আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উচিতৎঅনুচিত। আপনি কোনটাকে সমর্থন করছেন?

আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়

সব সময় ভাবতাম আমার সাথে কোন প্রকারের খারাপ হলে তা অনুচিত। কিন্তু মানুষের সাথে কোন খারাপ হলে তা অনুচিত বলে মানতে পারতাম না। কারন ভাবতাম হয়ত তার ভুলের কারনেই তার সাথে অনুচিত হচ্ছে। নিজেকে সেই অবস্থানে রেখে কখনো ভাবতাম না। এটার আমার নয় সবার ভাষ্য।

কথায় আছে যার ব্যথা সেই বোঝে! যতক্ষন না ব্যথা পাওয়া যায় ততক্ষন বোঝার উপায় নাই। নিজের সাথে উচিত হবার জন্য সব সময় কোন প্রকারের ভুল করেও বলতাম, না আমি যা করেছি এটাই ঠিক, আমাকে শাস্তি বা কোন প্রকারের কিছু বলা যাবে না। অপর ব্যাক্তিরা তখন একরোখা ভেবে বলতো আচ্ছা যা হবার হয়েছে তুমিই সঠিক। কখনোই ভাবতে পারতাম না আমার কোন ভুলে আমি শাস্তি পাইনি, কোন অবুঝ তা মাথা পেতে নিয়েছে, বা অপর কেউ তা সংশোধন করেছে অন্য ভাবে। নিজে বহু আজেবাজে খরচ করেও ভাবতাম আমার খরচ টাই ঠিক বা এটা আমার প্রয়োজন।

কিন্তু আরেক জনের সামান্য খরচে ভাবতাম এটা বাহুল্য! সব সময় সবাইকে প্রতিদ্বন্দী ভাবতাম, কখনো ভুলেও বন্ধু ভাবতাম না কাউকে। ভাবতাম আমি কেন বন্ধু তৈরি করব, সবাই আমার সাথে বন্ধু হতে আসবে। অহংকারী মন কখনোই বুঝতো না এটা অনুচিত। কারো সাথে খারাপ আচরন করলে ভাবতাম আমি ঠিক, কারন বুঝার আগ্রহ ছিলনা আচরনটা তার খারাপ লাগতে পারে। কাউকে ভালো না লাগলে তার পেছনে সব সময় লেগেই থাকতাম, তাকে খোটা দিয়ে কথা বলতাম, ঝগড়া করার ইচ্ছা পোষন করতাম সবসময়।

আবার কাউকে ভাল লাগলে তার কোন দোষই চোখে পড়তো না। তাকেই পীর মেনে চলতাম। যা ছিল একেবারেই অনুচিত। একরকম মন মানসিকতার সাথে কোন ভাল সুস্থ মানসিকতা মিলতে পারতো না। যখনি ভাবি পরিবর্তনের কথা তখনই মনের অহং হুংকার দিয়ে উঠে।

হয়ত অনেক উপরে উঠতে পারি তবে নীচে তাকালে দেখি আমার সাথে কেউ নেই। অনুচিত হতে দেইনি আমার সাথে কোনদিন, কারন ভাবতাম এতে আমার হার হবে, কিন্তু ভাবতে পারতাম না আমি নিজ নিজ ভূবনে থেকে সুখী নই। তাই যখন সবার সাথে মিশতে যাই তখন আমার ভেতরের আগের রুপগুলো কখনো কখনো বের হয়ে আসেই, তখন আচরন করি পশুর মত, চিন্তা করি না আমি সবার মাঝের একজন। পরেও ভাবতে পারি না আমি অনুচিত কিছু করেছি, ভাবি আমি ঠিক করেছি কারন আমিই ঠিক। এটা র্মূখ্যতার পরিচয়।

মন তখন আর সায় দেয়না সুস্থ ভাবে ফিরে আসার, কারন মনের অহং পাগলের মত ধেয়ে আসে অহং এর আগুনে আরো তেল দিতে। উচিত অনুচিত ব্যাপারটা মানুষের একান্ত ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। মানুষ ভাবতে নারাজ সে কখনো অনুচিতকে সাঁয় দিচ্ছে, যেখানে সে নিজেই উচিত করছে না। আমি নিজে যখন কোন ভুল করি বা দোষ করি তা অকপটে স্বীকার করি এবং তা অনুচিত হয়েছে তা মেনে নিতে চাই। আমি সমর্থন করি আমার মাঝের উচিত/অনুচিত কে।

সাথে সাথে মানুষকে বিবেচনা করে তার কৃত কর্মের উচিত/অনুচিত ভেবে দেখি। আপনারা কাকে সমর্থন করছেন? ৎউচিতৎ নাকি ৎঅনুচিতৎ

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.