আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুলাংগার সন্তানরা শিখুনঃ মা ভক্তি কাহাকে বলে?(রিপোস্ট)

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন।
বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনীতে আমরা শুনেছি পুণ্যের আশায় মাকে মাথায় নিয়ে বা গলায় ঝুলিয়ে অনেক সন্তান দীর্ঘ দিন ঘুরে বেড়িয়েছেন। ইসলাম ধর্মে হজরত বায়েজীদ (আ.) মায়ের মাথায় পানি ঢালতে সারা রাত পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হজরত ওয়ায়েজ কুরনী মাকে গলায় ঝুলিয়ে বহন করেছেন দীর্ঘদিন। হিন্দু ধর্মে শ্রবণ কুমার অন্ধ মা-বাবাকে কাঁধে বহন করে গয়া-কাশির উদ্দেশে গিয়েছিলেন।

কিন্তু এ যুগে এমন সন্তানের দেখা মেলা ভার। তারপরেও জিয়ানগরে অসুস্থ মাকে মাথায় বহন করে প্রায়ই ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার নামের এক সন্তান। গতকাল উপজেলার পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জের চন্ডিপুর গ্রাম থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধ মা উষা রানী মজুমদারকে (১১০) ঝুড়িতে নিয়ে মাথায় বহন করে ডাক্তারের কাছে আসেন ছেলে ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চন্ডিপুর থেকে প্রায় ১০ মাইল দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে প্রায়ই ডাক্তারের কাছে অসুস্থ মাকে নিয়ে আসেন ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। অর্থনৈতিক সঙ্কটে খেয়ে-নাখেয়ে সংসার চলে তার।

এ অবস্থায় মাকে চিকিত্সা করাতে তার খুব কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি। ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার পরই তো মা। তাই মায়রে মাথায় নিয়া হাঁটতে মোর কোনো কষ্ট অয় না। টাহার অভাবে মায়রে ডাক্তার দেহাইতে ম্যালা কষ্ট অয়। হ্যারপরেও মায়রে মাথায় লইয়া হাঁটু সমান কাদা ভাইঙ্গা আইতে কোনো কষ্ট ঠেহে না।

’ এ বিষয়ে জিয়ানগরের পল্লী চিকিত্সক মিজানুর রহমান জানান, প্রায়ই ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার তার অসুস্থ মাকে মাথায় বহন করে নিয়ে আসেন আমার কাছে। উষা রানী মজুমদারের সুচিকিত্সার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন, যা তার ছেলের বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।