আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কংক্রিটের গোরস্থানে শ্রমিক মৃত্যুর লাইভ শো

*

খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার ০৫ কংক্রিটের গোরস্থানে শ্রমিক মৃত্যুর লাইভ শো ঢাকার বিজয় স্মরণীর র‌্যাংগস ভবনের ভেতরের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে ৮ ডিসেম্বর ২০০৭ শনিবার গভীর রাতে। পুরো বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন ফোরের ছাদের একটি দিক ভেঙে পড়তে পড়তে তা তিন তলা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করে। র‌্যাংগস ভবন ভাঙার কাজ চলছিল। এই কাজে জড়িত অন্তত চারজন শ্রমিক ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মারা যান। এবং কমপক্ষে ১১ জন শ্রমিকের কোনো খোজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়নি।

র‌্যাংগস ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করায় সেখানে উদ্ধার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আশংকা করা হচ্ছে, গুরুতর আহত শ্রমিকদের কেউ কেউ সেখানে আটকে পড়ে হয়তো মারা গিয়েছেন। যাদের সময় মতো উদ্ধার করা গেলে বাচানো যেতো। কিন্তু তাদের আটকে থাকতে হয় অভিশপ্ত এই ভবনটিতে। র‌্যাংগস ভবনকে নিয়ে শুরু থেকেই অনেক জটিলতা তৈরি হয়।

এর জন্মই হয়েছিল অস্বচ্ছতা ও নানান অনিয়মের মধ্য দিয়ে। প্রায় ষোল কাঠার ওপর এই বিল্ডিংটি প্রথমে দশ তলা করা হবে বলে আবেদন করা হয়। ১৯৯০ সালের মে মাসে রাজউক এর অনুমোদন দেয়। এরপর র‌্যাংগস কর্তৃপক্ষ বাইশ তলা করার আবেদন জানায়। ১৯৯৯ সালে আঠার তলা বানানোর পর সিভিল এভিয়েশনসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে আপত্তি আসা শুরু হয়।

রাজউক এ সময় র‌্যাংগস ভবনের ছয়তলার উপরের অংশটুকুর নকশা বাতিল ঘোষণা করে এবং নিজ খরচে তা ভেঙ্গে ফেলতে বলে। ২০০০ সালে আদালত রাজউকের নকশা বাতিলের আদেশটি অবৈধ ঘোষণা করে। কিন্তু এরপর সুপ্রিমকোর্ট এই আদশ স্থগিত করে কাজ বন্ধ রাখতে বললেও নির্মাণ কাজ থেমে থাকেনি। এই বিল্ডিংটি নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। র‌্যাংগস ভবন দাড়িয়ে ছিল কখনো ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে কখনো তার অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ভাঙার উদ্যোগ নেয়। বস্তি, ফুটপাথ থেকে শুরু করে মার্কেটসহ অনেক কিছু দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলা হয়। ঢাকা শহরের অনেক কিছুই ভাঙা পড়ে। এ সময়ই একটি পক্ষ দাবি তোলে, দুর্নীতির প্রতীক র‌্যাংগস ভবনকে ভাঙ্গতে হবে। কেননা এই বিল্ডিংটির জন্য বিজয় স্মরণী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত যে সড়কটি হওয়ার কথা তা হতে পারছে না।

এছাড়া বিমান চলাচলের জন্য ভবনটির উচ্চতা সব সময়ই ঝুকিপূর্ণ। অনেক ঘটনার পর গত ২১ এপ্রিল ২০০৭-এ উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংÑএ র‌্যাংগস ভবন ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু ভাঙার আগে আদালতের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। ১৪ জুন ২০০৭-এ এ বিষয়ক মামলায় আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন। ফলে সিদ্ধান্তটি আবার পিছিয়ে যায়।

