আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে চায় না ৭৫% তুর্কি নাগরিক!

এক দশক আগেও যে তুরস্কের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ'র সদস্য হওয়ার জন্য লালায়িত ছিল এখন তারা আর ইইউ'র সদস্য হতে চায় না। তুর্কি সরকার ইইউ'র স্থায়ী সদস্যপদ লাভের যে চেষ্টা করছে, দেশটির বেশিরভাগ মানুষ তার বিরোধিতা করেছে। সম্প্রতি তুরস্কে পরিচালিত এক জরিপ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপটি পরিচালনা করেছে, দেশটির অর্থনীতি ও বৈদেশিক নীতি গবেষণাকারী কেন্দ্র- ইডিএএম। তারা ১ হাজার ৫০৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এ জরিপের তথ্যমতে, তুরস্কের তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আগ্রহী নন। বাকি এক ভাগ সাক্ষাতকারদাতা মনে করেন, আঙ্কারার ইউরোপীয় জোটে যোগ দেয়া উচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি সম্পর্কেও জরীপে প্রশ্ন করা হয়। এ প্রশ্নের উত্তরেও পরস্পরবিরোধী জবাব দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। তুরস্কের প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, আঙ্কারা ও ইউরোপীয় জোটের মধ্যে অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

অবশ্য, সাক্ষাতকারদাতাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মনে করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিরাজমান সম্পর্ক বজায় রাখা দরকার। তবে শতকরা ২৫ ভাগ তুর্কি নাগরিক ইইউ'র সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক রাখারই বিরোধী। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিগত আইনের ৩৫টি অধ্যায়ের মধ্যে মাত্র একটি অধ্যায়ের দাবি পূরণ করতে পেরেছে আঙ্কারা। তুরস্ককে ইইউ'র অন্তর্ভূক্ত হওয়ার জন্য ওই ৩৫টি অধ্যায়ের সবগুলো পালন করা বাধ্যতামূলক শর্ত রয়েছে। তুরস্কের অন্তর্ভূক্তির ব্যাপারে ইইউভুক্ত দেশ ফ্রান্স ও সাইপ্রাসের বিরোধিতার কারণে ওই ৩৫টি অধ্যায়ের মধ্যে ১৮টি অধ্যায় স্থগিত রাখা হয়েছে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।