান তখন সে বিষয়টা মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে৷ নোট নেয়৷ আর হোমওয়ার্কগুলো নিয়মিত করে৷ কাজটা কি খুব কঠিন ?৷

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।