আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালো কইরা চাইয়া দেখো আমার চরণে শিকল

"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"

ঘটনা ১ : প্রোবেশন পিরিয়ডে চাকুরীর কোন ছুটি নাই। তো এমন মানুষদের জন্য ১৪,১৫,১৬ এই তিনদিনের টানা ছুটি মহার্ঘ্য। কোথাও নড়ার প্ল্যান হলো না। কেন? বাবা মা হজ্বে যাচ্ছেন ১৪তে।

ভাই যে ১৩তারিখ রাতে বেড়াতে বিদেশ চলে গেল? ছেলেরা পারে। মেয়ে সন্তানরা পারে না। ওদের রুহ এভাবে গড়ে উঠছে জন্ম থেকে। বন্ধন তাদের মারাত্মক। ঘটনা ২: সারোয়ার সাহেবের বউ মারা গেল ৬৫ বছর বয়সে।

উনি বিপত্নীক হবার ৩৩দিনের মাথায় ৩৫ এর এক নারীকে বিয়ে করলেন তার দেখভালের জন্যে। রুবিনা যখন ৪২ তখন তারস্বামী বিয়োগ ঘটলো। এই সাতষট্টিতেও উনি একা। একটা কাজের মেয়ে নিয়ে। ছেলেমেয়েরা সব দেশর বাইরে।

বাজার সদাই করাই এক কঠিন ব্যাপার। দেখভালের জন্যে বিয়ে করতে পারলেন না। মেয়েরা এসব করে না। লোকে মন্দ বলবে না! ঘটনা ৩ : মালিহার ইউনিভার্সিটি থেকে সার্ক ট্যুর। যাবার ৪দিন আগে মালিহার মা পা ভেঙ্গে ফেললেন।

মায়ের অনেক অনুরোধ সত্বেও মালিহা গেল না। ভাই চোখের সামনে দিয় বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রাঙ্গামাটির ভ্রমণে বের হয়ে গেল। মালিহার মা আফসোস করলেন- 'মারে আমি সারাজীবন কোথাও যাই নাই; তুইও বিয়ের পরে যেতে পারবি না। ঘুরে আসতি। আমার পা তো ভালো হয়েই যাবে।

একটু কষ্ট করতাম না হয়। মনে রাখিস আমাদের এসব স্যাক্রিফাইস এর কথা সংসারের কোন পাতায় লিখা হবে না। নিজের হিসেব বুঝে নিস। না হলে এইভাবে ঠকবি। " ঠকে যাই হয়তো প্রতিদিন......সংসার,সন্তান,আত্মিয় স্বজন---চারিদিকে শুধু শেকল।

নিজের জন্যে কিছু করার আসলেই সময় নেই। এগুলা তো আর নির্যাতন নয় এগুলো হলো স্রেফ ভালো হবার কসরতে নিজেকে বলির যূপকাষ্ঠে তুলে দেয়া।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.