আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামহ্যয়ারের ভাল চেয়ে চেয়ে মনে আসা কিছু খারাপ প্রস্তাব। প্রতিজ্ঞা করছি আমি আর কখনো এমন বলবো না।

চোখ মেলে দেখি জানালায় ভোরের পাখি

-কত বয়স তার -২মাস ৩ সপ্তাহ -কি বেঝে সে? -কিছুই বোঝেনা। হাতি ঘোড়া গেল তল, পিপড়া বলে কত জল, হুহ। বালিয়াড়িতে প্রমোদ বিহারে এসে বেখেয়ালে আমি ঝপাৎ করে ডুবে যাই। নিরীহ জীবদের সাথে ঘুরে ঘুরে দিন কাটাই আর অকস্মাৎ শুনি গুরু গম্ভীর আবাহন। বল বীর বল উন্নত মম শীর.... আমি আর সহ্য করতে পারলাম না।

তলিয়ে যাওয়া জলের স্রোত ঠেলে আবার মাথা উচু করে আমার পৃথিবীকে দেখলাম। কত সুন্দর আশ্চর্য এই পৃথিবী। রোদেরা দুপুর ভেঙ্গে পড়েছে কির্তনখোলার বুকে, শব্দের জাদুকরদের কোলাহলে সশব্দে হেসে ওঠে দশদিক। আমিও এক পা দুপা করে সে বাগানে ঠুকে পড়েছি। কোন এক শুভক্ষনে সামহ্যয়ারইনের আঙিনায় পা রেখেছিলাম।

তার আগে আমি যাচাই করে দেখেছি আলোকিত বাংলার আঙিনা। নাহ, আর কেউ নেই কাছাকাছি। যারা আছে তারা অনেক দুরে। আমি অগ্রগামীদের সঙ্গী হতে চেয়েছিলাম। আমি তাদের সঙ্গী হয়েছি।

কি নেই ? সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প, স্থাপত্য, স্বদেশ, প্রবাস, সংবাদ, সংঘটন, সমাজ, দর্শন, অর্থনীতি এবং আমাদের পেটের ভাত হজম হওয়ার অবশ্য প্রয়োজনীয় রাজনীতি। সবই আছে। প্রতিদিন, প্রতিমুহুর্ত পৃথিবীকে আলোড়িত করে চলছে ছোট্ট এক বায়বীয় জগত। এত এত ভাল লাগা নিয়েও মাঝে মাঝে কাটার আঘাত ক্ষতবিক্ষত করে সবুজ জমিন। কতজনে কত কথা বলল, কতজনে কত সুর তুলল, কতজনে কত তীর ছুড়ল তবু পাষন্ডের কঠিন বুকে সামান্য ভালবাসার শৈবাল জমে না।

উষর মরু হয়ে কেবল মরিচিকার ঝলকানী দিয়ে যায় তৃষিত বাংলা প্রেমিকের চোখ মুখে। বিষাক্ত লোল আর ঝোল ফোস্কা তুলে দেয় প্রজাপতির নরম ডানায়। সময় গড়িয়ে যায়। অভিমানে কেউ ছেড়ে যায়, কেউ পাথর হয় বেদনায়, মায়াবী হরিনির চোখ কচ্ছপের খোলসে ঢুকে হারায় সব সৌন্দর্য, আমি কেবল নিরাসক্ত হয়ে ভাবতে থাকি এর কি কোন প্রতিকার নেই। যে যার মত একজনকে মহান বানিয়ে দাড় করিয়ে দিচ্ছে আরেকজন তাকে নিস্কৃস্ট প্রমান করতে গিয়ে দুর্গন্ধ মেখে দিচ্ছে সারা গায়ে।

প্রিয় জন্মভূমির বুকে কালিমা লিপ্ত করে দেয় কতিপয় কুকুরের দল, আর প্রতিশোধ নিতে ধর্মের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে অসভ্য শয়তান। আমি কোথাই যাই ! দিন রাত ভাবতে ভাবতে আমার অলস মস্তিস্কে শয়তানের কারখানার পিস্টনের ঘুর্ণন বেড়ে যায়। তীব্র গতিতে উৎপাদন হতে থাকে অৎস্র কুচিন্তার ফসল। সামহোয়ারইনের ভাল চাইতে গিয়ে আমি কতগুলো খারাপ চিন্তাকে ভীষনভাবে পৃস্ঠপোষকতা করতে শুরু করি। সামহোয়ার তার ব্লগারেদের সুযোগ দিয়েছে সন্দেহজনক তালিকা তৈরী করে রাখতে।

সামহোয়ার নিজে কি সন্দেহ তালিকা তৈরি করে রাখতে পারেনা ! আমার সরল, ভাবনা চিন্তায় আমিতো সকল সমস্যার সমাধান দেখতে পাই সন্দেহজনক তালিকার মধ্যে। যারাই বিতর্কিত, অবাঞ্চিত, অপ্রকাশযোগ্য কিছু লিখার প্রবনতা দেখাবে। তাদেরকে মডারেশনের আওতায় নিয়ে নেয়া হবে। তাদের পরবর্তী পোস্টে মডারেশন প্রয়োগ হবে। তারপর পুনরায় ফ্রন্টপেজে।