পরে সেই বিচারপতি অবসরে গেলে নতুন বেঞ্চ গঠিত হয় এবং ২ আগস্ট ২০০৭ আদালত র‌্যাংগস ভবনের ছয়তলার উপরের অংশটি ভেঙ্গে ফেলার আদেশ দেয়। র‌্যাংগস ভবন নিয়ে নানান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক পর্যায়ে আদালতের মন্তব্য ছিল, স্বর্গ ও মর্ত্যরে মাঝখানে সত্যিই কতো কিছু ঘটে। পুরো ঘটনাটিকে সরকারের বিজয় হিসাবে বর্ণনা করা হয়। আদালতের রায়ের ঠিক একদিন পরেই ৩ আগস্ট ২০০৭ থেকে বিল্ডিংটি ভাঙ্গার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। জানা গিয়েছে , ভাঙার কাজে খরচ ধরা হয় এক কোটি বিশ লাখ টাকা।

আরো জানানো হয় ভাঙর কাজটি করবে চারশ শ্রমিক। যৌথ বাহিনী এর নিরাপত্তা দেবে। বিল্ডিংটি ভাঙতে এক পর্যায়ে ডাইনামাইট ব্যবহার করার কথা বলা হলেও পরবর্তীতে তার বদলে হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নিচের ছয়তলা প্রাথমিক অবস্থায় ভাঙা হচ্ছিল না। কাজের গতি ছিল একেবারেই কম।

এক পর্যায়ে ২৫ নভেম্বর ২০০৭ সিক্স স্টার নামে একটি কম্পানিকে র‌্যাংগস ভবন ভাঙার দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু একইভাবে তাদের ধীরগতি কাজের নির্ধারিত সীমা পার করে দেয়। দুই মাসে দশ ভাগের একভাগ কাজও তারা করতে পারেনি। ফলে শেষের দিকে দিন ও রাতে কাজ করানোর জন্য ৭৫ জন করে দেড়শ শ্রমিক নিয়ে আসা হয়। বিল্ডিংটির ভেতরে যখন ধস নামে তখন অন্তত অর্ধেক শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিলেন।

অভিযোগ আছে, গলফ মাঠের দুর্নীতি হিসাবে র‌্যাংগস ভবনের জন্ম। ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এর সঙ্গে নানান পর্যায়ে জড়িত ছিলেন বলেই দীর্ঘদিন বিল্ডিংটি অবৈধ হয়েও টিকে ছিল। পুরো প্রক্রিয়াটি দেখলে বোঝা যায় যে, বিল্ডিংটি অনুমোদনকারী প্রতিষ্ঠান রাজউক একেক সময় একেক ধরনের আচরণ করেছে। রাস্তার জন্য মনোনীত জায়গায় যারা বিল্ডিং তুলেছেন তাদের বিষয়ে রাজউকের অবস্থান বেশির ভাগ সময়ই ছিল সহযোগিতাপূর্ণ ও এক পর্যায়ে একটি নোটিশ দেয়া ছাড়া আর তেমন কিছুই চোখে পড়েনি। এক সময় ঢাকার বিখ্যাত রাজউকের বিল্ডিংটি আকৃতি ও গঠনের দিক দিয়ে যেমন র‌্যাংগস ভবনের কাছে দুর্র্বল হয়ে পড়েছে তেমনি প্রতিষ্ঠান হিসাবেও তা কখনো মেরুদ- সোজা করে দাড়াতে পারেনি।

পুরো প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে রাজউকের দুর্নীতির অনেক ঘটনাই ঘটেছে। যে প্ল্যান বা নকশাকে তারা বাতিল করতে বাধ্য হয় সেই নকশা তাদের অফিসে কিভাবে অনুমোদিত হয়? দশতলা একটি বিল্ডিং তৈরির কথা বলে যখন তা আঠারো তলায় গিয়ে ঠেকে তখন বাইরে থেকে বিমান বাহিনী বা সিভিল এভিয়েশনের অভিযোগ আসার পর তাদের টনক নড়ে! র‌্যাংগস ভবন ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বানানো হয়েছে। এমন নয় যে বিল্ডিংটি যখন তৈরি হয় তখন কেউ তা দেখেনি কিংবা লুকিয়ে বানানো হচ্ছিল। তখন কেন রাজউক কোনো ভূমিকা নেয়নি? র‌্যাংগস কর্তৃপক্ষ তাদের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বিল্ডিংটি টিকিয়ে রাখার। তারা দীর্ঘ প্রায় সতের বছর ধরে জয়ী অবস্থায় থাকলেও এক পর্যায়ে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়।

