আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিথ্যা চিরকালই মিথ্যা যদিও তা হাজারবার উচ্চারিত হয়...

কষ্ট হলেও সত্য বলা বা স্বীকার করার সাহসই সবচেয়ে বড় সততা।

একটা কথা স্বীকার করতেই হবে যে রাজনীতির অঙ্গনে আওয়ামী ঘরানার রয়েছে দুইটি পাস পয়েন্ট। একটি হলো মিডিয়ার ৯০ শতাংশ তাদের প্রভাবাধীন। আরেকটি হলো তাদের অসম্ভব চাপার জোর। চাপার জোরে তারা দিনকে রাত এবং রাতকে দিন বানান ঠিক আমাদের কয়েকজন সম্মানিত ব্লগারের মতো।

তারা জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে সবধরনের নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যা মুখে এসেছে তাই বলে গেছে। কিন্তু যখনই তথ্য প্রমাণ বা সাক্ষী সাবুদের কথা উঠেছে তখনই তারা পিঠ টান দিয়েছে। না দিয়ে তাদের উপায় কি? কারণ, সত্য নিয়ে কোনো দিন তারা কারবার করে না। তারা হলো আউট এ্যান্ড আউট মিথ্যার কারবারী।

জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযমের বিরুদ্ধেও অনেক উন্মাদ অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু তারা যাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী বলে সেই গোলাম আযমকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অর্থাৎ সুপ্রীম কোর্ট তার নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম সরকার গোলাম আযমসহ কয়েক ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়। গোলাম আযমের জন্ম বাংলাদেশে। তিনি বেড়ে উঠেছেন এই দেশেই।

লেখাপড়াও শিখেছেন এই দেশেই। জন্মগতভাবে যিনি বাংলাদেশের নাগরিক, যার লালন পালন বাংলাদেশে, যার শেকড় প্রথিত বাংলাদেশে, তাঁর নাগরিকত্ব হরণ করা যায় কিভাবে? তিনি বা তাঁর মত যদি কেউ কোনো অপরাধ করে থাকেন তাহলে বাংলাদশের মাটিতে, বাংলাদেশের আইন মোতাবেক তিনি বা তাদের বিচার হবে। আইন মোতাবেক শাস্তি হলে হবে, না হলে খালাস পাবেন। গোলাম আযম সাহেব নাগরিকত্ব ফিরে পাবার জন্য আবেদন করেছিলেন। রাজনৈতিকভাবে এবং আইনী লড়াই করে তাঁর নাগরিকত্ব হরণকে জাষ্টিফাই করার কম চেষ্টা হয়নি।

কিন্তু আইনই তাঁকে তাঁর ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। মিথ্যা চিরকালই মিথ্যা যদিও তা হাজারবার উচ্চারিত হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.