আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকার, যুদ্ধপরাধী বিষয়ে আদালতে যাওয়ার জন্য ক্লান্তিহীন নসিহতের পিছনে

দেশান্তরী

বেশ কিছুদিন ধরে কিছু বেতনভুক জামাতী ব্লগার ব্লগে এসে রাজাকার, যুদ্ধপরাধী বিষয়ে আদালতে যাওয়ার জন্য ক্লান্তিহীন নসিহত করে যাচ্ছেন। টাইমিং টা খেয়াল করুন। উদ্দেশ্য পরিস্কার। সমাজের প্রতিটি সেক্টরে অনুপ্রবেশ করে,রাস্ট্র ক্ষমতার আংশিক অংশিদার হয়ে স্বাধীনতার ৩৬ বত্সর পরে জামাত আজ সম্পুর্ন পাকিকরনের মাধ্যমে পুরো দেশ টা গিলে খাবার দ্বারপ্রান্তে। ঘুনে ধরা বুর্জোয়া রাজনীতির রুই কাতলা গুলো আগামী নির্বাচনে কোমর সোজা করে দাড়াতে পারবে বলে মনে হয় না।

এই সুযোগে তথাকথিত সত লোকরা পুর্ন রাস্ট্র ক্ষমতা দখলের নীলনকশা কষছেন বিগত কয়েক মাস ধরে। উক্ত নকশায় ক্ষমতা দখলের সকল উপকরনের জোগাড় আছে। সমস্যা কেবল রাজাকার, যুদ্ধপরাধ এর আজন্ম কাটা। এই গলার কাটা ওরা আপনার আমার হাত দিয়েই সরাবে। এবার বাস্তবায়ন।

প্রথম ধাপ: মুক্তিযুদ্ধ মহান, মুক্তিযোদ্ধারা মহান টাইপের কিছু বায়বীয় কথা বার্তা। তারপর বিজয় দিবস পালন, বিজয় মিছিল। এমনকি শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন, সাথে শেখ মুজিব জাতির নেতা টাইপের কিছু চমক। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। দ্বিতীয় ধাপ: রাজাকার, যুদ্ধপরাধ সম্পর্কে দুচারটা পিছলা কথা অফিশিয়ালি বলা আর কর্মী-সমর্থক দের মাধ্যমে রাজাকার, যুদ্ধপরাধ এর বিপক্ষে জোরে সোরে বলা যাতে সাধারন মানুষ বিভ্রান্ত হয় (ব্লগের রাজাকার গুলার মন্তব্য দেখুন)।

অর্থাত্ত মানুষের ঘৃণা কে বায়বীয় করা, ফোকাসহীন করা (পাকিস্তানি না বলে হানাদার বাহিনীর আক্রমন বলা ধরনের)। তাতেও কাজ হচ্ছে না। তৃতীয় ধাপ (এই ধাপ আমরা এখন দেখছি): তৃতীয় ধাপ এর প্রথম পর্ব-বাংগালকে হাইকোর্ট দেখাও। ওয়াজ নসিহত কর, বাংগাল যেন আদালতে যায়। এটাতেও কাজ হচ্ছে না।

কেউ আদালতে না গিয়ে বরং ব্লগের মত সারা দেশে যুদ্ধপরাধী-রাজাকার জামাত শিবির কে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনার 'ফালতু' দাবী উঠাতে থাকে। তৃতীয় ধাপ এর দ্বিতীয় পর্ব-আঁতে ঘা দাও, বাংগাল অবশ্যই আদালতে যাবে। ........৭১ এ কোন যুদ্ধপরাধী-রাজাকার ছিল না, এখনও নেই....,....৭১ এ কোন মুক্তিযুদ্ধই হয় নি, হয়েছে গৃহযুদ্ধ...,....৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা ছিল পরসম্পদ লুন্ঠনকারী আর সুন্দরী নারী ভোগকারী...। পুরো নাড়িয়ে দেয়া। ব্লগ গরম, দেশ গরম।

বাংগালী এবার আদালতে যাবেই। জামাত-শিবির-রাজাকার পুনর্বাসনের স্বর্নযুগেও গো. আযম পাকিস্তানী পাসপোর্ট হাতে ছুটত বাংলাদেশের ভিসা এক্সটেনশনের জন্য। যেই বাংগালী আদালতে গেল, অমনি উনি বাংলাদেশী হয়ে গেলেন। (বলেন, আলহামদুলিল্লাহ!)। আল্লার ওয়াস্তে এবার এই ভুল করবেন না।

যুদ্ধপরাধী-রাজাকার এর মত রাজনৈতিক বিষয়কে প্রচলিত ফৌজদারী আদালতে নিয়ে তাদের জায়েজ করবেন না। ৩৬ বছরে না হোক, ৭২ বছরে হবে। জনতার আদালতেই জামাতের বিচার হবে। আদালত নির্মোহ। ব্লগে যারা জাতির সর্বশ্রেস্ঠ অর্জন ৭১ কে আদালতে নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ নির্ধারনের পরামর্শ দেয় তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন।

........৭১ এ কোন যুদ্ধপরাধী-রাজাকার ছিল না, এখনও নেই....,....৭১ এ কোন মুক্তিযুদ্ধই হয় নি, হয়েছে গৃহযুদ্ধ...,....৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা ছিল পরসম্পদ লুন্ঠনকারী আর সুন্দরী নারী ভোগকারী...এর মত রাস্ট্রদ্রোহী কথা বার্তা যারা বলে তাদের বিচারে বর্তমান রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ মুক্ত, জন সমর্থনে নৈতিকভাবে , সেনা সমর্থনে বাস্তবিকভাবে বলীয়ান প্রিয় ড: ফকরুদ্দীন আহমদের সরকার অবশ্যই ব্যবস্হা নিবেন বলে আশা করি। আসুন, এ ব্যপারে যার যার অবস্হান থেকে জনমত সৃস্টিতে কাজ করি। সরকারী উদ্যোগে, এটর্নীদের মাধ্যমে বিশেষ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামাতী রাজাকারদের বিচার করতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.