আদালতের রায়ের একদিনের মধ্যেই ভাঙার কাজ শুরু হওয়ায় বিল্ডিং-এ অবস্থিত অফিসগুলো অসহায় অবস্থায় পড়ে। বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের আবেদন ছিল মালপত্র সরিয়ে নিতে পনের দিন যেন সময় দেয়া হয় । কিন্তু তা না দিয়ে অতি উৎসাহী রাজউক বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু করে। একই সঙ্গে ভাঙার কাজ চলার সময়ও র‌্যাংগসসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের অফিস একই বিল্ডিং-এর নিচের ছয় তলায় রেখে দেয়া হয়। বিল্ডিংটির ভেতরটি যখন ভেঙ্গে পড়ে তখন কিন্তু সেটি ছয়তলার ছাদ পর্যন্ত থেমে থাকেনি।

সেই ভাঙন নিচেও আঘাত করে এবং র‌্যাংগস আইটির সাড়ে চার কোটি টাকার জিনিসপত্র নষ্ট হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই অফিসগুলোতে যারা কাজ করেন তারা পরিণত হন গিনিপিগে। কেননা র‌্যাংগস ভবনের ভেতরে যে ধ্বস নামে তা রাতে না হয়ে দিনে হলে শ্রমিকদের পাশাপাশি নিচের ছয়তলায় কর্মরত ব্যক্তিরাও মারা যেতেন কিংবা আহত হতেন। এর দায়দায়িত্ব র‌্যাংগসÑএর ওপরই পড়ে। অভিযোগ এসেছে যে, শ্রমিকরা ভাঙার পর ধ্বংসাবশেষ জমিয়ে তা বাড়িটির একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করে রাখতো।

এর ওজন সইতে না পেরে একটি ছাদ ভেঙে পড়ে এবং ক্রমান্বয়ে নিচের ছাদগুলো ভেঙে পড়ে। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন এটা নাশকতা। কিন্তু বাস্তবে যাই ঘটুক না কেন এতে শ্রমিকরা মারা গিয়েছেন এবং অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করে, এখানে কোনো মনিটরিং সিস্টেম কাজ করেনি। কেউ সঠিক ভাবে কাজটি তত্ত্বাবধান করেনি।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিয়মিত বড় বড় বিল্ডিং ভাঙা হচ্ছে। এখন যে পদ্ধতিটি বেশি ব্যবহার করা হয় তা হলো নিয়ন্ত্রিত ডাইনামাইটের বিস্ফোরণ। সম্প্রতি লাস ভেগাসে ৩২ তলা বিল্ডিং ভাঙা হয়েছে মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময়ে। এর প্রস্তুতি নিতে লেগেছে ৭২ ঘণ্টা। পৃথিবী জুড়ে এ ধরনের বাড়িঘর বা ব্রিজ ধ্বংস করার ক্ষেত্রে জ্যাক লুইজেয়াস ও তার পরিবার বিখ্যাত।

গত ৪০ বছরে তিনি ও তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে কয়েক হাজার বাড়ি ভাঙার কাজ হয়েছে। বিলিয়নেয়ার হলেও প্রতিটি কাজে শ্রমিকদের সঙ্গে থেকে এই পরিবারের সদস্যরা কাজ করেন। তারা এতোটাই নিখুত কাজ করেন যে আশপাশের বাড়িঘরের কোনো ক্ষতি হয় না। তারপরও নিরাপত্তার স্বার্থে সেসব বাড়ি থেকে লোকজন সরিয়ে নেয়া হয়। র‌্যাংগস ভবন ভাঙার কাজে নিচের ছয় তলা থেকেই অফিস সরানো হয়নি।

