আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলার পুলিশ এবং জামায়াত শিবির

অজানা গন্তব্যহীন পথে হঠাৎ নানা ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ উদ্দ্যেশ্যের জন্ম হয় নিজের মাঝে, । সেই গন্তব্যহীন পথে নানা নতুন নতুন উদ্দ্যেশ্যের পিছনে আমার ছুটে চলা, আমার বিরামহীন পথ চলা। পুলিশকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করা হয়, এটা আর নতুন করে বলার দরকার নাই। আপনি যে দলই করেন না কেন এটা না মানার কোন কারন আছে বলেও মনেকরি না। বাংলাদেশের পুলিশের প্রধান মূলত স্বরাষ্টমন্ত্রী, তিনিই তাদের ব্যবহার করেন।

এক সময় স্বরাষ্টমন্ত্রী ছিলেন নাসিম। ক্ষমতার পালা বদলের পরই আমরা দেখলাম, যে নাসিম কিছুদিন আগে পুলিশের হর্তাকর্তা ছিলেন। তাকেই পিটিয়ে মাথা পাটিয়ে দিয়েছিল এই পুলিশ। আবার বাবরের কথা বলি, তিনি পুলিশকে প্রায় সব কাজে ব্যবহার করেন। বিরোধীদলকে পেটাতে তিনি কম করেননি।

এবার তাকে রিমান্ডেতে যা করারা তা কিন্তু এ পুলিশই করতেছে। আমাদের বর্তমান স্বরাষ্টমন্ত্রীর ডিম থেরাপির কথা প্রায় সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। তিনি জানেন কি না কে জানে। তিনি হয়তো এসব আর মনে করতে চান না। তিনিই এখন পুলিশের হর্তাকর্তা।

তিনিই নানা দিক বিবেচনা করে তাদের পদবী দেন। আমরাও দেখলাম যে পুলিশ বিরোধী দলের হুইপকে পেটালো তিনি তাকে পুরস্কিত কররেন। আগামীতে যদি কথনো আপনি বিরোধী দলে যান, আপনাকে পেটালে হয়ত আমরা দেখবো সে পুলিশকে পুরস্কিত করা হবে। এতে এতটুকুও জাতি দুখ করবে না। আপনার শেখানো পথেই পুলিশ চলবে।

এত সব বাদ, এখন প্রশ্ন হচ্ছে পুলিশের চাকরি কি নির্দি ষ্ট সময়ের জন্য? ক্ষমতার পালা বদলে কি তাদেরও বদল হয়? উত্তর না। এরা সবসময়ই থাকে। সব সরকারই তাদের নানা ভাবে ব্যবহার করে এটাই সত্য কথা। পুলিশের চাকরিটাই এখন মনে হয় এই রকম। সব স্বরাষ্টমন্ত্রীদের বলি, আপনারা যা করবেন তা আপনাদের ফেরত দেয়া হয়।

ইতিমধ্যে আপনারা হয়ত টের পাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর দলীয়করন এত সহজে হয়তো আমাদের দেশে বন্ধ করা যাবে না। তারপরও অপেক্ষায় থাকলাম যদি কোনদিনও আমরা ভালো কিছু দেখি। একটা ঘটনা বলি, দেলোয়ার হোসেন সাইদীর একটা ওয়াজে তিনি পুলিশ বাহিনীর জন্য দোয়া করছিলেন। আজ আমরা কি দেখলাম, তার দলই এ পুলিশ বাহিনীকে পেটালেন, রক্তাক্ত করলেন।

এখন সাইদী কি বলবেন। এখনকার পুলিশ আর তখনকার পুলিশের মাঝে ব্যবধান কি? তারা সবাই কি এ সরকারের আমলে নিয়োগ প্রাপ্ত? এরা সবাইকি আওয়ামীলীগের দালাল? সব দোষ আসলে তারা কেন পুলিশ। তারা কেন এত চাকরীতে এলেন এত চাকরী থাকতে। তারা কেন লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে এমন পেশায় আসেনন। ইংরেজী শব্দ পোলিশ মানে বোকা এর সাথে আমাদের এ পুলিশ বাহনীর কোন ব্যবধান দেখিনা।

ঘুষ খাইতে চাইলেওতো আরেক অনেক চাকরী আছে। আজ জামায়াত শিবিরের যে ভয়ানক চরিত্র দেখলাম। তারা যেভাবে উগ্র হয়ে পুলিশকে পেটালেন, গাড়ি ভাংচুর করলেন, এটা হতাশা জনক এবং উদ্বেগ জনক। তারা দেশে কি করতে চায় এটাই আমার প্রশ্ন? অনেক জামায়াত শিবিরকে বলতে শুনি, দেশে নাকি গৃহযুদ্ধ শুরু হবে, জাামায়াতের বিচার করা হলে। তাদের বলি, আপনার কয় জন আছেন যে দেশে গৃহযুদ্ধ চালাবেন? ইসলামের দৃষ্টিতে মানবতার বিরোধীদের বিচার হওয়া ফরজ।

জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলার উপর যে নির্যাতন চালান, আমার দেশে নিরিহ মানুষকে খুন, ধর্ষন। কি করেনি তারা। তাদের বিচার দেরীতে হলেও শুরু হয়েছে। এ বিচার বন্ধে, আজ তারা নানা ভাবে ইতিহাস বিক্রিত করতেছে। দেশ বিদেশে মোটা অঙ্কের টাকায় তারা লবিং করছে।

তারা নানা ভাবে অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের তরুন সমাজকে বিভ্রান্ত করছেন। কোমলমতি ছেলদের আইসক্রিমের লোভ দিয়ে, আবার নামাজের কথা বলে তারা আস্তে আস্তে ছেলেদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে। পত্রিকায় দেখলাম, পুলিশকে বলছে, যেখানে শিবির দেখবে গুলি করবে। আমার কথা হচ্ছে আপনারা কয়জনকে মারবেন। এদের অনেকে আছে না বুঝে জামায়াত শিবিরের চক্রে আটকা।

আমার ভাই যদি এ প্রতারকদের কবলে পড়ে, তবে আমি কি করব। আমার ভাইকে কেউ গুলি করে মারে। এ ব্যথা আমি সইবো কেমনে। ভন্ড প্রতারক জামায়াত যে আসলে একটা জঙ্গী সংগঠন। এদের মাঝে ইসলাম নেই।

আজ এ সব নিয়ে বলতে চাচ্ছি না। আজ বলতে চাচ্ছি জামায়াতের ক্ষমতার উৎস বের করা। তাদের কারনে যেন আমাদের কোমলমতি ছেলেদের মরতে না হয়। অন্তত সে কারনে জামায়াতের রাজণীতি আমাদের দেশে বন্ধ হওয়া জরুরী। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.