আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাককেইনকে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের আলোচিত রিপোর্ট

swblog2008 [এট] gmail.com

আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের এখন পর্যন্ত সময়ের মোটামুটি মনোনীত প্রার্থী ৭১ বছর বয়সী সিনেটের জন ম্যাককেইনকে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস একটি রিপোর্ট করে। এতে বলা হয়, তারচেয়ে ৩০ বছরের কমবয়সী এক মহিলা লবিস্টের সঙ্গে তার রোমান্টিক সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৯৯ সালে ব্যাপারটা প্রথম ধরা পড়ে। তখনই বড় ধরনের স্ক্যান্ডাল এড়াতে ম্যাককেইনের ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতারা ওই মহিলাকে ডেকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। রোমান্টিক সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদনটি শুরু হলেও নিউইয়র্ক টাইমসের আসল লক্ষ্য একজন লবিস্টের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এই সিনেটেরের সম্পর্ক নিয়ে।

ম্যাককেইন নিজেকে লবিস্টদের বস বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন; অথচ তিনিই কি-না গোপনে প্রেম করেন মহিলা লবিস্টের সঙ্গে হয়তো এটা প্রমাণ করাই ছিল নিউইয়র্ক টাইমসের উদ্দেশ্য। হাসান ফেরদৌস প্রথম আলোতে এ বিষয়ে লিখতে গিয়ে বলেছেন, সেক্স থাকলে আর যত কথাই থাক, পাঠকের কানে অন্যকিছুই ঢুকবে না। পত্রিকাটির পাতায় ওই মহিলা লবিস্টের একটি বাহারী ছবিও ছিল। নিউইয়র্ক টাইমস এ রিপোর্টের মাধ্যমে তবে কি একটু সেক্সও বিক্রি করল? কেউ কেউ বলছেন, এই প্রতিবেদনের ফলে ম্যাককেইন রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যারা তার সৎ ইমেজের কারণে তাকে ভোট দেবার কথা ভাবছিলেন, তারা হয়তো এখন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবেন।

আবার অনেকে ভাবছেন, এরফলে ক্ষতির চেয়ে লাভই হবে বেশি। কট্টর রক্ষণশীল চোখে ম্যাককেইন যথেষ্ট ‘রক্ষণশীল’ নন বলে তার বদনাম রয়েছে। ম্যাককেইন ততোটা রক্ষণশীল নন জেনে উদারবাদীদের সমর্থন বাড়তে পারে। হাসান ফেরদৌস তার লেখাটিতে জানিয়েছেন, আমেরিকায় সমালোচকদের সবচেয়ে বড়ো আপত্তি প্রতিবেদন প্রকাশের সময় নিয়ে। দেড় দুই মাস আগে এ খবর ছাপা হলে নির্বাচনী দৌড়ে তিনি নির্ঘাত পিছিয়ে পড়তেন।

ডানপন্থীদের মতে, আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পরাজয় নিশ্চিত করতেই নিউইয়র্ক টাইমস দেরি করে খবরটি ছেপেছে। এর মানে, নিউইয়র্ক টাইমস রাজনীতিও করে? অবশ্য নিউইয়র্ক টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক বিল কেলার তার পত্রিকার সিদ্ধান্তকে শক্ত ভাষায় সমর্থন করে বলেছেন, তাদের কাছে যথার্থ বলে প্রমাণিত হওয়াই তারা ছেপেছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের নিজস্ব একজন পাবলিক এডিটর রয়েছেন। তার কাজ পত্রিকার পাঠকদের মতামত অনুসরণ করে টাইমসের সম্পাদক-সাংবাদিকদের কাজের মূল্যায়ন করা। প্রতিবেদনটির ব্যাপারে এই পাবলিক এডিটর বলেছেন, খুব কাঁচা কাজ করে ফেলেছে পত্রিকাটি।

ম্যাককেইন কীভাবে মুখে লবিবিরোধী কথা বলেন, কিন্তু গোপনে গোপনে করপোরেট স্বার্থ রক্ষা করেন, প্রতিবেদন শুধু সে বিষয়ে লেখা হলে কিছু বলার থাকত না। কিন্তু' ৭১ বছর বয়সের একজন সম্মানিত সিনেটরের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণপত্র ছাড়া ‘আপত্তিকর সম্পর্কের’ কথা বলে তারা কেবল নিজেদের সাংবাদিকতার মানই ক্ষুণ করেননি, একটি ভালো প্রতিবেদন থেকে পাঠকদের দৃষ্টিও সরিয়ে নিয়েছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.