আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধে পলিসিমেকারদেরও অংশগ্রহন থাকে

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

দেলোয়ার নামক এক ট্যাক্সি ড্রাইভারকে ইন্টারোগেশনের জন্য নিয়ে গিয়ে পাচদিনের মাথায় মেরে ফেলে আমেরিকান সৈন্যরা। আফগান এই যুবকের মৃত্যু ঘটে বারগামের নির্যাতন সেলে। পরে আমেরিকানরাও স্বীকার করে দেলোয়ার ১০০% নিষ্পাপ ছিল। গতকাল বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে বিস্তারিতভাবে ঘটনাটির বর্ননা দেওয়া হয়। নির্যাতনকারীর অনেকের পরবর্তীতে প্রমোশন ঘটে।

অনেককে পাঠানো হয় আবু গারিবে। তবে সবচেয়ে ভয়ের ব্যপার এগুলো কোন বিক্ষিপ্ত কোন ঘটনা নয়। চেইন অফ কমান্ডের ফলস্বরূপ। যারা এইসব বন্দি নির্যাতনে অংশগ্রহন করেছেন তারা সবাই বলেছেন ওরা শুধু ওপরওয়ালাদের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র। নির্যাতনকারীর অনেকেই ছিল উদার মনের মানুষ।

মীট দ্যা প্রেসে ডিক চেনি অনেকটাই ষ্পষ্ট করেছেন, আমরিকান সরকারের সম্মতি আছে এরকম বন্দি নির্যাতনে। আমরিকান পলিসিতে পরিনত হয়েছে এটি। বলা হচ্ছে সব কিছুই করা হচ্ছে আমেরিকাকে রক্ষা করার জন্য। সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী কলিন পাওয়েলের মতে শত শত ইরাকী বা আফগানকে সন্ত্রাসের অভিযোগে যে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের ৯৯% ই নিরাপরাধ। আরো মজার ব্যপার এই যে গুয়ানতানামো বে তে আটককৃতদের মাত্র ৭%কে আমেরিকানরা সরাসরি আটক করেছে।

বাকীদের ধরিয়ে দিয়েছে স্থানীয় ওয়ারলর্ড আর পাকিস্তানীরা। আর কাজটি তারা করেছে হাজার হাজার ডলারের বিনিময়ে। তাই আরেক শীর্ষ আমেরিকান কর্মকর্তার মতে এতে করে শত শত নিরীহ আফগান এবং ইরাকীকে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে জংগী সংঘটনে যোগ দিতে। এতে করে আমেরিকাকে মুখোমুখি হতে পারে নাইন এলেভেনের মত আরো বিপর্যয়ে, আর এটি খোদ আমরিকানদেরই আশংকা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.