আর এ ধরনের হেভি কংক্রিট স্ট্রাকচার ভাঙার জন্য যেখানে ডাইনামাইট ব্যবহার করার কথা সেখানে হাতুড়ি শাবল দিয়ে বিল্ডিং ভাঙার কাজ এক ধরনের উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। একটি কংক্রিটের বিশাল স্ট্রাকচারের কাছে হাতুড়ি শাবল নিতান্তই দুর্বল অবলম্বন। এদেশে বিল্ডিং ভাঙার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়মিতই ঘটছে। রাজধানীর তেজগায়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬-এ ফিনিক্স ভবন নামের একটি বিল্ডিং ধসে পড়লে এর ভেতরে থাকা আঠারো জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তারাও বিল্ডিংটি ভাঙ্গার কাজ করছিলেন।

পুরো বিষয়টি একপর্যায়ে ধামাচাপা পড়ে যায়। হয়তো র‌্যাংগস ভবনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। এদেশের শ্রম বাজার শস্তা। আর তার চেয়েও শস্তা মানুষের জীবন। র‌্যাংগস ভবনের পাশ দিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছেন।

অথচ সেই বিল্ডিংয়ের ভেতর পড়ে আছে বেশ কিছু মানুষের মৃতদেহ। উদ্ধারের অভাবে এদের কেউ কেউ মারা গিয়েছেন। ঢাকা শহরের এই কংক্রিটের কবরস্থানটির ভেতর শোনা যাচ্ছে নিখোজ ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনের আর্তনাদ। এক সন্তান তার বাবার ঝুলে থাকা দেহের লুঙ্গি দেখে চিনতে পেরেছে। লুঙ্গিটি বাবাকে কিনে দিয়েছিল ছেলে।

বাবার লাশ সামনে ঝুলে আছে। কিন্তু তার করার কিছু নেই। এমন অবস্থায় একজন মানুষের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। গত কয়েক বছরে অনেকগুলো বিল্ডিং ধসে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কলাবাগান, পুরনো ঢাকা, তেজগাওসহ বিভিন্ন জায়গায় বিল্ডিং ধসে পড়ার দেখার যায় উদ্ধার করার মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ আমাদের নেই।

প্রতিবারই অনেক লেখালেখি কিংবা আলোচনা হয় কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না। একটা বিল্ডিং ধসে পড়ে তারপর আরেকটা। বেশ কয়েকজন শ্রমিক মারা যান। আর যারা আহত হন তাদের মধ্যে অনেকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে পড়েন। সাম্প্রতিক ঘটনায় রাজউক নিহতদের পরিবারকে এক লাখ করে টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে এবং আহতদের চিকিৎসার খরচ দেয়ার কথা জানিয়েছে।

র‌্যাংগস ভবন ভাঙার কাজ যখন শুরু হয় তখন সোহরাব নামের এক শ্রমিক তের তলা থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। তিনি বিল্ডিংটির বাইরের দিকে ভাঙছিলেন। সোহরাব যখন উপর থেকে মাটিতে পড়ছিলেন সে সময়ের দৃশ্য টিভি চ্যানেলের ক্যামেরায় দেখতে পান দর্শকরা। নিহত সোহরাবের পরিবার দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেরিয়েছে। রাজউকের কাছ থেকে তারাও এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছিল ।

কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনেক আবেদন নিবেদনের পর নিহতের পরিবারকে মাত্র পচিশ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর রাতে যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে Ñ সে প্রশ্নটি থেকেই যায়। আহতদের অবস্থা তো আরো শোচনীয়। রাজউকের অব্যবস্থাপনায় একের পর এক মৃত্যুর মিছিল তৈরি হচ্ছে। অনেকে এই মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে বর্ণনা করছেন।

এই শবযাত্রা বন্ধ করতে টিভির পর্দায় আর কতো শ্রমিকের মৃত্যুর লাইভ প্রচার দেখতে হবে? ........................................................ নিয়মিত সাপ্তাহিক কলাম খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার -এ প্রকাশিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।