আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঠিকাছে, সুশীলই বানান। তয় রাজাকারমুক্ত

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

সুশীল শব্দটার সম্পূরক হিসেবে গোবেচারা, সুবোধ কথাগুলি খুব যায়। কিংবা সুশীল হতে গেলে বোধহয় আগের ধাপ হিসেবে সেগুলিই আসে। অন্যভাবে বললে, গোবেচারা সুবোধ ভাব নিয়ে আপনি সুশীল হতে পারবেন। সুশীল হওয়ার সবচেয়ে বড় গুনটি হচ্ছে মহামানবদের মতো ক্ষমাশীলতা অর্জন। আপনি কোনো সুশীলের কাছা ধরে টান দেবেন, সে হয়তো বলবে- ছিঃ, কি করছো! সুশীলদের প্রয়োজন আছে সমাজে।

সমাজপতি এবং যে কোনো পতির (রাষ্ট্রের থেকে ব্যবসার কর্ণধারও হতে পারে) বড় গতি কিংবা হাতের পাঁচ হচ্ছেন এরা। একজন ধর্মগুরুর মতোই তাদের কদর। কারণ অশিক্ষিত নির্বিরোধদের মাথায় হাত বুলোতে আপনার একজন মোল্লা/প্রিস্ট/পুরোহিত/মংক কিংবা র‌্যাবি লাগবে। আর একটু শিক্ষিত নির্বিরোধদের জন্য এসব সুশীল। এমনিতে কেউ না পুছলেও যে কোনো সংকটে এসব সুশীলের বিবৃতি কর্তৃপক্ষের খুব প্রয়োজন হয়।

সেসব বিবৃতি তারা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন এমন প্রতিশ্রুতিই আসলে অনেক সময় থলে থেকে ম্যাও ডাকটা শুনিয়ে দেয়। যাক সুশীল সমাজ নিয়ে রচনা লিখতে বসিনি। সামহোয়ার ইনের বর্তমান প্রেক্ষিত নিয়ে কিছু বুদ্ধিজৈবিক পোস্ট পড়ার দূর্ভাগ্য হলো। তখনই সুশীল কথাটা মাথায় ঢুকলো। অনেক সুলিখিত পরিচ্ছদেও কয়েকটা লাইন কায়দা করে ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রবণতাও দেখলাম যা তাদের শিরোনাম ও বক্তব্যের বাইরে আসল ইচ্ছেটাকে প্রকট করে তুলে ধরেছে।

আনন্দের সঙ্গে দেখলাম সাধারন ব্লগারদের অনেকেই সেটা ধরে ফেলেছেন। ঠিক আগের পোস্টেই আমার আশংকা ছিলো মত প্রকাশের স্বাধীনতার ভুজুং দিয়ে কিছু সুশীল ব্লগার রাজাকারিতার ঢাল বনতে চাইবেন। স্বেচ্ছায় নাকি পিঠ চাপড়ানো অনুরোধে নাকি ওরে আমারে দেখি পুছেনা কমপ্লেক্সে তা নিশ্চিত নয়। কিন্তু সারবেত্তা দাড়িয়েছে তাই। বখাটে তাড়ান, গালিবাজ তাড়ান- সমস্যা নেই।

আগে রাজাকারিতা থামান। এটা থামলেই সব থামবে। কিন্তু সুশীল আন্দোলন করে প্রতিবাদী কণ্ঠ ব্যান করিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী কণ্ঠকে মালা পড়িয়ে কোলে বসানোর অভিসন্ধির তীব্র নিন্দা জানাই। সামহোয়ার ইনকে সুশীল ব্লগ বানান সমস্যা নাই- এটা অবশ্যই পজিটিভ থিংকিং। কিন্তু আমার ঘরে আগুন লাগেনি বলে প্রতিবেশীর ঘর পুড়ে ছাই হতে দেখবো এটা অত্যন্ত স্বার্থকরী মানসিকতা।

তাতে নিজের স্বার্থ উদ্ধার হয়, উদ্ধার হন কর্তৃপক্ষও। কিন্তু সুশীল মোড়কে বিশ্বাসঘাতকতাটাই আমাদের আজকের রাষ্ট্রীয় পরিণতির মূলে। গত ৩৬ বছর ধরে সেটাই দেখছি মূল ভুখন্ডে। ব্লগজমিনে দেখতে নারাজ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।