আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন-মাতানো আযানের ধ্বনি শুনতে ঘুরে আসুন ডিআইটিএফ

দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে

সময় সুযোগ হচ্ছিল না, আজ সুযোগ পেলাম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাতে যাবার। নিঃসন্দেহে বিভিন্ন ধরনের পণ্যকে একসাথে দেখার জন্য এ মেলার জুড়ি নেই। মাগরিবের আগে ঢুকেছিলাম। প্রচুর মানুষের সমাগম। কেউ স্রেফ ঘুরতে এসেছেন, কেউ পণ্য সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছেন, কেউ বা তা কিনছেন, কেউ বিভিন্ন লোকেশনে দাঁড়িয়ে বা বসে ছবি উঠাচ্ছেন, বললে হয়ত ভুল হবে না কেউ কেউ সুন্দরী তরুণী দেখতেও এসেছেন।

এত কিছুর মধ্যেও মেলা থেকে আমি অন্য রকম এক অনুভূতি নিয়ে ফিরলাম। দিন ঘন হয়ে এসেছে, নেচারাল অন্ধকার বিদায় নিচ্ছে। চারিদিকের টুংটাং বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হঠাত থেমে গেছে। যিনি উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন, গলার স্বর কমিয়ে দিলেন। নিরবতায় নিরবতাকে আ্যাম্প্লিফাই করল।

কারণটা অন্য কিছু নয়, শুরু হয়েছে সুমধুর সে আযানের ধ্বনি। আযান প্রতিদিনই শুনি। কিন্তু আজকের আযান শুনলাম অন্যরকম। আযানের ধ্বনিগুলো আমাকে খুব বেশি আকুল করছিল। এমন ডাক শুনে মসজিদে না গিয়ে কি পারা যায়! ক্ষণিকের তরে ভাবলাম এর থেকে ভাল কোন ওয়ে কি আছে যা দিয়ে মানুষকে প্রার্থনার জন্য ডাকা যায়? আমি পেলাম না।

পৃথিবীর সব নামাজীই এই এক ডাকে ছুটে যায় মসজিদে। নামাজ শেষে ফার্নিচারের বিভিন্ন স্টলগুলো ঘুরলাম। পণ্য এবং দাম দেখে বোঝার কোন উপায়ই নেই এদেশ সিডর বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। মানষের নিদ্রাকে আরামদায়ক করতে কত যে সাজ আর কত যে দামের আভিজাত্য। কোন কোনটার দাম লাখের উপরে।

গরীব মানুষ যে চৌকিতে ঘুমায় তার দাম কত? ২৫০? ৩০০? না হয় হল ৫০০ই,এর বেশি কি হবে? এরকম একটা খাটের (খাটই তো বলে! না অন্য কোন নাম আছে) দামে কতজন অভাবী মানুষের ঘুমানোর ব্যবস্থা করা যায়? তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম কারও কারও জন্য এধরনের বিষয়ের প্রয়োজন আছে। কিন্তু আমি কোন যুক্তিই খুঁজে পাই না মেলাতে এসব প্রদর্শনের। কি দরকার মানুষের সংসারে অশান্তি বাড়ানো। সে তো এমনিই আরামে ঘুমাতো, আরও আরামের লোভ দেখানোর অধিকার তাদের কে দিল? কিছু কিছু পণ্যের ডিজাইন দেখলে মনে হয় ডিজাইনার বুঝি বেহেশত থেকেই এসব দেখে এসেছেন। এসব আমার জন্য কোন সমস্যা না, কারণ আমি এসব চেরিশ করি না।

আভিজাত্যকে ঘৃণা করি, প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।