আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাস্যকর বনায়ন!

ইমরোজ

তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। আমার ঘরে ফেরা হয়নি। হাটছিলাম দ্রুত পায়ে, সাথে কিছুই নেই তবু ভয়, নির্জনগলির বাঁক ঘেষে দাঁড়ানো অট্টালিকা যেন দানব হয়ে ঢেকে দিয়েছে একটুকরো আকাশ। চোখ পড়ল আকাশি রঙের দোতলা বাড়িটার দিকে। এটি এক-কবির পৈতৃক বাড়ি।

তিনি বারান্দায় অলস পায়েচারি করছেন। যেন বাজ পড়েছে এই সামনেই। আমাদের পরিচিত ভূবনের লোক, কবি খুব সকালে হাটতে বের হোন, আর সুখ দুঃখের কথা শেয়ার করেন পার্কের নাম না জানা অনেক লোকের সাথে। কেউ শুনে মাথা নাড়ে, কেউ সমাজকে গালি দেয়, কেউ হাসে, কেউ সান্ত্বনা দেয়। তবু কবির দুঃখ বিদীর্ণ করে চলে, না বলা অনেক কথা।

চলে এলাম কবির সামনে দিয়ে। চোখে চোখ পরেনি সেদিন আমার সাথে কবির। আজকে যখন সেই গলির ভেতরে ঢুকেছিলাম কোন কিছুর খোজে, অনেক অনেক দিন পর। তখন কবির বাড়ির দিকে চোখ চলে গেল। কবি সেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন, তার সামনের বিশাল অট্টালিকার দিকে তাকিয়ে।

যেন সেখানে তিনি আকাশ খুজছেন। বুড়ো কবি অসহায়। অবাক হয়ে দেখছি তাঁর উঠান আলা দোতলা বাড়িটি আর নেই। উঠান নেই, নেই একটুকরো গাছ, অথবা সবুজ ঘাস। আছে, দশতলা অট্টালিকা ছোট ছোট বারান্দা বহুল একটা এপার্টমেন্ট বিল্ডিং।

কিন্তু সেদিন সন্ধার মতই এই জায়গাটা অন্ধকার লাগছে কেন? আজ তো সকালে এসেছি। চেয়ে দেখলাম, আকাশ ঢাকা অট্টালিকা দুটোর দিকে, আকাশ নেই ছোট খোপের বারান্দায় কবির হাহাকার। ঝিঝির ডাক শোনেন না কতদিন কে জানে? ছাদের টবে লতাগুলো ঝূলে পড়েছে অট্টালিকা ছুয়ে, হাস্যকর বনায়ন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।