আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এই স্বঘোষিত রাজাকার কে নিষিদ্ধ না করা কি সামহ্যোয়ার নিয়মের পরিপন্থী নয়?

সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার
রাজনৈতিক মত ও মতাদর্শ প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিটি মানুষেরই গনতান্ত্রিক অধিকার। একে অস্বীকার করলে গনতন্ত্র ও মানবিক অধিকারকেও অস্বীকার করা হয়। কিন্তু গনতন্ত্র ও মানবিক অধিকারের ব্যবহার যখন একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে কলুষিত করার প্রয়াসে লিপ্ত হয়, তাখন তাকে অপপ্রয়াস হিসেবে আখ্যায়িত করতে হয়। সে অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছে আমি রাজাকার নামে একজন ব্লগার। সে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিভিন্ন পোষ্টের মাধ্যমে কলুষিত করছে।

যাদের রক্তের চিহ্নের উপর দাঁড়িয়ে আমরা নিজেদেরকে স্বাধীন বলে দাবী করি, তাদেরকে বিভিন্ন মনগড়া ব্যখ্যার চাবুকে আঘাত করে এক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাই তাদের প্রতিটি পোষ্টের মূল উদ্দেশ্য। এই অপপ্রয়াসকে সামহোয়্যার কি ভাবে মেনে নিচ্ছে, তা আমার একেবারেই বোধগম্য হচ্ছে না। এই ব্লগারের নামটিই চরম ঔধ্যত্বের পরিচয় বহর করে। এই স্বগর্ব ঔধ্যত্বের এতবড় সাহস তার কি করে হয়? রাজাকার কোন রাজনৈতিক দল নয়। এদের কোন রাজনৈতিক মতাদর্শও ছিল না।

এরা ছিল তাদের বিদেশী প্রভুর পদলেহনকারী এক রক্তলোলুপ হত্যাবাহিনী। এরা নিজেদেরই মা বোনকে ধর্ষণ করে আরো ধর্ষণ করার জন্যে তুলে দিয়েছে তাদের পাকি প্রভুদের হাতে। এরা নিজের ভাইকে হত্যা করে সে লাশ তুলে দিয়েছে তাদের পাকি প্রভুদের হাতে, যাতে সে লাশেরও অবমাননাও সম্পুর্ন করা হয়। সে নাম আমি রাজাকার নিয়ে এই ব্লগার তার অপকর্ম করে যাচ্ছে। স্বগর্বে তুলে ধরছে নিজের কলুষিত পরিচয়।

সামহ্যোয়ারের কি এখানে কোন দ্বায়িত্ব বোধ করেন না, এমন এক কলুষিত অস্তিত্বকে নিদেনপক্ষে এ ব্লগের পাতা থেকে নি:শ্চিহ্ন করার? এই কলুষিত অস্তিত্ব শুধুমাত্র আমার কাছেই নয়, আরো অনেক ব্লগারের কাছেই চরম অশ্লীলতার চেয়েও অশ্লীল। সামহ্যোয়ারে যে সব নিয়মাবলী আমি পড়েছি, তাতে কোন অবস্থাতেই আমি রাজাকারের এখানে জায়গা হতে পারে না। স্বাধীনতার প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে, যারা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তাদের সবার তরফ থেকে আমি রাজাকারকে এ ব্লগে নিষিদ্ধকরণের দাবী জানাচ্ছি। আশা করছি সামহ্যোয়ার তাতে একমত হবেন ও আমি রাজাকারকে তার আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবেন।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।