আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুতুলের পরিতাপ!



পুতুলের পরিতাপ! আমার তিন মাসের ব্লগ জীবন আর ব্লগের তিন বছরের। শুভেচ্ছা তিন বছরের ব্লগকে। ব্যাক্তিগত পোষ্ট, এনিয়ে ২/৩ টি হবে। কিন্তু একটিও লিখতে হবে তা ভাবিনি কখনো। আমি আমার লেখক সত্বার আবিষ্কার করলাম এই ব্লগের মাধ্যমেই।

তাই এর সাথে ব্যাক্তিগত সম্পর্ক আমি না চাইলেও হয়েগেছে। বাংলায় ব্লগিংটা আমাদের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণে অনেক ত্যাগী আর প্রতিবান মানুষেরন অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। যারা তা করেছেন, তাদের প্রতি আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কৃতজ্ঞ। ছাপার অক্ষরে লেখন যন্ত্রের উপহার আমরা শহীদ মুনির চৌধুরির কাছ থেকে পাই। আমার কাল রং-এর কি-বোর্ডটি হয়তো মুনির চৌধুরি দেখতে পাচ্ছেন না।

দেখলে হয়তো খুব খুসী হতেন। এই ব্লগে অনেক লেখকের আনাগোনা। দুঃখ, বিরহ, প্রেম, কবিতা, গল্প, প্রবন্দ, এমনটি ঊপন্যাস পর্যন্ত এ ব্লগে লেখা হয়। ঝগরা, কাইজ্জা সব। সব ধারন করে এই ব্লগ।

দুখিত! এখানে আপনার মন্তব্য করার অনুমুতি নেই! এই লেখাটি দু'বার দেখেছি। প্রথম বার কার ব্লগে তা মনে নেই। এবার শ্রদ্বেয়া আইরিন সুলতানার ব্লগে। কিন্তু তাতে মন খারাপ হওয়ার কোন কারণ খুজে পেলাম না। কারণ তিনি তার আঙ্গিনায় কাকে প্রবেশাধিকার দেবেন আর কাকে দেবেন না, সেটা তার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার।

১৬ই ডিসেম্বরে কোন রাজাকারের ব্লগে গিয়ে কোন কথা বলব না। এমন একটা পণ, শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারলামনা। উদাসী সপ্ন কোন রাজাকারকে যুদ্ধাপরাধ প্রমানের চেষ্টা দেখে তাকে সেখান থেকে বারণ করতে ঐ পোষ্টে গিয়ে সম্ভবত লিখেছিলাম যে, রাজাকারদেরকে এটা বুঝানোর মত পন্ডশ্রম করে কোন লাভ নেই। ওরা সব বোঝে। বুঝে জেনেই এরা রাজাকার।

একেমন দেখা বলেছেন : ২০০৭-১২-১৬ ০৩:৩৫:৫৪ দেখা যাক কেমন বিচার হয়। তবে আমি বিশ্বাস করি রাজাকার যাদেরকে আপনারা দোষী সাব্যস্ত করতেছেন তাদের শরীরের একগাছা চুল ছিড়া দুরে থাক ধরার সাহস আপনারা যারা আগেই বিচার করে ফেলেছেন তাদের নেই। চ্যালেন্জ করলাম। অপেক্ষা করতে থাকলাম সেই দিন ক্ষনের! কেমন? এই কমেন্টা এস্কিমোর পোষ্ট থেকে কপি করা। এর পর কি মনে হয় যে ওদের বুঝানোর চেষ্টা কারার কোন মানে আছে? অমি রহমান পিয়াল, এস্কিমো, লাল দরজা সহ আরো অনেকে হাতে নাতে রাজাকারদের ভূমিকা প্রমান সহ ব্লগে উস্থাপন করছেন।

তাতে কি একটি রাজাকারও মত পালটেছে? পাল্টায়নি! রাজাকাররা ব্লগকে তাদের প্রপাগান্ডার জন্য ব্যাবহার করছে। অনেকে আসেন প্রগতিশীল সেজে। যেমন চতুর্ভূজ। দুএকটা ভাল কমেন্ট করে, শুরু করেন রাজাকার বন্দনা। গো. আ. হেরেমের বার বণিতারা চতুর্ভূজকে রক্ষা করতে নগ্ন হয়ে মাঠে নামেন।

চতুভূজের চার লাইনের একটা পোষ্টে, আহমাদ মুজতবা দলবল নিয়ে প্রায় তিনশত কমেন্ট করেছেন। একেমন দেখা র এই জাতীয় কমেন্ট দেখে বিবেকবান কোন মানুষের মাথা ঠিক থাকে! ওদেরও ছিলনা হয়তো। অশ্রাব্য কমেন্ট করায় কেউ কেউ ব্যান খাইছে। অথচ আমাদের অনুভূতিকে পদদলিত করে রাজাকার এখনো ব্লগ করে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ রাজাকারী পোষ্টগুলি মুছেও দেননা।

আমাদের গৃহ যুদ্ধে আমরা স্বপক্ষের ব্লগারদের আক্রমন করি, ব্যান করি। অথচ আমরা সবাই জানি, কাজটা ঠিক হচ্ছে না। আমদের ব্যাক্তিগত আক্রোশ আমাদেরই দুর্বল করে। রাজাকারের প্রপাগান্ডা এরা ভাল করে চালায়। কর্তৃপক্ষ নীরব থাকে।

আমি বলি রাজাকারদের পোষ্টে কোন কমেন্ট আমাদের করা উচিৎ নয়। সে যত নেগেটিভ কমেন্টই হউক। ওরা এটাই চায়। ব্লগ মিলনের ছবি দেখে অনেক ব্লগারকেই তরুন যুবক মনে হচ্ছে। সব ব্লগারের কাছে অত্যন্ত পরতাপের সাথে ক্ষমা চাচ্ছি।

ব্লগ থেকে ব্যান হওয়ার ভয়ে আমি সকল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বলতে পারিনি; হে আমার যুবক তরুন ভাইয়েরা! তোমরা এক হয়ে, সব রাজাকারদের তোমাদের যৌবনদীপ্ত অহংকারের পদতলে পিপড়ার মত পিষ্ট কর। যারা তোমাদের মায়ের বল্যকার করেছে, যারা তোমাদের বোনকে ধর্ষণ, ভাইকে খুন করেছে, তাদের তোমরা এমন ভাবে পিষ্ট কর, যেমন করে তোমার বোন দুই নখের চাপে মাথার উকুন পিষ্ট করে। এরপর যদি আমি ব্যন হই, আমাকে ক্ষমা কর।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।