আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মতিউর রহমান নিজামীর সাক্ষাৎকার

তি তি - আসসালামু আলাইকুম : ওয়ালাইকুমুসসালাম। - কেমন আছেন? : আছি কোনো রকম। - আপনি মতিউর রহমান নিজামী? : জি। - আপনার দেশ কোথায়? : পাকিস্তান। - কিন্তু এতদিন তো বাঙলাদেশ বলে আসছেন।

: আমার মরার সময় হয়ে এসেছে। মরার সময় কারোর মিথ্যা কথা বলতে নেই। - বাঙলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে? : ১৪ মার্চ। - আপনি তো দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মতো উত্তর দিচ্ছেন। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ মার্চ।

: ঐ মেশিনম্যানের কথা আমাকে বলবেন না। - কেন? : ও আমাকে ফাসিয়ে আমিরের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলো। শেষে সব পাকিস্তানিদের এক সাথে ধরা পড়তে হলো। - তা আপনারা সব এক সাথে ধরা পড়লেন কীভাবে? : আমরা জানতাম, আমাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। আমি প্রেসক্লাবে গিয়েছিলাম যেন আমার নামে কিছু ছাপানো না হয়, সাঈদী তো বিদেশ যাওয়া জন্য প্রস্তুতি সব শেষ করেছিলো; আর মুজাহিদ ফরিদপুরে পালাচ্ছিলো।

- আপনি কি মনে করেন আপনি কোনো ভুল করেছেন? : অবশ্যই ভুল করেছি। এই বাঙালির কাছে আমরা বারবার হেরে গেছি। - তাহলে কেন জামায়াত দল তৈরি করেছিলেন? : বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে খুন করার পর, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, বাঙালির ঐক্যবদ্ধতা ভেঙে যাবে, তাঁরা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে না। এই সুযোগে আমরা মানুষকে জামায়াতের প্রতি অন্ধ করেছিলাম। - তো আপনি জামায়াতকে কতটুকু ইসলাম সম্মত দল মনে করেন? : একটুও না।

- কেন? : আমাদের দলটি সম্পূর্ণ একটি যুদ্ধাপরাধী দল, তারপরেও ইসলামের নাম ভাঙিয়ে আমরা মানুষকে অন্ধ করেছিলাম। ধর্মীয় একটি দল থাকার কথা ইসলামে বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু ধর্মকে পুঁজি করে দল তৈরি করা ইসলামী নিয়মের বাইরে। - আপনারা বাঙলাদেশকে সাম্পদায়িক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন? : জি। - কেন? : এ দেশে অধিকাংশ মানুষ মুসলমান।

তাই আমরা তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এ দেশটি ধ্বংস করতে চেয়েছিলাম। - কীভাবে অন্য ধর্মের মানুষদের এ দেশ থেকে সরাতেন? : আসলে মুসলমানের ধর্মানুভূতি বড়ই দুর্বল। ইসলাম সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করলেও এরা মারামারি, খুনোখুনি করে। রামুর ঘটনা দেখে তো এগুলো বুঝেছিলেন। তো আমরা মুসলমানদের অন্য ধর্মাবলম্বীর মানুষদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজ সাঈদীকে দিয়েছিলাম।

সাঈদী এ কাজে সফলও হচ্ছিলো। কিন্তু সবাই এক সাথে ধরা পড়লাম। - মতিকণ্ঠ নামে ইন্টারনেটে একটি সংবাদমাধ্যম আছে, জানেন কি? : হ্যাঁ, জানি। ঐ ওয়েবসাইটের মালিক আমাকে ভালো হয়ে যেতে বলেছিলো। কিন্তু আমি তাকে খুন করার হুমকি দিয়েছিলাম।

- তারপর? : তারপর উনি আমার নাম সংক্ষিপ্ত করে এই ওয়েবসাইট তৈরি করে আমাদেরকে ফাসাচ্ছে। - সাঈদী ছাড়া অনেকে বলছে, আপনাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এইসব বিচার করা হচ্ছে, এসব নাকি সরকারের রাজনৈতিক যড়যন্ত্র। এগুলো কি ঠিক? : এদের কথা বাদ দেন। বাঙালির চুইদি রাজাকার সেই যুদ্ধাপরাধী রাজাকার। সেই-ই মানবতাবিরোধী কাজ করেছিলো, আমরা তো করেছিলামই।

আর এখানে কোনো রাজনৈতিক যড়যন্ত্র নেই। নিজেকে বাঁচানোর জন্য সাঈদী বিভিন্ন কথা বলছে। এগুলো ডাহা মিথ্যা কথা। - আপনাদের দলের নেতা, কর্মীরা ছাড়াও সরাসরি কিংবা গোপনে অনেকে আপনাদের দলের সমর্থন করে, তাদের সম্পর্কে আপনার মতামত কী? : আরে ওরা তো সব রাজাকারপ্রেমী। ওরা পাকিস্তানি।

রক্তের টান বলে তো কথা আছে। - সর্বশেষ আরেকটি প্রশ্ন। আপনি কি মনে করেন, আপনাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর তা কার্যকর করা হবে? : আরে না। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমরা ছাড়া পাবো। সব যুদ্ধাপরাধী মুক্তি পাবে, যদি বিএনপি আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করে।

- একটা যুদ্ধাপরাধীও ছাড় পাবে না। সরকারের রায় হোক আগে। এরপর দেখবো, রাজাকাররা কীভাবে বাঁচে! সরকারের মৃতুদণ্ডের রায় কার্যকর করা লাগবে না, আমরাই মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করবো। আমরা অস্ত্র ফেলে দিয়েছি। কিন্তু কীভাবে দেশের শত্রুদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হয়, তা আমরা এখনো ভুলি নি।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.