আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উচ্চমুল্যের বাজারে নিরুপায় অ-আয় শ্রমিকের আর্তনাদ (প্রেক্ষাপট খালিশপুর, খুলনা)

আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে

গুলি করা হয়নি পেরেক ঢুকিয়ে আহত করা হয়েছে নিরীহ মানুষের নি:শ্বাস। এর চেয়ে গলা টিপে হত্যা করা ছিল ভাল লোম লোম টিপে কেন বের করা হল আয়ুর নির্ঝাস? মানবতার প্রতি যে গালাগালি আর পাশবিক নির্যাতন এদেশের অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনাকারী খুলনা, খালিশপুরের সরল শ্রমিকদের সংসারে একেঁ দিলেন, সেসমস্ত শিক্ষিত বুদ্ধিজীবিদের হৃদয়ের এক পশলা ঘৃনা জানাই। যারা কোন এক বৃহত্ স্বার্থের কথা চিন্তা করে কয়েক লাখ শ্রমিকের জীবনে যে কাজল ঘনঘটার ছায়া ফেলে তাদের জীবনের সকল আলোকে ঢেকে দিলেন কৃষ্ণ বেলায়। ক্ষুধার নির্মম আঘাতের ময়দানে ছেড়ে দিলেন উচ্চ মুল্যের স্বসস্ত্র যোদ্ধার বিপরীতে নিরস্ত্র অ-আয়ের একটি খেলনা করে। না খাওয়া মুখ গুলো কাজ চায় তারা কখনও ভিক্ষা চায় না।

হে চিন্তাবিদ, আপনাদের ভাবা উচিত বিকল্প ব্যবস্থার কথা। খামোখা আপনি কয়েক লাখ মানুষের জীবনে পঙ্গুত্বের তিলক লেপে দিতেন পারেন না। কোম্পানী লোকসানে তাহলে আপনি বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করতে পারতেন, কিন্তু আপনারা তা করলেন না, কোনদিন দেখেছেন সাজানো গোছানো সংসারের সুন্দর মুখগুলো কিভাবে কালো, শুটকি মাছের মত সংসার চিন্তায় শুকিয়ে যায়, দেখেননি। দেখলে আপনাদের আত্ব্যারা আপনাদের শরীর ছেড়ে নেমে যেত। এসি রুমে কোরমা পোলাও এর মঞ্চে বসে সেই মানুষগুলোর আর্তনাদের ছোয়াঁ পাওয়া যায় না।

অনুগ্রহ সে সেই সব মানুষগুলোর কিছু একটা আয়ের ব্যবস্থা করে দিন। তাদের সাজানো সংসারে যে হাহাকারের মাতাম তার লাঘবের জন্য তারা স্বচেষ্ট কিন্তু উপায়ের কোন পদ বাতলে দিন। আমি দেখেছি সন্মানিত লোকেদের রিক্সা নিয়ে ভাড়ায় খাটতে। অতএব তারা কাজ করতে চায়, আপনারা তাদের বাচাঁন। তাদের সাহায্য নয়, পুর্নবাসন করুন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।