যারা বাংলাদেশ আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করবে তাদের ঢুকিয়ে দেয়া হবে মডারেশন তালিকায় যাদের মুখের কোনো লাগাম নেই তাদের ঢুকিয়ে দেয়া মডারেশন তালিকায়, যারা ধর্মকে নোংরা আক্রমন করবে তাদের ঢুকিয়ে দেয়া হবে মডারেশন তালিকায়, যারা একই সময়ের মধ্যে দুটির অধিক পোস্ট দিয়ে ফ্রন্ট পেজ নস্ট করবে তারা ঢুকে যাবে মডারেশনের তালিকায় যারা সাময়িক পোস্ট নাম দিয়েও স্থায়ী করে রাখবে , মুছে ফেলার কথা বলেও যারা মুছে ফেলার কোন আগ্রহ দেখাবে না তারা ঢুকে যাবে মডারেশনের তালিকায়। যাদেও নিক পড়লেই বোঝা যায় এদেও জন্ম অসৎ উদ্দেশ্যে তারা ঢুকে যাবে মডারেশন তালিকায়। নিজের পোস্টে নিষিদ্ধ মন্তব্যকে যারা প্রশয় দেবে তারাও থাকবে মডারেশনের আওতায় আর যারা নতুন আসবে তারাও যথারীতি পার হয়ে আসবে মডারেশনের বাধ। সন্দেহজনক তালিকার ব্লগাররা কি অকালেই হারিয়ে যাবে ? না, তা হতে পারে না। তাদের পরবর্তী দশটি কি পাঁচটি পোস্ট মডারেটেড হয়ে প্রকাশিত হবে।

অতপর আবার মুক্ত। বার বার যে মডারেশনের আওতায় পড়বে তাকে স্থায়ীভাবে মডারেশনের আওতাভুক্ত করা হবে। চিরস্থায়ীভাবে সন্দেহজনক তালিকার অন্তভুক্ত হবে সে জন। তার জন্য কোন বাধা নেই আবার একটা অদৃশ্য বাধা তার ক্ষতিকারণ প্রবনতা থেকে বাচিয়ে দেবে পুরা ব্লগকে। আমি নিশ্চিত তারপরে আর কোন শয়তানী পোস্ট যায়গা করে নিতে পারবেনা।

শয়তানক আমি মুক্ত বিহংগের মত ঘুরে বেড়াতে দিতে চাই কেবল আটকে থাক তার সকল শয়তানী। ব্যান আনব্যানের কোন হল্যা নেই। মুখ আর হাতের স্বাধীনতায় কোন হস্তক্ষেপ নেই। লেখালেখির স্বাধীনতায় যাদের বিবেকের কোন দায় নেই তাদের দায়টা না হয় আমরাই আদায় করে নিলাম। টপরেটেড পোস্টের নামে একটা অস্থির প্রতিযোগীতাকে পাশ কাটিয়েও ফিরিয়ে দেয়া যায় মুল্যায়নের সুযোগ।

যেসব পোস্ট ভাল লাগার অনুভুতিতে সৌরভ ছড়াবে তাদেরকে তুলে দিন নির্বাচিত পোস্টের তালিকায়। প্লাস আর মাইনাসের লড়াই যেখানে সমানে সমান তাকে নিয়ে যান আলোচিত পোস্টের ঘরে। (আর যদি মাইনাস কে নিয়েও সখ থাকে তাহলে একটা ডাস্টবিন তৈরী করে দিতে পারেন ওর জন্য)। দম্ভটাকে কে উপড়ে দিতে একটা কঠিন শ্রোগান চাই। হাজার ব্লগারের ভীড়ে কে তোলে দূর্বল আওয়াজ, শক্ত ধাক্কায় হয়নি যে কাজ, অর্বাচীনের নরম খোচায় কিবা হবে আজ্।

তবুও আমি স্বপ্ন দেখে যাই। মহাসমুদ্রে চিহ্ন থাকল আমিও একদিন একচিমটি নুন ঢেলেছিলাম ভাল কিছু দেখার আশায়। অগ্রজরা অনেকে অনেক কিছু বলেছেন, অনেকে অনেক কিছু শুনে শুনে বিরক্ত। তবুও আরেকবার। আরেকবার চর্বিত চর্বন নিয়ে লেখক যশোপ্রার্থী আমি সন্ত্রস্ত চিত্তে মহাজনের দরজায় কড়াঘাত করছি, জনাব, একটু শুনবেন প্লিজ।

না শুনলেও ভাবনা নেই। কথা দিচ্ছি আর কখনো বিরক্ত করব না। কেবল বাধ্য ছেলের মত লিখে যাবো, পড়ে যাবো, ভাল লাগা মন্দ লাগা জানিয়ে যাবো। হয়তো ছেড়ে যাবো সেদিন, যেদিন সা,হো,র চেয়েও ভাল কিছু আমার দৃস্টি আকর্ষণ করতে পারবে। ততদিন আমি আছি, পড়ে থাকবো তেলাপোকার মত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।