আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবৈধ সম্পদের প্রমাণ দিতে পারলে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা খালেকের (সৎ ও নির্ভিক খুলনার মেয়রের চ্যালেঞ্জ)

ধর্ম যার যার , বাংলাদেশ সবার খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি তিন মেয়র প্রার্থীর মুখোমুখি অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত সম্পদের হিসেব নিয়ে নগরবাসীর প্রশ্নের সম্মূখিন হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তার নির্বাচনী হলফনামায় দেয়া সাড়ে ছয় কোটি টাকার সম্পদের মালিক কিভাবে হয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে আমি কোনো অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছি তাহলে প্রার্থিতা পদ প্রত্যাহারের চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করলাম। ” মঙ্গলবার সকাল ১০টায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত নগরবাসীর বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিন মেয়র প্রার্থী: আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, বিএনপি সমর্থিত মনিরুজ্জামান মনি ও জাতিয়র পার্টি সমর্থিত শফিকুল ইসলাম মধু। এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনকারী সংগঠন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। শুরুতে নগরীর উন্নয়নের জন্য আয়োজক সংগঠন থেকে ২৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

এ দাবি তুলে ধরেন উন্নয়ন কমিটির মহাসচিব মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক লিয়াকত আলী। উল্লেখ্য, হলফনামায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তালুকদার আবদুল খালেকের প্রায় ছয় কোটি ৭০ লাখ টাকার সম্পদ আছে। তার স্ত্রীর রয়েছে প্রায় দুই কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পদ।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজের নামে নগদ প্রায় ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৩৬৮ টাকা ও স্ত্রীর নামে এক কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৩ টাকা। ব্যাংকে আছে নিজের নামে আট লাখ ৭০ হাজার ৭৭ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২৬ লাখ ৮১ হাজার ১৫৯ টাকা। শেয়ার আছে দুই কোটি টাকার। নিজের নামে এফডিআর ১০ লাখ টাকা ও পোস্টাল এফডিআর ১৮ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে এফডিআর ৩০ লাখ টাকা। গাড়ি আছে তিনটি।

নিজের নামে লেকসাস গাড়ির মূল্য ৪৪ লাখ টাকা ও মাইক্রো সাড়ে সাত লাখ টাকা। তার স্ত্রীর মিতসুবিসি পাজেরো গাড়ির মূল্য ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। স্ত্রীর বৈবাহিক সূত্রে স্বর্ণালঙ্কার আছে ২৫ ভরি। ইলেকট্রিক সামগ্রি চারটি ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ ও ওভেনের মূল্য ৭৫ হাজার টাকা। আসবাবপত্র দুটি খাট, চারটি আলমারি, সোফাসেট ও ডাইনিং টেবিলের মূল্য ৫০ হাজার টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ২৩ বিঘা কৃষি জমি। অকৃষি জমি তিন কাঠা জমি যার মূল্য পাঁচ লাখ ৭৯৯ টাকা। আর দশমিক ০৪৯৫ একর এবং দশমিক ০৪৯৫ একর জমি। রাজউক এর পূর্বাচল প্রকল্পের কিস্তি জমা ২২ লাখ টাকা। স্ত্রীর রয়েছে জমিসহ পাঁচ তলা বাড়ির অর্ধাংশ, যার মূল্য ৩১ লাখ পাঁচ হাজার ৬৭০ টাকা।

মৎস্য ঘেরে বিনিয়োগ দুই কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন খুলনা খুলনা অফিসে স্ত্রীর নামে দেনা আছে তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.