আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল কলেজে ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর অবশেষে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরা পড়লেন অধ্যক্ষ রাব্বানী

রুদ্র মাসুদ rudramasud@gmail.com

১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হলে এবং পাশ করলেই চাকরির নিশ্চয়তা থাকায় ছাত্রছাত্রীরা যেকোন মূল্যে ভর্তি হতে চেষ্টা করে। আর এ সুযোগে ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল কলেজের অধ্যক্ষ এম এম জহুরুল হক রাব্বানী। মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে ভর্তির জন্য ঘুষ নেয়া ১ ল ১১ হাজার ৭শ টাকা, ৪টি উত্তরপত্র, নাম ঠিকানা বিহীন ৫টি সম্পূর্ণ উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়। অধ্যক্ষের অন্যতম সহযোগী ইনষ্ট্রাক্টর শহীদউল্যাহকে গ্রেফতারের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ভর্তি বাণিজ্যের আপাত অবসান ঘটে। ইনষ্ট্রাক্টর শহিদউল্যাহর বাসায় বসে উত্তর পত্র লিখার সময় গ্রেফতার হয় জাবেদ ও সাকের নামের দুই ছাত্র।

তারা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। একলাখ টাকার বিনিময়ে অধ্যক্ষের সাথে ভর্তি হবার চুক্তি অনুযায়ী তারা শহিদউল্যাহর বাসায় বসে উত্তরপত্র লিখছিলো। গ্রেফতারকৃত অধ্যক্ষ রাব্বানী ও ইনষ্ট্রাক্টর শহীদউল্যাহকে রাতে বেগমগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, প্রতারণ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার বিকালে তাদেরকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এদিকে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র সাকের ও জাবেদ ভর্তির জন্য একলাখ টাকা দেয়ার কথা আদালতে স্বীকার করেছে। দেশের সবগুলো টেক্সটাইল ইনিষ্টিটিউট ও কলেজে এভাবে ভর্তি বাণিজ্য চলে আসছে। সাংবাদিক বন্ধুরা খোঁজ নিয়ে নিউজ করতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.